বহুগুণে গুণান্বিত বিশিষ্ট শিক্ষাবিদি অধ্যক্ষ আবদুল মজিদের সফলতার গল্প পড়ুন।তিনি কুমিল্লার হোমনা উপজেলার জয়নগর গ্রামে ১৯৫০ সালের ৮ অক্টোবর এক মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ আবদুল মজিদের পিতার নাম আলহাজ্ব তোতা মিয়া ও মাতার নাম আলহাজ্ব ফিরোজা বেগম।তিনি ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে বিএসসি(অনার্স) এমএস সি (গণিত) পাশ করেন। ব্যবসায়িক পরিচয় তিনি পপি লাইব্রেরীর স্বত্বাধিকারী। বর্তমান ঠিকানা-৬/১,সেগুনবাগিচা ঢাকা।
তিনি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানিগঞ্জ বদিউল আলম ডিগ্রি কলেজে গণিত বিষয়ে অধ্যাপনা করেছেন দীর্ঘদিন। শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান- কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর অধ্যাপক আবদুল মজিদ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ এবং হোমনা উপজেলায় অবস্থিত রেহেনা মজিদ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতাও তিনি। তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক কার্যক্রম হলো যেমন- ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত হোমনা উপজেলা আ.লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করেছেন নিষ্ঠার সহিত।
২০০১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত হোমনা উপজেলা আ.লীগের আহবায়ক ছিলেন তিনি। ২০০৪ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত হোমনা আ.লীগের নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সততার সহিত তিনি। ২০০৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে কুমিল্লা-২ (হোমনা-মেঘনা) আসনে বাংলাদেশ আ.লীগের মনোনয়ন প্রাপ্ত হয়েছেন কিন্তু,তত্ত্ববধায়ক সরকারের কারণে ওই নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) আসনে বাংলাদেশ আ.লীগের মনোনয়নপ্রাপ্ত হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে অল্প ভোটের ব্যবধানে তিনি পরাজয় বরণ করেন। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনেও বাংলাদেশ আ.লীগের মনোনয়ন প্রাপ্ত হয়েছেন কিন্তু মহাজোট থেকে কুমিল্লা-২(হোমনা-তিতাস) প্রার্থী দেওয়ার কারণে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে তিনি নির্বাচন থেকে বিরত থাকেন।
তিনি বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা। বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সাবেক নির্বাচিত সভাপতি তিনি। বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা বহুমুখী সমিতির নির্বাচিত সভাপতি হলেন- বহুগুণে গুণান্বিত বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ। তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে নিজেকে জড়িয়ে রেখে মানব সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর সহধর্মিণী মিসেস রেহানা বেগম বর্তমান হোমনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-২(হোমনা- মেঘনা)আসন থেকে আ.লীগের মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করে জমাও দিয়েছেন। কিন্তু গত রবিবার সকালে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সকল প্রার্থীদের প্রার্থিতা যাচাই বাছাইয়ে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল বলে ঘোষণা করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু.মুশফিকুর রহমান। এরপরই জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে বের হয়ে তিনি তাঁর নিজের ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করেন, পোস্টে লিখেন-আমার জনপ্রিয়তাকে ভয় পাওয়ার কারণ কি? যড়যন্ত্র করে আমার মনোনয়ন কেন বাতিল করা হবে? আমি আদালতে যাব।