ঢাকা ০৮:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :

চেয়ারম্যানের প্রতিহিংসা শিকার এক মহিষ ব্যবসায়ী

  • জুড়ী প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : ০৯:২১:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩
  • ১০৯ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে এক ইউপি চেয়ারম্যানের প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এক মহিষ ব্যবসায়ী। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দুইটি মহিষ নিয়ে ওই চেয়ারম্যান তার নিজ ফেইসবুক আইডিতে লাইভ করে মহিষ ব্যবসায়ীকে চোর বলে আখ্যায়িত করেন। এ বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এর প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী মহিষ ব্যবসায়ী।

সংবাদ সম্মেলনের অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের দ্বহপাড়া গ্রামের মৃত ফয়াজ আলীর ছেলে মিনাজ উদ্দিন একজন মহিষ ব্যবসায়ী। তিনি দীর্ঘদিন থেকে মহিষ ব্যবসা করে আসছেন। তিনি উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে মহিষ ক্রয় করেন এবং বিক্রি করেন। সম্প্রতি সময়ে মিনাজ উপজেলার দক্ষিণ সাগরনাল গ্রামের মহিষ ব্যবসায়ী আমির হোসেনের কাছ থেকে তিনটি মহিষ ক্রয় করেন। ২৬ হাজার টাকা বায়না দিয়ে দুইটি মহিষ তিনি নিয়ে আসেন। ক্রয় করা মহিষের বাকি টাকা ফেরত দিতে দেরি করায় আমির হোসেন গোয়ালবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য এমদাদুল ইসলাম মাসুমের কাছে বিচার প্রার্থী হন। বিষয়টি নিয়ে ইউপি সদস্যের বাড়িতে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় মিনাজ মহিষ ক্রয় বাবদ আমির হোসেনকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা দিতে হবে। সেই অনুযায়ী মিনাজ দুইটি চেকের মাধ্যমে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা প্রদান করেন। কিন্তু হঠাৎ গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ইউপি সদস্য মাসুম মিনাজকে কল দিয়ে জানায় আমির হোসেন চেক মানেনা তার টাকা এখনই দিতে হবে। মিনাজ তাৎক্ষণিক টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরদিন শুক্রবার সন্ধ্যায় গোয়ালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম তার নিজ ফেইসবুক আইডি থেকে দুইটি মহিষ দেখিয়ে মিনাজকে চোর বানানোর চেষ্টা করে এবং সামাজিক ভাবে তাকে হেও প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন মিথ্যা অপপ্রচার শুরু করে। মিনাজের দাবি, বিগত ইউপি নির্বাচনে সে নৌকা মার্কার পক্ষে প্রচার-প্রচারণা করে কিন্তু ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপি নেতা আব্দুল কাইয়ুম বিজয়ী হন। আব্দুল কাইয়ুম বিজয়ী হওয়ার পর থেকে নির্বাচনী প্রতিহিংসার কারণে মিনাজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় নাটক সাজানোর চেষ্টা করেছেন এই ঘটনাটি তার একটা অংশ। একটি সুন্দর জিনিস কে সম্পূর্ণ নাটক সাজিয়ে তাকে চোর বানানোর চেষ্টা করছে।

এবিষয়ে জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি, আমরা যদি অভিযোগ পাই তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে চিকিৎসার চেক হস্তান্ত, সাবেক এম পি নুরুল আমিন রুহুল

চেয়ারম্যানের প্রতিহিংসা শিকার এক মহিষ ব্যবসায়ী

আপডেট টাইম : ০৯:২১:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে এক ইউপি চেয়ারম্যানের প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এক মহিষ ব্যবসায়ী। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দুইটি মহিষ নিয়ে ওই চেয়ারম্যান তার নিজ ফেইসবুক আইডিতে লাইভ করে মহিষ ব্যবসায়ীকে চোর বলে আখ্যায়িত করেন। এ বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এর প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী মহিষ ব্যবসায়ী।

সংবাদ সম্মেলনের অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের দ্বহপাড়া গ্রামের মৃত ফয়াজ আলীর ছেলে মিনাজ উদ্দিন একজন মহিষ ব্যবসায়ী। তিনি দীর্ঘদিন থেকে মহিষ ব্যবসা করে আসছেন। তিনি উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে মহিষ ক্রয় করেন এবং বিক্রি করেন। সম্প্রতি সময়ে মিনাজ উপজেলার দক্ষিণ সাগরনাল গ্রামের মহিষ ব্যবসায়ী আমির হোসেনের কাছ থেকে তিনটি মহিষ ক্রয় করেন। ২৬ হাজার টাকা বায়না দিয়ে দুইটি মহিষ তিনি নিয়ে আসেন। ক্রয় করা মহিষের বাকি টাকা ফেরত দিতে দেরি করায় আমির হোসেন গোয়ালবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য এমদাদুল ইসলাম মাসুমের কাছে বিচার প্রার্থী হন। বিষয়টি নিয়ে ইউপি সদস্যের বাড়িতে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় মিনাজ মহিষ ক্রয় বাবদ আমির হোসেনকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা দিতে হবে। সেই অনুযায়ী মিনাজ দুইটি চেকের মাধ্যমে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা প্রদান করেন। কিন্তু হঠাৎ গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ইউপি সদস্য মাসুম মিনাজকে কল দিয়ে জানায় আমির হোসেন চেক মানেনা তার টাকা এখনই দিতে হবে। মিনাজ তাৎক্ষণিক টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরদিন শুক্রবার সন্ধ্যায় গোয়ালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম তার নিজ ফেইসবুক আইডি থেকে দুইটি মহিষ দেখিয়ে মিনাজকে চোর বানানোর চেষ্টা করে এবং সামাজিক ভাবে তাকে হেও প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন মিথ্যা অপপ্রচার শুরু করে। মিনাজের দাবি, বিগত ইউপি নির্বাচনে সে নৌকা মার্কার পক্ষে প্রচার-প্রচারণা করে কিন্তু ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপি নেতা আব্দুল কাইয়ুম বিজয়ী হন। আব্দুল কাইয়ুম বিজয়ী হওয়ার পর থেকে নির্বাচনী প্রতিহিংসার কারণে মিনাজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় নাটক সাজানোর চেষ্টা করেছেন এই ঘটনাটি তার একটা অংশ। একটি সুন্দর জিনিস কে সম্পূর্ণ নাটক সাজিয়ে তাকে চোর বানানোর চেষ্টা করছে।

এবিষয়ে জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি, আমরা যদি অভিযোগ পাই তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।