ঢাকা ১১:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি শরিফুল শেখ ও তথি বেগম’কে ফরিদপুরের কোতোয়ালি এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী এলাকা হতে ২৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা Logo আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের শ্রদ্ধা

ইডির চার্জশিটে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

আর্থিক দুর্নীতির এক মামলার চার্জশিটে প্রথমবারের মতো ভারতের রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নাম উঠেছে। দেশটির অর্থনৈতিক গোয়েন্দা ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) চার্জশিটে তার নাম যুক্ত করা হয়েছে। দেশটির হরিয়ানা রাজ্যে পাঁচ এক জমির কথিত কেনাবেচার জন্য ইডির চার্জশিটি তার নাম উঠেছে।

বৃহষ্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, একই চার্জশিটে নাম রয়েছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামী রবার্ট ভদ্রেরও। তবে এই মামলায় তাদের কাউকে ‘‘অভিযুক্ত’’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়নি।

এছাড়া অনাবাসী ভারতীয় ব্যবসায়ী সি সি থাম্পি ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক সুমিত চাড্ডার বিরুদ্ধেও ইডি এই চার্জশিট দাখিল করেছে। ইডির অভিযোগে বলা হয়েছে, অস্ত্র ব্যবসার ডিলার সঞ্জয় ভান্ডারির অর্থ লুকিয়ে রাখতে সহায়তা করেছেন তারা। ভারতের রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে সঞ্জয় ভান্ডারির বিরুদ্ধে। বর্তমানে পলাতক রয়েছেন তিনি।

দিল্লি-ভিত্তিক রিয়েল এস্টেট এজেন্ট এইচ এল পাহওয়ার সাথে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর লেনদেনের কথা উল্লেখ করেছে ইডি। ২০০৬ সালে ফরিদাবাদে তার কৃষি জমি প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর কাছে বিক্রি করেছিলেন। এর চার বছর পর পুনরায় এল পাহওয়ার সেই জমি প্রিয়াঙ্কার কাছ থেকে কিনে নেয়।

ইডি সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি বলেছে, ২০০৬ সালের এপ্রিলে ফরিদাবাদের আমিপুর গ্রামে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রর নামে একটি বাড়ি কেনা হয়েছিল এবং একই সময়ে পাহওয়ার কাছে সেই বাড়িকে জমি দেখিয়ে পুনরায় বিক্রি করা হয়।

পাহওয়ার কাছ থেকে রবার্ট ভদ্র ২০০৫ ও ২০০৬ সালের মাঝে আমিপুরে ৪০ দশমিক ৮ একর জমি কিনেছিলেন। পরে ২০১০ সালের ডিসেম্বর তার কাছে সেই জমির পুরোটাই বিক্রি করেন রবার্ট। এছাড়া প্রায় একই ধরনের ৪৮৬ একর জমি কেনার জন্য থামপির সাথে চুক্তি করেছিল রবার্ট ভদ্র। ২০২০ সালে দেশটির পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর জামিনে মুক্ত হন থামপি।

এর আগে, অনিয়মের অভিযোগে ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কার স্বামী রবার্ট ভদ্র। তবে তিনি কোনও ধরনের অনিয়ম করেননি বলে দাবি করেছিলেন। এবারই প্রথম কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সাথে ইডির চার্জশিটে নাম উঠল তার।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

ইডির চার্জশিটে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

আপডেট টাইম : ০৯:০৯:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩

আর্থিক দুর্নীতির এক মামলার চার্জশিটে প্রথমবারের মতো ভারতের রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নাম উঠেছে। দেশটির অর্থনৈতিক গোয়েন্দা ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) চার্জশিটে তার নাম যুক্ত করা হয়েছে। দেশটির হরিয়ানা রাজ্যে পাঁচ এক জমির কথিত কেনাবেচার জন্য ইডির চার্জশিটি তার নাম উঠেছে।

বৃহষ্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, একই চার্জশিটে নাম রয়েছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামী রবার্ট ভদ্রেরও। তবে এই মামলায় তাদের কাউকে ‘‘অভিযুক্ত’’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়নি।

এছাড়া অনাবাসী ভারতীয় ব্যবসায়ী সি সি থাম্পি ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক সুমিত চাড্ডার বিরুদ্ধেও ইডি এই চার্জশিট দাখিল করেছে। ইডির অভিযোগে বলা হয়েছে, অস্ত্র ব্যবসার ডিলার সঞ্জয় ভান্ডারির অর্থ লুকিয়ে রাখতে সহায়তা করেছেন তারা। ভারতের রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে সঞ্জয় ভান্ডারির বিরুদ্ধে। বর্তমানে পলাতক রয়েছেন তিনি।

দিল্লি-ভিত্তিক রিয়েল এস্টেট এজেন্ট এইচ এল পাহওয়ার সাথে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর লেনদেনের কথা উল্লেখ করেছে ইডি। ২০০৬ সালে ফরিদাবাদে তার কৃষি জমি প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর কাছে বিক্রি করেছিলেন। এর চার বছর পর পুনরায় এল পাহওয়ার সেই জমি প্রিয়াঙ্কার কাছ থেকে কিনে নেয়।

ইডি সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি বলেছে, ২০০৬ সালের এপ্রিলে ফরিদাবাদের আমিপুর গ্রামে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রর নামে একটি বাড়ি কেনা হয়েছিল এবং একই সময়ে পাহওয়ার কাছে সেই বাড়িকে জমি দেখিয়ে পুনরায় বিক্রি করা হয়।

পাহওয়ার কাছ থেকে রবার্ট ভদ্র ২০০৫ ও ২০০৬ সালের মাঝে আমিপুরে ৪০ দশমিক ৮ একর জমি কিনেছিলেন। পরে ২০১০ সালের ডিসেম্বর তার কাছে সেই জমির পুরোটাই বিক্রি করেন রবার্ট। এছাড়া প্রায় একই ধরনের ৪৮৬ একর জমি কেনার জন্য থামপির সাথে চুক্তি করেছিল রবার্ট ভদ্র। ২০২০ সালে দেশটির পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর জামিনে মুক্ত হন থামপি।

এর আগে, অনিয়মের অভিযোগে ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কার স্বামী রবার্ট ভদ্র। তবে তিনি কোনও ধরনের অনিয়ম করেননি বলে দাবি করেছিলেন। এবারই প্রথম কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সাথে ইডির চার্জশিটে নাম উঠল তার।