ঢাকা ০৮:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

আরেকটি হোয়াইটওয়াশ নাকি ১৬ বছরের দুঃখ ঘোচাবে বাংলাদেশ?

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : ০৭:১০:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

গেল বছর মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে টেস্টে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ। তবে ওয়ানডেতে কিউইদের মাটিতে এখনো হারের বৃত্ত ভাঙতে পারেনি টিম টাইগার্স। এবার আরেকটি হোয়াইটওয়াশের দুয়ারে সফরকারীরা।

ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৪৪ রানের হার দিয়ে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে সৌম্য সরকারের মহাকাব্যিক ইনিংসের পরও ভাগ্যের চাকা ঘুরেনি। টানা হারে ইতোমধ্যে সিরিজ খুইয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের লক্ষ্য হোয়াইটওয়াশ এড়ানো। আগামীকাল (শনিবার) নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায়।

২০০৭ সালে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। সেবার ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর গেল ১৬ বছরে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ৬টি ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। কিন্তু একটি ম্যাচেও জিততে পারেনি। চলতি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে যাওয়ায় নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হারের সংখ্যাটা ১৮তে গিয়ে ঠেকেছে।

২০২৬ সাল পর্যন্ত এফটিপিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আর কোনো সিরিজ না থাকায় তৃতীয় ওয়ানডেই হবে কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশের হারের বৃত্ত ভাঙার শেষ সুযোগ। সেটি করতে পারলে নিউজিল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর পাশাপাশি টানা পঞ্চম হারের লজ্জা থেকে রক্ষা পাবে টাইগাররা। বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের মাটিতে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতেছিল নিউজিল্যান্ড।

টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় দুই ম্যাচেই হারের লজ্জা পায় বাংলাদেশ। বৃষ্টি বিঘ্নিত প্রথম ম্যাচে ২৪৫ রান তাড়া করতে নেমে ৯২ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় টাইগাররা। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮০ রানে বাংলাদেশের চার ব্যাটার সাজঘরে ফেরে। ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর ১৫১ বলে ১৬৯ রানের রেকর্ড গড়া ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফেরান সৌম্য। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে ৭ উইকেটে ২৯১ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। যদিও বাংলাদেশের পুঁজিটাকে মামুলি বানিয়েছে স্বাগতিক ব্যাটাররা।

বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
নিউজিল্যান্ডে হতাশাজনক পারফরম্যান্স থেকে বের হয়ে আসতে দলীয় প্রচেষ্টার ওপর জোর দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সেই সঙ্গে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে দোয়াও চাইলেন তিনি। ম্যাচের আগের দিন আজ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত দুই-একটা পারফরম্যান্স হচ্ছে কিন্তু দল হিসেবে ওই পারফরম্যান্সটা আসছে না। দেখা গেল সৌম্য একা ম্যাচটা ক্যারি করল, মাঝখানে ওরকম কেউ রান করেনি। আমার কাছে মনে হয় এই ধরণের কন্ডিশনে বড় জুটি প্রয়োজন। ওই জিনিসটাই করার চেষ্টা করব আগামীকালের ম্যাচে। আর যেটা বললেন আরেকটা হোয়াইটওয়াশের সামনে, দোয়া করেন যেন ওই জিনিসটা না হয়।’

জয় বঞ্চিত থাকলেও কেউ কেউ ব্যাক্তিগতভাবে দারুণ খেলেছেন। সৌম্য সরকার-রিশাদ হোসেনরা দলকে জেতাতে না পারলেও নিজেদের জায়গা থেকে চেষ্টা করছেন। তাদের অবদান স্বীকার করে প্রশংসা করলেন শান্ত। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘পরের ম্যাচটা জেতার জন্যই খেলব আমরা। শুরুতে একটা গোল সেট করে এসেছিলাম কিন্তু হয়নি। হ্যাঁ, প্রথম ম্যাচটা বৃষ্টির কারণে আমরা কিছুটা আনলাকি ছিলাম আমার কাছে মনে হয়। সেকেন্ড ম্যাচে সৌম্য দারুণ একটা ইনিংস খেলছে। রিশাদ ভালো বোলিং করেছে। এখানেও পজিটিভ অনেক কিছু ছিল।’

আপলোডকারীর তথ্য

চরফ্যাশনের এমপি জ্যাকব ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আবিদের জামিন না মঞ্জুর

আরেকটি হোয়াইটওয়াশ নাকি ১৬ বছরের দুঃখ ঘোচাবে বাংলাদেশ?

