ঢাকা ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পরিবারকে না জানিয়ে বিএনপি নেতা বুলবুলের মরদেহ দাফনের অভিযোগ

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ৩৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য ইমতিয়াজ হাসান বুলবুল মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার রাত ৩টা ২০ মিনিটে রাজধানীর হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। কিন্তু মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর না করে দাফনের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন এক ফেসবুক পোস্টে লিখেন, গত ২২ অক্টোবর প্রথমে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা বুলবুলের পকেটে জোর করে গাঁজা ঢুকিয়ে পুলিশ দিয়ে আটক করায়। পরে তাকে সেদিন ছেড়ে দিলেও ২৪ অক্টোবর ওয়ারী কাজী আরিফ স্কুলের সামনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মীরা মারধর করে আবারও পুলিশে তুলে দেয়। এরপর তাকে থানায় অমানবিক শারীরিক নির্যাতন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, এ সময় পরিবারের সদস্যরা তাকে দেখতে গেলে দেখতে দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে বুলবুলের খোঁজে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে একাধিকবার গেলেও তার হদিস পাওয়া যায়নি। গত ২০ নভেম্বর পরিবার নিশ্চিত হয় বুলবুল কাশিমপুর কারাগারে আছেন। এরপর সেখানে গিয়েও বুলবুলের সঙ্গে দেখা করতে পারেনি তার পরিবারের সদস্যরা।

ইশরাকের দাবি, ২৪ নভেম্বর বুকের ব্যথা বেড়ে গেলে বুলবুলকে নেওয়া হয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে। পুরো বিষয় পরিবারের কাছে গোপন রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার তিনি মারা গেলে পরিবারকে জানানো হয়। বৃহস্পতিবার রাত ৩টা ২০ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক বুলবুলকে মৃত ঘোষণা করার পরই মরদেহ নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর মৃত বুলবুলের ভাগিনা স্থানীয় কৃষক লীগ নেতা শ্যামল ও পলাশের কাছে মরদেহের বিষয়ে জানতে গেলে দিনভর তাদের হয়রানি করা হয়। কখনো মরদেহ দাফন হয়ে গেছে বলে, আবার কখনো মর্গে আছে বলে জানায় তারা। পরে রাত ৯টায় চুপিসারে দাফন করে পুরো বিষয় ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ।

আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জ থানা কর্তৃক মতবিনিময় সভা ও ওপেন হাউজ ডে’র আয়োজন

পরিবারকে না জানিয়ে বিএনপি নেতা বুলবুলের মরদেহ দাফনের অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৫:২৪:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৩

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ৩৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য ইমতিয়াজ হাসান বুলবুল মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার রাত ৩টা ২০ মিনিটে রাজধানীর হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। কিন্তু মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর না করে দাফনের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন এক ফেসবুক পোস্টে লিখেন, গত ২২ অক্টোবর প্রথমে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা বুলবুলের পকেটে জোর করে গাঁজা ঢুকিয়ে পুলিশ দিয়ে আটক করায়। পরে তাকে সেদিন ছেড়ে দিলেও ২৪ অক্টোবর ওয়ারী কাজী আরিফ স্কুলের সামনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মীরা মারধর করে আবারও পুলিশে তুলে দেয়। এরপর তাকে থানায় অমানবিক শারীরিক নির্যাতন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, এ সময় পরিবারের সদস্যরা তাকে দেখতে গেলে দেখতে দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে বুলবুলের খোঁজে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে একাধিকবার গেলেও তার হদিস পাওয়া যায়নি। গত ২০ নভেম্বর পরিবার নিশ্চিত হয় বুলবুল কাশিমপুর কারাগারে আছেন। এরপর সেখানে গিয়েও বুলবুলের সঙ্গে দেখা করতে পারেনি তার পরিবারের সদস্যরা।

ইশরাকের দাবি, ২৪ নভেম্বর বুকের ব্যথা বেড়ে গেলে বুলবুলকে নেওয়া হয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে। পুরো বিষয় পরিবারের কাছে গোপন রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার তিনি মারা গেলে পরিবারকে জানানো হয়। বৃহস্পতিবার রাত ৩টা ২০ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক বুলবুলকে মৃত ঘোষণা করার পরই মরদেহ নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর মৃত বুলবুলের ভাগিনা স্থানীয় কৃষক লীগ নেতা শ্যামল ও পলাশের কাছে মরদেহের বিষয়ে জানতে গেলে দিনভর তাদের হয়রানি করা হয়। কখনো মরদেহ দাফন হয়ে গেছে বলে, আবার কখনো মর্গে আছে বলে জানায় তারা। পরে রাত ৯টায় চুপিসারে দাফন করে পুরো বিষয় ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ।