১০:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

৬ জনকে অভিযুক্ত করে অভিজিৎ হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:২০:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
  • ২১৫ Time View

ফাইল ছবি

আলোর জগত ডেস্ক :   ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষে ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট প্রস্তুত করা হয়েছে। আজ সোমবার অনুমোদনের জন্য চার্জশিট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ডিএমপি’র কাউন্টার টেরোজিম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি )। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।

অভিযুক্তদের মধ্যে গ্রেফতার চারজন হলো- মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), মো. আবু সিদ্দিক সোহেল (৩৪) ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব (সাংগঠনিক নাম সাকিব, সাজিদ, শাহাব), মো. আরাফাত রহমান (সাংগঠনিক নাম- সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ) (২৪) ও হত্যাকাণ্ডে উসকানি বা প্ররোচনাদানকারী শাফিউর রহমান ফারাবী (২৯)। মামলার পলাতক আসামি দু’জন যথাক্রমে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া (চাকুরিচ্যুত মেজর) তার সাংগঠনিক নাম- সাগর, বড় ভাই (৪২) ও আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে হাসিবুল ওরফে আব্দুল্লাহ (৩০)।

মনিরুল ইসলাম বলেন, মামলাটি তদন্তকালে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ১১ জনের সম্পৃক্ততা পায় সিটিটিসি। ঘটনায় সম্পৃক্ত অপর পাঁচজন আসামির শুধুমাত্র সাংগঠনিক নাম জানা যায়। পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা সংগ্রহ করা সম্ভব না হওয়ায় ছয়জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের অদূর ভবিষ্যতে গ্রেফতার করা সম্ভব হলে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।

ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সোমবার বেলা ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মনিরুল ইসলাম।

২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমির একুশে বইমেলা থেকে রাত ৯ টার দিকে ফেরার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পাশে দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত হন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ড. অভিজিৎ রায়। দুর্বৃত্তরা চাপাতি দিয়ে তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকেও কুপিয়ে আহত করে। রাফিদা সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলেও ঘটনাস্থলেই নিহত হন অভিজিৎ রায়। পরে শাহবাগ থানায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক ড. অজয় রায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

৬ জনকে অভিযুক্ত করে অভিজিৎ হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল

Update Time : ১০:২০:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

আলোর জগত ডেস্ক :   ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষে ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট প্রস্তুত করা হয়েছে। আজ সোমবার অনুমোদনের জন্য চার্জশিট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ডিএমপি’র কাউন্টার টেরোজিম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি )। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।

অভিযুক্তদের মধ্যে গ্রেফতার চারজন হলো- মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), মো. আবু সিদ্দিক সোহেল (৩৪) ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব (সাংগঠনিক নাম সাকিব, সাজিদ, শাহাব), মো. আরাফাত রহমান (সাংগঠনিক নাম- সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ) (২৪) ও হত্যাকাণ্ডে উসকানি বা প্ররোচনাদানকারী শাফিউর রহমান ফারাবী (২৯)। মামলার পলাতক আসামি দু’জন যথাক্রমে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া (চাকুরিচ্যুত মেজর) তার সাংগঠনিক নাম- সাগর, বড় ভাই (৪২) ও আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে হাসিবুল ওরফে আব্দুল্লাহ (৩০)।

মনিরুল ইসলাম বলেন, মামলাটি তদন্তকালে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ১১ জনের সম্পৃক্ততা পায় সিটিটিসি। ঘটনায় সম্পৃক্ত অপর পাঁচজন আসামির শুধুমাত্র সাংগঠনিক নাম জানা যায়। পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা সংগ্রহ করা সম্ভব না হওয়ায় ছয়জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের অদূর ভবিষ্যতে গ্রেফতার করা সম্ভব হলে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।

ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সোমবার বেলা ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মনিরুল ইসলাম।

২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমির একুশে বইমেলা থেকে রাত ৯ টার দিকে ফেরার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পাশে দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত হন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ড. অভিজিৎ রায়। দুর্বৃত্তরা চাপাতি দিয়ে তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকেও কুপিয়ে আহত করে। রাফিদা সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলেও ঘটনাস্থলেই নিহত হন অভিজিৎ রায়। পরে শাহবাগ থানায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক ড. অজয় রায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।