ঢাকা ০২:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

শেখ হাসিনা বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী নেতা : অ্যাঞ্জেলিনা জোলি

আলোর জগত ডেস্ক :   মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন ইউএনএইচসিআর’র বিশেষ দূত জনপ্রিয় হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে গণভবনে সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে একথা বলেন জোলি।

অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বলেন, এ মুহূর্তে বিশ্বে শেখ হাসিনার মতো নেতা খুব কমই রয়েছে। বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশের ওপর বিশাল বোঝা সৃষ্টি করেছে। আশ্রয় শিবিরগুলোতে এত বিপুল সংখ্যক মানুষের দেখভাল করা খুবই কঠিন কাজ।

এ প্রসঙ্গে তিনি আশ্বাস দেন যে, জাতিসংঘ, ইউএনসিএইচআর ও বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের বোঝা লাঘবে একযোগ কাজ করবে। অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বর্তমানে কক্সবাজারে অবস্থানরত মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে একটি অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির ওপর জোর দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাক্ষাৎকালে অ্যাঞ্জেলিনা জোলিকে বাংলাদেশে স্বাগত জানিয়ে বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যাটির সমাধান হতে হবে। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি হলেও তা বাস্তবায়নে দেরি হচ্ছে বলে হতাশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের দুর্দশা লাঘবে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন এবং ভাষানচরে তাদের অস্থায়ী পুনর্বাসনে উদ্যোগের কথা জানান।

জোলি জানান, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের সময় তিনি মিয়ানমারের নাগরিকদের উপর চালানো নির্যাতন, হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন নির্যাতনের কাহিনী শুনেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে এবং ইতোমধ্যে আশ্রয় শিবিরগুলোতে এ পর্যন্ত ৪০ হাজার মতো নতুন শিশুর জন্ম হয়েছে।

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে তার সরকারের গৃহীত উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক লাখের বেশি শরণার্থী সেখানে অপেক্ষাকৃত উন্নত পরিবেশে সাময়িক আশ্রয় পাবে।

এ প্রসঙ্গে তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের এক কোটির বেশি লোক পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে আশ্রয় নেয়ার তিক্ত অভিজ্ঞতার বিবরণ দেন।

শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে তার মাসহ তিনি ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের গৃহবন্দী থাকার এবং ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর ৬ বছর ধরে তার নির্বাসনে থাকার মুহূর্তগুলোর বর্ণনা দেন।

সাক্ষাতের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

শেখ হাসিনা বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী নেতা : অ্যাঞ্জেলিনা জোলি

আপডেট টাইম : ০৫:৪৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

আলোর জগত ডেস্ক :   মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন ইউএনএইচসিআর’র বিশেষ দূত জনপ্রিয় হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে গণভবনে সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে একথা বলেন জোলি।

অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বলেন, এ মুহূর্তে বিশ্বে শেখ হাসিনার মতো নেতা খুব কমই রয়েছে। বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশের ওপর বিশাল বোঝা সৃষ্টি করেছে। আশ্রয় শিবিরগুলোতে এত বিপুল সংখ্যক মানুষের দেখভাল করা খুবই কঠিন কাজ।

এ প্রসঙ্গে তিনি আশ্বাস দেন যে, জাতিসংঘ, ইউএনসিএইচআর ও বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের বোঝা লাঘবে একযোগ কাজ করবে। অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বর্তমানে কক্সবাজারে অবস্থানরত মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে একটি অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির ওপর জোর দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাক্ষাৎকালে অ্যাঞ্জেলিনা জোলিকে বাংলাদেশে স্বাগত জানিয়ে বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যাটির সমাধান হতে হবে। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি হলেও তা বাস্তবায়নে দেরি হচ্ছে বলে হতাশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের দুর্দশা লাঘবে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন এবং ভাষানচরে তাদের অস্থায়ী পুনর্বাসনে উদ্যোগের কথা জানান।

জোলি জানান, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের সময় তিনি মিয়ানমারের নাগরিকদের উপর চালানো নির্যাতন, হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন নির্যাতনের কাহিনী শুনেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে এবং ইতোমধ্যে আশ্রয় শিবিরগুলোতে এ পর্যন্ত ৪০ হাজার মতো নতুন শিশুর জন্ম হয়েছে।

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে তার সরকারের গৃহীত উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক লাখের বেশি শরণার্থী সেখানে অপেক্ষাকৃত উন্নত পরিবেশে সাময়িক আশ্রয় পাবে।

এ প্রসঙ্গে তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের এক কোটির বেশি লোক পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে আশ্রয় নেয়ার তিক্ত অভিজ্ঞতার বিবরণ দেন।

শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে তার মাসহ তিনি ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের গৃহবন্দী থাকার এবং ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর ৬ বছর ধরে তার নির্বাসনে থাকার মুহূর্তগুলোর বর্ণনা দেন।

সাক্ষাতের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান।