ফাউলের পরেও উঠে দাঁড়িয়েছিলেন আর্লিং হালান্ড। জ্যাক গ্রিলিশকে পাসটাও দিয়েছিলেন। ১৩ মিনিট আগে এমনই রসায়ন থেকে ম্যাচে ফিরে এসেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। স্বাভাবিকভাবেই ৯৪ মিনিটের এই পাস থেকে আশাবাদী ছিলেন হালান্ড। গ্রিলিশ বল জালে জড়াতে পারলেই দুই ম্যাচ পর জয়ের মুখ দেখার সম্ভাবনা ছিল সিটিজেন্সদের।
কিন্তু গ্রিলিশ বল পাওয়ার পরেই যেন হুঁশ ফিরল রেফারির। ম্যানচেস্টার সিটির অ্যাডভান্টেজ প্লে আটকে দিয়ে বাজালেন ফাউলের বাঁশি। স্বাভাবিকভাবেই বেশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন হালান্ড। মাঠেই রেফারির সঙ্গে একচোট তর্কে জড়িয়েছেন। এরপর আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এমন কথা লিখেছেন, যা গালির জন্যই ব্যবহার করা হয়।
হালান্ডের ক্ষোভ, ফাউল ধরলে সঙ্গে সঙ্গেই কেন ধরা হয়নি, কেন বল নিয়ে গোলের কাছাকাছি চলে যাওয়ার পর বাঁশি বাজানো হলো। এসব কাজ করতে গিয়ে মাঠেই হলুদ কার্ড দেখেছিলেন তিনি। এবার ইংলিশ ফুটবলের পক্ষ থেকেও শাস্তি পেতে পারেন তিনি। স্কাই স্পোর্টস জানিয়েছে, এফএ কর্তৃপক্ষের জেরার মুখে পড়েছেন এই স্ট্রাইকার।
ম্যাচের পর আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে সিটি কোচ পেপ গার্দিওলাও হতাশ হয়েছেন এমন সিদ্ধান্তে। হলান্ডের মাঠের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অনেকটা সায় দিয়েছেন তিনি, ‘ক্ষুব্ধ হওয়াটা স্বাভাবিকই, ওর আর বাকি ১০ জন খেলোয়াড়ের প্রতিক্রিয়া একই। আইনে আছে, এ নিয়ে রেফারি বা চতুর্থ রেফারির সঙ্গে কথা বলা যায় না। (যদি বলা যেত) আজ আমাদের ১০ জনই লাল কার্ড দেখত।
রেফারি কী করতে পারতেন, সেটাও বাৎলে দিয়েছেন এই স্প্যানিশ কোচ, ‘আর্লিং যখন মাটিতে পড়ে গেল, তখনই আপনি বাঁশি বাজাতে পারতেন। কিন্তু সে যখন দাঁড়িয়ে গেল, রেফারি তাকে খেলা চালিয়ে যেতে ইশারাও দিলেন। কিন্তু হলান্ড যখন পাসটা দিল, তখনই খেলাটা থামিয়ে দিলেন। আমি তার সমালোচনা করতে চাই না।’