নরসিংদী সদর (০১) দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচনে এবার লড়াই হবে সেয়ানে সেয়ানে। এলাকাবাসীর দাবী যদি ভোট অবাধ, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ হয় পাল্টে যাবে ফলাফল।
এক দিকে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হওয়া আধুনিক পৌরসভার রুপকার, প্রয়াত স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত সাবেক মেয়র লোকমান হোসেনের ছোট ভাই সাবেক নরসিংদী পৌরসভার দুইবারের নির্বাচিত নির্বাচিত সফল মানবিক মেয়র আলহাজ্ব মোঃ হিরো সফল মানবিক মেয়র আলহাজ্ব কামরুজ্জামান কামরুল, অপর দিকে নজরুল ইসলাম হিরু (বীরপ্রতীক) তিনবারের নির্বাচিত এমপি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রাপ্ত ঐতিহ্যবাহী সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সদস্য, সৎ, মেধাবী, সমাজ সংস্কারক, শিক্ষানুরাগী, তৃণমূল আওয়ামী লীগের পছন্দের প্রার্থী, মানবিক মেয়র আলহাজ্ব মো. কামরুজ্জামান কামরুল। ঈগল মার্কা প্রতীক নিয়ে মাঠে লড়ছেন। স্মাট সদর উপজেলা বির্নিমানে একজন সৎ ও আদর্শবান নেতার বিকল্প নাই, তাই জামাত-বিএনপির আতংক জেলা আওয়ামী লীগের ১ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মো. কামরুজ্জামান কামরুলকে সদর উপজেলার এমপি হিসেবে দেখতে চায় সদরবাসি। নরসিংদী পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ্ব হোসেন আলীকে প্রশ্ন করা হলো এমপি হিসেবে আপনারা কাকে চান, তিনি বলেন, আমরা তিনবার একজন আমলাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছি কিন্তু নির্বাচিত হবার পর তাকে আমরা পাইনা, তিনি ঢাকা বসবাস করেন। মাঝে মাঝে নরসিংদী এলেও সাধারণ জনগনের সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই।
তাই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচনে নরসিংদী সদর আসন থেকে এমপি হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের ১ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানবিক নেতা আলহাজ্ব মো. কামরুজ্জামান কামরুল এর বিকল্প নেই। তিনি একজন সর্বজন স্বীকৃত করোনাযোদ্ধা যিনি করোনাকালীন সময়ে লক্ষাধিক মানুষকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ সহায়তা করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তিনি আরো বলেন নৌকা কোন সমস্যা না সমস্যা হলো প্রার্থী আমরা সুখে দুঃখে যাকে কাছে পাই এমন প্রার্থীকেই আমরা নির্বাচিত করতে চাই। বর্তমানে নরসিংদী সদরের আওয়ামী লীগের সিংহভাগ নেতাকর্মী স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব মো. কামরুজ্জামান কামরুলকে এমপি হিসেবে দেখতে চায়। নরসিংদী ১ আসনের দলীয় নেতা কর্মী ছাড়াও হাজারো মানুষের পছন্দের এই মানুষটি এবার ভোট যুদ্ধে লড়বেন জেনে উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ১১ টি ইউনিয়ন এর নেতা কর্মীসহ দলমত নির্বিশেষে সর্ব সাধারণের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ- উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
নরসিংদী সদরে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৪১ হাজার ৪৩৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২৬ হাজার ৭৩৯ জন; ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৯৭ জন নারী । আলহাজ্ব মো. কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, জনগন যদি আমাকে ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করেন- জাতির পিতার আদর্শ বুকে লালন করে ও জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে, শিক্ষার মান উন্নয়নে, মাদক মুক্ত সমাজ গঠনে, অগ্রণী ভূমিকা রাখার চেস্টা করব। নরসিংদী সদরকে আলোকিত করার প্রত্যয়ে ও অসহায় মানুষদের খেদমতে নিজেকে উৎসর্গ করে দিতে চাই।
নরসিংদীবাসির প্রাণের দাবী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারী মেডিকেল কলেজ, দক্ষ জনশক্তি বিনির্মাণে কারিগরী বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন করা, মাদক মুক্ত, সন্ত্রাস মুক্ত সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ একটি নরসিংদী উপহার দিতে চাই। আমি আশা করি আমাকে এমপি হিসাবে নির্বাচিত করতে দলমত নির্বিশেষে সকল নেতাকর্মী ও জনগণ আমার পাশে থাকবেন এবং ঈগল মার্কায় ভোট দেবেন। আমি সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি। অপরদিকে গত ১৫ বছরে নজরুল ইসলাম হিরু জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। নিজেকে বিস্তৃত করেছেন তৃণমূলে, উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন, তারও একটি শক্তিশালী বলয় তৈরি হয়েছে।
নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম তালেব হোসেন ও সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম হিরু এক বলয়ে; আর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা কাজী মোহাম্মদ আলী, পৌর মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বাচ্চু এবং কামরুজ্জামান কামরুল অপর একটি বলয়ে নিজেদের সমর্থকদের নিয়ে সক্রিয় আছেন। জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম নেওয়াজ, মাধবদী পৌরসভার মেয়র ও মাধবদী শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিক, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইছাক খলিল বাবু, জেলা ও শহর আওয়ামী লীগের অনেক নেতা ঈগল মার্কার কামরুলের পক্ষে মাঠে কাজ করছেন। জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও নরসিংদী সদর থেকে লাঙ্গল প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব মো. ওমর ফারুক মিয়া রয়েছেন বেশ কোলাহল মুক্ত। সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জোরালোভাবে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচনে বিজয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সদর আসনটি বিএনপির ঘাটি হিসেবে পরিচিত এবং তারা নির্বাচন বর্জন করেছে, তাই বিএনপির ভোট আওয়ামী লীগকে দিবেনা বিএনপির ভোট নাঙ্গল প্রতীকেই প্রদান করবে এবং লাঙ্গল প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত।