ঢাকা ০১:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বিমান বাহিনী জাতির গর্বের প্রতীক

ফাইল ছবি

আলোর জগত ডেস্ক :  রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বিমান বাহিনী জাতির গর্বের প্রতীক। দেশের আকাশসীমার প্রতিরক্ষা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি জাতীয় যেকোনো প্রয়োজনে দেশ ও জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে বিমান বাহিনীর সদস্যরা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছেন। গতকাল দুপুরে যশোরে বিমান বাহিনী একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে বিমান বাহিনীর ৭৫তম বাফা কোর্স ও ডিরেক্ট এন্ট্রি ২০১৮ কোর্সের কমিশন প্রাপ্তি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সকলের জন্য বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’- জাতির পিতার অনুসৃত নীতির আলোকে আমাদের পররাষ্ট্র নীতি পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ যুদ্ধ নয়, শান্তি চায়। কিন্তু আমাদের বাহিনীসমূহ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এজন্য প্রয়োজন রয়েছে দক্ষতা, যুদ্ধ উপকরণ ও আত্মনির্ভরশীলতা। সেই লক্ষ্যে নিকট ভবিষ্যতে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধ বিমান, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রাডার ও অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র বিমান বাহিনীতে সংযোজন করা হবে। এর মাধ্যমে বিমান বাহিনীর সক্ষমতা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। বিশ্বায়নের এ যুগে বাংলাদেশ এভিয়েশন সেক্টরকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন এবং লালমনিরহাটে বিমান বাহিনীর জন্য অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রি নির্মাণের প্রক্রিয়া এগিয়ে যাচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী বিমান তৈরির মতো সক্ষমতা অর্জন করবে এবং বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

এ সময় বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, বিমান বাহিনী একাডেমির কমান্ড্যান্ট এয়ার কমোডর মো. শাফকাত আলীসহ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজের মাধ্যমে বিমান বাহিনীর ১০ জন মহিলা ক্যাডেটসহ ৬১ জন ফ্লাইট ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন। কুচকাওয়াজ শেষে বিমান বাহিনী একাডেমির বিভিন্ন প্রকার বিমানের মনোজ্ঞ ফ্লাইপাস্ট অনুষ্ঠিত হয়। ফোর্সে সেরা চৌকস কৃতিত্বের জন্য ফ্লাইট ক্যাডেট স্কোয়াড্রন জুনিয়র আন্ডার অফিসার রিয়ানা আজাদকে ‘সোর্ড অব অনার’ এবং ফ্লাইট ক্যাডেট বিএম তানভীর ইসলাম রাব্বী জেনারেল সার্ভিস প্রশিক্ষণ কৃতিত্বের জন্য ‘কমান্ড্যান্টস ট্রফি’ ট্রফি লাভ করেন। উড্ডয়ন প্রশিক্ষণে সেরা কৃতিত্বের জন্য ফ্লাইট ক্যাডেট আর এইচ এম নাফী ‘বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ট্রফি’ এবং গ্রাউন্ড ব্রাঞ্চে সেরা কৃতিত্বের জন্য ফ্লাইট ক্যাডেট মো. নাফিজ-আল-মানারকে ‘বিমান বাহিনী প্রধান ট্রফি’ প্রদান করা হয়। এদিকে ১ নম্বর স্কোয়াড্রন চ্যাম্পিয়ন বিবেচিত হয়ে একাডেমি পতাকা লাভ করে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

বিমান বাহিনী জাতির গর্বের প্রতীক

আপডেট টাইম : ০৪:২৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮

আলোর জগত ডেস্ক :  রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বিমান বাহিনী জাতির গর্বের প্রতীক। দেশের আকাশসীমার প্রতিরক্ষা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি জাতীয় যেকোনো প্রয়োজনে দেশ ও জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে বিমান বাহিনীর সদস্যরা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছেন। গতকাল দুপুরে যশোরে বিমান বাহিনী একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে বিমান বাহিনীর ৭৫তম বাফা কোর্স ও ডিরেক্ট এন্ট্রি ২০১৮ কোর্সের কমিশন প্রাপ্তি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সকলের জন্য বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’- জাতির পিতার অনুসৃত নীতির আলোকে আমাদের পররাষ্ট্র নীতি পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ যুদ্ধ নয়, শান্তি চায়। কিন্তু আমাদের বাহিনীসমূহ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এজন্য প্রয়োজন রয়েছে দক্ষতা, যুদ্ধ উপকরণ ও আত্মনির্ভরশীলতা। সেই লক্ষ্যে নিকট ভবিষ্যতে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধ বিমান, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রাডার ও অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র বিমান বাহিনীতে সংযোজন করা হবে। এর মাধ্যমে বিমান বাহিনীর সক্ষমতা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। বিশ্বায়নের এ যুগে বাংলাদেশ এভিয়েশন সেক্টরকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন এবং লালমনিরহাটে বিমান বাহিনীর জন্য অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রি নির্মাণের প্রক্রিয়া এগিয়ে যাচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী বিমান তৈরির মতো সক্ষমতা অর্জন করবে এবং বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

এ সময় বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, বিমান বাহিনী একাডেমির কমান্ড্যান্ট এয়ার কমোডর মো. শাফকাত আলীসহ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজের মাধ্যমে বিমান বাহিনীর ১০ জন মহিলা ক্যাডেটসহ ৬১ জন ফ্লাইট ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন। কুচকাওয়াজ শেষে বিমান বাহিনী একাডেমির বিভিন্ন প্রকার বিমানের মনোজ্ঞ ফ্লাইপাস্ট অনুষ্ঠিত হয়। ফোর্সে সেরা চৌকস কৃতিত্বের জন্য ফ্লাইট ক্যাডেট স্কোয়াড্রন জুনিয়র আন্ডার অফিসার রিয়ানা আজাদকে ‘সোর্ড অব অনার’ এবং ফ্লাইট ক্যাডেট বিএম তানভীর ইসলাম রাব্বী জেনারেল সার্ভিস প্রশিক্ষণ কৃতিত্বের জন্য ‘কমান্ড্যান্টস ট্রফি’ ট্রফি লাভ করেন। উড্ডয়ন প্রশিক্ষণে সেরা কৃতিত্বের জন্য ফ্লাইট ক্যাডেট আর এইচ এম নাফী ‘বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ট্রফি’ এবং গ্রাউন্ড ব্রাঞ্চে সেরা কৃতিত্বের জন্য ফ্লাইট ক্যাডেট মো. নাফিজ-আল-মানারকে ‘বিমান বাহিনী প্রধান ট্রফি’ প্রদান করা হয়। এদিকে ১ নম্বর স্কোয়াড্রন চ্যাম্পিয়ন বিবেচিত হয়ে একাডেমি পতাকা লাভ করে।