গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার অর্ন্তগত বোড়াশী ইউনিয়নের ভেন্নাবাড়ি গ্রামে রাজনৈতিক বিষয়ে কথা কাটাকাটি নিয়ে বোড়াশী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম মোল্লা এবং বোড়াশী ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতি মোঃ মিটু মোল্লার মধ্যে এক পর্যায়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৩০ জন মারাত্বক আহত হয়ে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল সদর হাসপাতাল ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাতপাতালে ভর্তি আছে।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায় ভেন্নাবাড়ি গ্রামের মহাজন বাড়ির ব্রীজের নিকট একটি চায়ের দোকানে বসে বিএনপি নেতা আব্দুল আলীম মোল্লা আসন্ন সংসদ নির্বাচন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও গোপালগঞ্জ-২ আসনের এমপি জনাব শেখ ফজলুল করিম সেলিম কে নিয়ে নানা কটুক্তি করতে থাকে। বোড়াশী ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ মিটু মোল্লা এর প্রতিবাদ করলে আব্দুল আলীম মোল্লা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তার লোকজন নিয়ে মিটু মোল্লার উপর হামলা করে। এখবর গ্রামে পৌছালে সমগ্র গ্রামে সংর্ঘষ ছড়িয়ে পড়ে এবং উভয় পক্ষের লোকজন মারাত্বকভাবে জখম হয়।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আনিচুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা রাবার বুলেট ছোড়ে। প্রায় ১ ঘন্টা পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।
যে কোন অনাকাক্ষিত ঘটনা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আনিচুর রহমান। সংঘর্ষের ব্যাপার বোড়াশী ইউনিয়ন বিএনপিÕর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম মোল্লার সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ উদ্দ্যেশ প্রনোদিত ও ভূয়া।