আপডেট টাইম : ০৭:১০:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৩

গেল বছর মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে টেস্টে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ। তবে ওয়ানডেতে কিউইদের মাটিতে এখনো হারের বৃত্ত ভাঙতে পারেনি টিম টাইগার্স। এবার আরেকটি হোয়াইটওয়াশের দুয়ারে সফরকারীরা।

ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৪৪ রানের হার দিয়ে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে সৌম্য সরকারের মহাকাব্যিক ইনিংসের পরও ভাগ্যের চাকা ঘুরেনি। টানা হারে ইতোমধ্যে সিরিজ খুইয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের লক্ষ্য হোয়াইটওয়াশ এড়ানো। আগামীকাল (শনিবার) নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায়।

২০০৭ সালে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। সেবার ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর গেল ১৬ বছরে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ৬টি ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। কিন্তু একটি ম্যাচেও জিততে পারেনি। চলতি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে যাওয়ায় নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হারের সংখ্যাটা ১৮তে গিয়ে ঠেকেছে।

২০২৬ সাল পর্যন্ত এফটিপিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আর কোনো সিরিজ না থাকায় তৃতীয় ওয়ানডেই হবে কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশের হারের বৃত্ত ভাঙার শেষ সুযোগ। সেটি করতে পারলে নিউজিল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর পাশাপাশি টানা পঞ্চম হারের লজ্জা থেকে রক্ষা পাবে টাইগাররা। বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের মাটিতে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতেছিল নিউজিল্যান্ড।

টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় দুই ম্যাচেই হারের লজ্জা পায় বাংলাদেশ। বৃষ্টি বিঘ্নিত প্রথম ম্যাচে ২৪৫ রান তাড়া করতে নেমে ৯২ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় টাইগাররা। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮০ রানে বাংলাদেশের চার ব্যাটার সাজঘরে ফেরে। ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর ১৫১ বলে ১৬৯ রানের রেকর্ড গড়া ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফেরান সৌম্য। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে ৭ উইকেটে ২৯১ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। যদিও বাংলাদেশের পুঁজিটাকে মামুলি বানিয়েছে স্বাগতিক ব্যাটাররা।

বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
নিউজিল্যান্ডে হতাশাজনক পারফরম্যান্স থেকে বের হয়ে আসতে দলীয় প্রচেষ্টার ওপর জোর দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সেই সঙ্গে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে দোয়াও চাইলেন তিনি। ম্যাচের আগের দিন আজ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত দুই-একটা পারফরম্যান্স হচ্ছে কিন্তু দল হিসেবে ওই পারফরম্যান্সটা আসছে না। দেখা গেল সৌম্য একা ম্যাচটা ক্যারি করল, মাঝখানে ওরকম কেউ রান করেনি। আমার কাছে মনে হয় এই ধরণের কন্ডিশনে বড় জুটি প্রয়োজন। ওই জিনিসটাই করার চেষ্টা করব আগামীকালের ম্যাচে। আর যেটা বললেন আরেকটা হোয়াইটওয়াশের সামনে, দোয়া করেন যেন ওই জিনিসটা না হয়।’

জয় বঞ্চিত থাকলেও কেউ কেউ ব্যাক্তিগতভাবে দারুণ খেলেছেন। সৌম্য সরকার-রিশাদ হোসেনরা দলকে জেতাতে না পারলেও নিজেদের জায়গা থেকে চেষ্টা করছেন। তাদের অবদান স্বীকার করে প্রশংসা করলেন শান্ত। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘পরের ম্যাচটা জেতার জন্যই খেলব আমরা। শুরুতে একটা গোল সেট করে এসেছিলাম কিন্তু হয়নি। হ্যাঁ, প্রথম ম্যাচটা বৃষ্টির কারণে আমরা কিছুটা আনলাকি ছিলাম আমার কাছে মনে হয়। সেকেন্ড ম্যাচে সৌম্য দারুণ একটা ইনিংস খেলছে। রিশাদ ভালো বোলিং করেছে। এখানেও পজিটিভ অনেক কিছু ছিল।’