১২:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

৭ বছরের শিশুর ইউটিউব থেকে আয় শত কোটি টাকা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:৪৬:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৮
  • ৩০২ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :   ইউটিউব থেকে শত কোটি টাকার বেশি আয় করেছে মাত্র সাত বছরের এক শিশু। ইউটিউবে বিভিন্ন খেলনার ভিডিও দেখিয়ে এত টাকা আয় করা ওই শিশুর নাম রায়ান। রায়ান ইউটিউব থেকে ইতিমধ্যে আয় করেছে ১৭৬ কোটি টাকা। সেই সঙ্গে ইউটিউব থেকে বেশি আয় করা তারকায় পরিণত হতে চলেছে।

আয়কর বা এজেন্টদের ফি ছাড়া রায়ানের আয় গতবছরের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে।

এনবিসি চ্যানেল রায়ানের কাছে জানতে চেয়েছিল, শিশুরা কেন তার ভিডিওগুলো দেখতে পছন্দ করে? রায়ানের তড়িৎ উত্তর, ‘কারণ আমি মজা করতে পারি।’

রায়ানের বাবা-মা ২০১৫ সালে ওই চ্যানেলটি তৈরি করেন। এরপর এখানকার ভিডিওগুলো এ পর্যন্ত ২ হাজার ৬০০ কোটিবার দেখা হয়েছে । এই চ্যানেলের ১ কোটি ৭৩ লাখ ফলোয়ার রয়েছে।

‘ফোর্বস’ বলছে, ভিডিও শুরুর আগে যে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়, তা থেকেই ২১ মিলিয়ন ডলার (৮০ টাকা ডলার হিসাবে ১৬৬ কোটি টাকা) আয় করেছে রায়ান।

এই ভিডিওতে যেসব খেলনার বর্ণনা তুলে ধরা হয়, সেসব খেলনা খুব দ্রুত বিক্রি হয়ে যায়।

গত আগস্ট থেকে ‘রায়ান’স ওয়ার্ল্ড’ নামে খেলনা আর পোশাকের বেশ কিছু আইটেম বিক্রি করতে শুরু করে খুচরা পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্ট। এখানে একটি ভিডিও দেখানো হয়, রায়ান এবং তার বাবা-মা নিজেদের খেলনা খুঁজছে। এ ভিডিওটি ইউটিউবে গত তিন মাসের মধ্যে প্রায় দেড় কোটি বার দেখা হয়েছে। ওয়ালমার্ট থেকে পাওয়া লভ্যাংশ সামনের বছর রায়ানের আয়ে যোগ হবে বলে বলছে ফোর্বস।শিশু হওয়ার কারণে রায়ানের মোট আয়ের ১৫ শতাংশ একটি ব্যাংক একাউন্টে জমা করে রাখা হচ্ছে। যখন সে প্রাপ্তবয়স্ক হবে, তখন এই টাকা তুলতে পারবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

৭ বছরের শিশুর ইউটিউব থেকে আয় শত কোটি টাকা

Update Time : ০১:৪৬:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :   ইউটিউব থেকে শত কোটি টাকার বেশি আয় করেছে মাত্র সাত বছরের এক শিশু। ইউটিউবে বিভিন্ন খেলনার ভিডিও দেখিয়ে এত টাকা আয় করা ওই শিশুর নাম রায়ান। রায়ান ইউটিউব থেকে ইতিমধ্যে আয় করেছে ১৭৬ কোটি টাকা। সেই সঙ্গে ইউটিউব থেকে বেশি আয় করা তারকায় পরিণত হতে চলেছে।

আয়কর বা এজেন্টদের ফি ছাড়া রায়ানের আয় গতবছরের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে।

এনবিসি চ্যানেল রায়ানের কাছে জানতে চেয়েছিল, শিশুরা কেন তার ভিডিওগুলো দেখতে পছন্দ করে? রায়ানের তড়িৎ উত্তর, ‘কারণ আমি মজা করতে পারি।’

রায়ানের বাবা-মা ২০১৫ সালে ওই চ্যানেলটি তৈরি করেন। এরপর এখানকার ভিডিওগুলো এ পর্যন্ত ২ হাজার ৬০০ কোটিবার দেখা হয়েছে । এই চ্যানেলের ১ কোটি ৭৩ লাখ ফলোয়ার রয়েছে।

‘ফোর্বস’ বলছে, ভিডিও শুরুর আগে যে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়, তা থেকেই ২১ মিলিয়ন ডলার (৮০ টাকা ডলার হিসাবে ১৬৬ কোটি টাকা) আয় করেছে রায়ান।

এই ভিডিওতে যেসব খেলনার বর্ণনা তুলে ধরা হয়, সেসব খেলনা খুব দ্রুত বিক্রি হয়ে যায়।

গত আগস্ট থেকে ‘রায়ান’স ওয়ার্ল্ড’ নামে খেলনা আর পোশাকের বেশ কিছু আইটেম বিক্রি করতে শুরু করে খুচরা পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্ট। এখানে একটি ভিডিও দেখানো হয়, রায়ান এবং তার বাবা-মা নিজেদের খেলনা খুঁজছে। এ ভিডিওটি ইউটিউবে গত তিন মাসের মধ্যে প্রায় দেড় কোটি বার দেখা হয়েছে। ওয়ালমার্ট থেকে পাওয়া লভ্যাংশ সামনের বছর রায়ানের আয়ে যোগ হবে বলে বলছে ফোর্বস।শিশু হওয়ার কারণে রায়ানের মোট আয়ের ১৫ শতাংশ একটি ব্যাংক একাউন্টে জমা করে রাখা হচ্ছে। যখন সে প্রাপ্তবয়স্ক হবে, তখন এই টাকা তুলতে পারবে।