ঢাকা ০১:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
রাতের আঁধারে নয়

ভোটের মাধ্যমেই হবে সরকার গঠন: প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অস্ত্র হাতে রাতের অন্ধকারে না, ভোটের মধ্য দিয়ে সরকার গঠন হবে। তিনি আরও বলেন, সবসময় আমাদের লক্ষ্য ছিল জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের জেলা কার্যালয়ে দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ২০০৬ সালে এক কোটি ভুয়া ভোটার তালিকা তৈরি করে নির্বাচন ম্যানিপুলেট করার চেষ্টা করে। কিন্তু সেই নির্বাচন বানচাল হয়ে যাওয়ায় তারা তা করতে পারেনি। এর ফলে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। কাজেই ভোট চুরি করলে এ দেশের মানুষ মেনে নেয় না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সরকারে আসার পর থেকে একের পর এক নির্বাচন হয়েছে। এখানে নানা ধরনের অনিয়ম দেখেছি। যখনই আমরা সুযোগ পেয়েছি সেগুলো সংশোধন করে জনগণের ভোটের অধিকার যাতে নিশ্চিত হয়, তার ব্যবস্থা করেছি। নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি আইন পর্যন্ত করে দিলাম। আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব— এই স্লোগান দিয়ে আমরা মানুষকে তাদের ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করি এবং ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করি।

ভোট চুরির অপরাধে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে পদত্যাগ করতে হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৯৬’ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচন করার কারণে জনগণের আন্দোলনের মুখে দেড় মাসের মধ্যে খালেদা জিয়া পদত্যাগ করতে হয়। আবার ২০০১ সালে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে দালালি করে ক্ষমতায় এসেছিল। ক্ষমতায় এসে তারা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস-দুর্নীতি ও মানুষের ওপর অত্যাচার করেছিল। যার কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অস্ত্র হাতে রাতের অন্ধকারে না, ভোটের মধ্য দিয়েই সরকার গঠন হবে বলে সভায় জোর আশাবাদ ব্যাক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াতের চলমান আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

রাতের আঁধারে নয়

ভোটের মাধ্যমেই হবে সরকার গঠন: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৭:৩১:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অস্ত্র হাতে রাতের অন্ধকারে না, ভোটের মধ্য দিয়ে সরকার গঠন হবে। তিনি আরও বলেন, সবসময় আমাদের লক্ষ্য ছিল জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের জেলা কার্যালয়ে দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ২০০৬ সালে এক কোটি ভুয়া ভোটার তালিকা তৈরি করে নির্বাচন ম্যানিপুলেট করার চেষ্টা করে। কিন্তু সেই নির্বাচন বানচাল হয়ে যাওয়ায় তারা তা করতে পারেনি। এর ফলে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। কাজেই ভোট চুরি করলে এ দেশের মানুষ মেনে নেয় না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সরকারে আসার পর থেকে একের পর এক নির্বাচন হয়েছে। এখানে নানা ধরনের অনিয়ম দেখেছি। যখনই আমরা সুযোগ পেয়েছি সেগুলো সংশোধন করে জনগণের ভোটের অধিকার যাতে নিশ্চিত হয়, তার ব্যবস্থা করেছি। নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি আইন পর্যন্ত করে দিলাম। আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব— এই স্লোগান দিয়ে আমরা মানুষকে তাদের ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করি এবং ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করি।

ভোট চুরির অপরাধে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে পদত্যাগ করতে হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৯৬’ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচন করার কারণে জনগণের আন্দোলনের মুখে দেড় মাসের মধ্যে খালেদা জিয়া পদত্যাগ করতে হয়। আবার ২০০১ সালে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে দালালি করে ক্ষমতায় এসেছিল। ক্ষমতায় এসে তারা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস-দুর্নীতি ও মানুষের ওপর অত্যাচার করেছিল। যার কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অস্ত্র হাতে রাতের অন্ধকারে না, ভোটের মধ্য দিয়েই সরকার গঠন হবে বলে সভায় জোর আশাবাদ ব্যাক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াতের চলমান আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।