ঢাকা ০৫:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

গুলিস্তানে সতর্ক অবস্থানে আ.লীগ : নেতা আছে কর্মী নেই

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : ১১:২৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০২৩
  • ৭১ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধে সন্ত্রাস, নাশকতা ও নৈরাজ্যে ঠেকাতে রাজধানীর গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। রোববার (৫ নভেম্বর) সকাল ৯টার পর একে একে নেতারা আসতে শুরু করেন। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ১০ থেকে ১৫ জন নেতা জড়ো হয়ে কার্যালয়ের সামনে সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন। তবে সেখানে কর্মীদের সংখ্যা হাতেগোনা।

নেতাকর্মীরা জানান, বিএনপি নাশকতার নামে নির্বাচন বানচাল করতে চায়। জনগণের জানমালের ক্ষতি করতে চায়। তারা দেশকে একটি অস্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে যেতে চায়। জনগণের জানমাল রক্ষায় তাদের এই সহিংসতার বিরুদ্ধে আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি, সতর্ক পাহারায় আছি।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিযাজ উদ্দিন রিয়াজ দলীয় কার্যালয়ের সামনে আসেন। তখন সেখানে আর কাউকে দেখা যায়নি। তবে বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগের অন্য নেতাকর্মীরাও আসতে থাকেন।
সরেজমিনে আরও দেখা যায়, সকাল ৯টা থেকে নেতারা একে একে উপস্থিত হন। তাদের সঙ্গে চার থেকে পাঁচ জন করে কর্মী আসতে দেখা যায়। নেতাদের কেউ পাজেরো করে, আবার কেউ মোটরসাইকেলে করে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আসেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর কালো রঙের একটি জিপ গাড়িতে করে আসেন। এসময় তার সঙ্গে ১০টি মোটরসাইকেলে করে কর্মীরা আসেন।dhakapost

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান সিরাজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর নেতৃত্বে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন সংগঠনের সহ সভাপতি হেদায়াতুল ইসলাম স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোরশেদ হোসেন কামাল, মিরাজ হোসেন, মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির, আক্তার হোসেন, আইন সম্পাদক জগলুর কবির, দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ। এছাড়া আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদও উপস্থিত রয়েছেন।এছাড়া আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে যুবলীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ আলাদাভাবে অবস্থান নিয়েছে।

উল্লেখ্য, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে এবং মির্জা ফখরুলসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে রোববার সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। তাদের শরিকরাও এই অবরোধ পালন করবে। পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীও আলাদা করে এই ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।

এর আগে গত সপ্তাহের শেষ তিন দিন (৩১ অক্টোবর-২ নভেম্বর) টানা অবরোধ পালন করে বিএনপি-জামায়াত। তার আগে ২৯ অক্টোবর হরতাল পালন করে বিএনপি ও এর শরিকরা।

গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বড় ধরনের সমাবেশ করে বিএনপি, জামায়াত ও আওয়ামী লীগ। সেদিন দুপুরের দিকে বিএনপির সমাবেশে আসা লোকজনের সঙ্গে কাকরাইল মোড়ের কাছে আওয়ামী লীগের সমাবেশগামী লোকজনের সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ সেখানে হস্তক্ষেপ করার পর একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা হয় এবং বেশকিছু গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। উপস্থিত সাংবাদিকদেরও ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও উপর্যুপরি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে বিএনপির সমাবেশ ভন্ডুল করে দেয়। এর ফলে সংঘর্ষ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে এক পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় এবং পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালানো হয়।

সমাবেশ বানচালের প্রতিবাদে পরদিন ২৯ অক্টোবর বিএনপি হরতাল পালন করে। একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হয়।

এদিকে, হরতালের দিন এবং পরবর্তী কয়েকদিনে মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

গুলিস্তানে সতর্ক অবস্থানে আ.লীগ : নেতা আছে কর্মী নেই

আপডেট টাইম : ১১:২৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধে সন্ত্রাস, নাশকতা ও নৈরাজ্যে ঠেকাতে রাজধানীর গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। রোববার (৫ নভেম্বর) সকাল ৯টার পর একে একে নেতারা আসতে শুরু করেন। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ১০ থেকে ১৫ জন নেতা জড়ো হয়ে কার্যালয়ের সামনে সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন। তবে সেখানে কর্মীদের সংখ্যা হাতেগোনা।

নেতাকর্মীরা জানান, বিএনপি নাশকতার নামে নির্বাচন বানচাল করতে চায়। জনগণের জানমালের ক্ষতি করতে চায়। তারা দেশকে একটি অস্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে যেতে চায়। জনগণের জানমাল রক্ষায় তাদের এই সহিংসতার বিরুদ্ধে আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি, সতর্ক পাহারায় আছি।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিযাজ উদ্দিন রিয়াজ দলীয় কার্যালয়ের সামনে আসেন। তখন সেখানে আর কাউকে দেখা যায়নি। তবে বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগের অন্য নেতাকর্মীরাও আসতে থাকেন।
সরেজমিনে আরও দেখা যায়, সকাল ৯টা থেকে নেতারা একে একে উপস্থিত হন। তাদের সঙ্গে চার থেকে পাঁচ জন করে কর্মী আসতে দেখা যায়। নেতাদের কেউ পাজেরো করে, আবার কেউ মোটরসাইকেলে করে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আসেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর কালো রঙের একটি জিপ গাড়িতে করে আসেন। এসময় তার সঙ্গে ১০টি মোটরসাইকেলে করে কর্মীরা আসেন।dhakapost

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান সিরাজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর নেতৃত্বে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন সংগঠনের সহ সভাপতি হেদায়াতুল ইসলাম স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোরশেদ হোসেন কামাল, মিরাজ হোসেন, মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির, আক্তার হোসেন, আইন সম্পাদক জগলুর কবির, দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ। এছাড়া আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদও উপস্থিত রয়েছেন।এছাড়া আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে যুবলীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ আলাদাভাবে অবস্থান নিয়েছে।

উল্লেখ্য, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে এবং মির্জা ফখরুলসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে রোববার সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। তাদের শরিকরাও এই অবরোধ পালন করবে। পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীও আলাদা করে এই ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।

এর আগে গত সপ্তাহের শেষ তিন দিন (৩১ অক্টোবর-২ নভেম্বর) টানা অবরোধ পালন করে বিএনপি-জামায়াত। তার আগে ২৯ অক্টোবর হরতাল পালন করে বিএনপি ও এর শরিকরা।

গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বড় ধরনের সমাবেশ করে বিএনপি, জামায়াত ও আওয়ামী লীগ। সেদিন দুপুরের দিকে বিএনপির সমাবেশে আসা লোকজনের সঙ্গে কাকরাইল মোড়ের কাছে আওয়ামী লীগের সমাবেশগামী লোকজনের সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ সেখানে হস্তক্ষেপ করার পর একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা হয় এবং বেশকিছু গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। উপস্থিত সাংবাদিকদেরও ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও উপর্যুপরি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে বিএনপির সমাবেশ ভন্ডুল করে দেয়। এর ফলে সংঘর্ষ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে এক পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় এবং পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালানো হয়।

সমাবেশ বানচালের প্রতিবাদে পরদিন ২৯ অক্টোবর বিএনপি হরতাল পালন করে। একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হয়।

এদিকে, হরতালের দিন এবং পরবর্তী কয়েকদিনে মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।