নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ডে পার্কিং থাকা অবস্থায় বাসে আগুন দেয়ার ঘটনায় ২৭০ বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। বাসের মালিক নিজেই জানেনা কার বিরুদ্ধে কখন কে বাদি হয়ে মামলা করেছে।
শুক্রবার বিকালে কেন্দুয়া থানার ওসি এনামুল হক জানিয়েছেন, থানার এসআই দেবাশীষ চন্দ্র দত্ত বাদি হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম হিলালী, কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ভুইয়া দুলালসহ ১২০ জনের নাম ল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাত পরিচয়ের আরো ১৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এআই তাপস বণিক জানান, এই মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গেপ্তাররা ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের বিএনপির নেতা-কর্মী। তাদেরকে বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হবে।
মামলায় বিএনপির ডাকা অবরোধের মধ্যে বুধবার রাত পৌনে তিনটার দিকে আসামীরা লাঠিসোটা নিয়ে বেআইনী জনতাবদ্ধ হয়ে বাসে আগুন দেয়। তারা আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি করাসহ নানা অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ব্যাপারে হিরণ এন্টারপ্রাইজ এর মালিকের বড় ভাই রুবেল জানায়, আমার এই বাস পুড়ার ঘটনা কোন রাজনৈতিক ইসু নয়। বাসষ্টেন্ডের জায়গা নিয়ে আমার এক জনের সাথে দির্ঘদিন যাবৎ বিরুধ আছে, বিএনপির ডাকা অবরোধকে কাজে লাগিয়ে সেও কাজটা ঘটাতে পারে।
আমার এই ব্যাপারটা রাজনৈতিক ইসুতে নেওয়া হয়েছে। আমি রাজনৈতিক বলি হইতেছি। বিষয়টা নিয়া রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল হইতেছে ক্ষতিতো আমার হইছে।
আমি যখন ওসি সাহেবকে বল্লাম, আমি কি একটা সাধারণ ডায়রী করতে পারি? তখন তিনি আমাকে বল্লেন এটাতো ইতিমধ্যে মামলা হয়ে গেছে। আমি নিজেই জানিনা কখন কে বাদি হয়ে কার বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
ব্যাপারে বিএনপি নেতা দেলুয়ার হোসেন দুলাল বলেন, এই মামলাটি একটি রাজনৈতিক মামলা। যার বাস পুড়েছে সে কোন মামলা করেনি, মামলা দায়ের করার সময় তাকেও কোন জিজ্ঞেস করা হয়নি তিনি মামলা করবেন কি না। বিএনপির এই আন্দোলন ও নেতাকর্মীদের হয়রানি করার জন্যই এই মামলার উদ্দেশ্য । আমি এই উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়রানি মামলার তিব্র নিন্দা জানাই। অবিলম্বে এই হয়রানি মামলা প্রত্যাহার চাই।