ঢাকা ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি শরিফুল শেখ ও তথি বেগম’কে ফরিদপুরের কোতোয়ালি এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী এলাকা হতে ২৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা Logo আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের শ্রদ্ধা

ঢাকায় ১ মিনিট শব্দহীন কর্মসূচি, ১১ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক


শব্দ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মানুষকে মুক্ত রাখতে আগামী ১৫ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে ১০টা ১ মিনিট পর্যন্ত ঢাকা মহানগরে ‘১ মিনিট শব্দহীন’ কর্মসূচি পালন করবে সরকার। এছাড়া এ কর্মসূচি সফল করতে ঢাকা শহরের ১১টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মানববন্ধন করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, শব্দ সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ‘শব্দদূষণ বন্ধ করি, নিরব মিনিট পালন করি’ স্লোগানে ঢাকা শহরে আগামী ১৫ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে ১০টা ১ মিনিট পর্যন্ত ১ মিনিট শব্দহীন কর্মসূচি পালন করা হবে। এই কর্মসূচি সফল করতে ঢাকা শহরের ১১টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্কুল-কলেজের স্কাউট সদস্য, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী, ট্রাফিক পুলিশ ও পরিবহন মালিক সমিতির সদস্যরা ব্যানার, ফেস্টুনসহ উপস্থিত থেকে মানববন্ধন করবেন।

স্থানগুলো হলো-ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের সামনে, শাহবাগ মোড়, উত্তরা, বিজয় সরণী মোড়, মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর, গাবতলী, মগবাজার, মহাখালী, গুলশান-১, কমলাপুর, বৌদ্ধমন্দির ও যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায়। পরিবেশ সচিব জানান, মানববন্ধন থেকে গাড়ি চালকদের মধ্যে শব্দসচেতনতামূলক লিফলেট, স্টিকার বিতরণ করা হবে। ওই ১ মিনিট হর্ণ বাজানো থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানানো হবে।

শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ জানিয়ে তিনি বলেন, অতিমাত্রায় শব্দদূষণের কারণে কানে কম শোনা, আংশিক বা পুরোপুরি বধিরতা, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, অনিদ্রা এবং মনোসংযোগ নষ্টসহ বিভিন্ন মানসিক সমস্যা, গর্ভবতী মায়েদের অকাল গর্ভপাত, গর্ভস্থ বাচ্চা বধির বা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুর জন্ম হবার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। শব্দদূষণের ফলে দেশের মানব সম্পদ তথা সামগ্রিক প্রবৃদ্ধির (জিডিপি) ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বর্তমানে ঢাকা শহরের শব্দদূষণ আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে জানিয়ে পরিবেশ সচিব বলেন, এ প্রেক্ষিতে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

এক প্রশ্নে সচিব জানান, শব্দ দূষণের উৎস আমরা চিহ্নিত করেছি। শব্দ দূষণের প্রধান খাত হিসেবে পরিবহন খাতকে চিহ্নিত করা হয়েছে। গাড়ি চলাচল ও অযথা হর্ন বাজানোয় শব্দ দূষণ হয়। নির্মাণ খাত, কলকারখানা থেকেও শব্দ দূষণ হচ্ছে। পরিবহন খাত থেকে সব থেকে বেশি শব্দ দূষণ হওয়ায় বিআরটিএ ও বিআরটিসির সঙ্গে পরিবেশ মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলেও জানান সচিব ফারহিনা আহমেদ। সচিবালয়ের চারপাশ কেন শব্দহীন করা যাচ্ছে না, এ প্রশ্নে সচিব বলেন, আমরা একা সক্ষম হলে হবে না। আইনটি সবাইকে সমানভাবে বুঝতে হবে এবং জানতে হবে। মোবাইল কোর্ট করলে যানজট হয়। ফলে বাস্তবতার নিরীখে আমরা এনফোর্সমেন্টে যেতে পারছি না। আমি ব্যর্থ বলব না, প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

ঢাকায় ১ মিনিট শব্দহীন কর্মসূচি, ১১ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মানববন্ধন

আপডেট টাইম : ০৩:০৭:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক


শব্দ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মানুষকে মুক্ত রাখতে আগামী ১৫ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে ১০টা ১ মিনিট পর্যন্ত ঢাকা মহানগরে ‘১ মিনিট শব্দহীন’ কর্মসূচি পালন করবে সরকার। এছাড়া এ কর্মসূচি সফল করতে ঢাকা শহরের ১১টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মানববন্ধন করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, শব্দ সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ‘শব্দদূষণ বন্ধ করি, নিরব মিনিট পালন করি’ স্লোগানে ঢাকা শহরে আগামী ১৫ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে ১০টা ১ মিনিট পর্যন্ত ১ মিনিট শব্দহীন কর্মসূচি পালন করা হবে। এই কর্মসূচি সফল করতে ঢাকা শহরের ১১টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্কুল-কলেজের স্কাউট সদস্য, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী, ট্রাফিক পুলিশ ও পরিবহন মালিক সমিতির সদস্যরা ব্যানার, ফেস্টুনসহ উপস্থিত থেকে মানববন্ধন করবেন।

স্থানগুলো হলো-ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের সামনে, শাহবাগ মোড়, উত্তরা, বিজয় সরণী মোড়, মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর, গাবতলী, মগবাজার, মহাখালী, গুলশান-১, কমলাপুর, বৌদ্ধমন্দির ও যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায়। পরিবেশ সচিব জানান, মানববন্ধন থেকে গাড়ি চালকদের মধ্যে শব্দসচেতনতামূলক লিফলেট, স্টিকার বিতরণ করা হবে। ওই ১ মিনিট হর্ণ বাজানো থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানানো হবে।

শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ জানিয়ে তিনি বলেন, অতিমাত্রায় শব্দদূষণের কারণে কানে কম শোনা, আংশিক বা পুরোপুরি বধিরতা, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, অনিদ্রা এবং মনোসংযোগ নষ্টসহ বিভিন্ন মানসিক সমস্যা, গর্ভবতী মায়েদের অকাল গর্ভপাত, গর্ভস্থ বাচ্চা বধির বা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুর জন্ম হবার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। শব্দদূষণের ফলে দেশের মানব সম্পদ তথা সামগ্রিক প্রবৃদ্ধির (জিডিপি) ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বর্তমানে ঢাকা শহরের শব্দদূষণ আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে জানিয়ে পরিবেশ সচিব বলেন, এ প্রেক্ষিতে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

এক প্রশ্নে সচিব জানান, শব্দ দূষণের উৎস আমরা চিহ্নিত করেছি। শব্দ দূষণের প্রধান খাত হিসেবে পরিবহন খাতকে চিহ্নিত করা হয়েছে। গাড়ি চলাচল ও অযথা হর্ন বাজানোয় শব্দ দূষণ হয়। নির্মাণ খাত, কলকারখানা থেকেও শব্দ দূষণ হচ্ছে। পরিবহন খাত থেকে সব থেকে বেশি শব্দ দূষণ হওয়ায় বিআরটিএ ও বিআরটিসির সঙ্গে পরিবেশ মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলেও জানান সচিব ফারহিনা আহমেদ। সচিবালয়ের চারপাশ কেন শব্দহীন করা যাচ্ছে না, এ প্রশ্নে সচিব বলেন, আমরা একা সক্ষম হলে হবে না। আইনটি সবাইকে সমানভাবে বুঝতে হবে এবং জানতে হবে। মোবাইল কোর্ট করলে যানজট হয়। ফলে বাস্তবতার নিরীখে আমরা এনফোর্সমেন্টে যেতে পারছি না। আমি ব্যর্থ বলব না, প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।