০১:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বীরপ্রতীক তারামন বিবির মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের শোক

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:৪৩:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৮
  • ২৯৩ Time View

আলোর জগত ডেস্ক :  বীরপ্রতীক তারামন বিবির ইন্তেকালে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বাংলাদেশে বীর প্রতীকের মর্যাদায় ভূষিত দুইজন নারী মুক্তিযোদ্ধার একজন তারামন বিবি। আজ শনিবার এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবির ইন্তেকালে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অবদানের কথা স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, জাতি এবং স্বাধীনতা প্রিয় জনগণ চিরকাল তাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। তিনি মরহুমার রুহের শান্তি ও মুক্তি কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীরপ্রতীক তারামন বিবির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধে তার অসামান্য অবদান গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে তারামন বিবি অস্ত্র হাতে নিয়ে যে সাহসী ভূমিকা পালন করেছিলেন, তার সেই অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী তার রুহের শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করেন এবং তারামন বিবির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এক শোকবাণীতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, তারামন বিবি ছিলেন একজন নিবেদিত প্রাণ দেশপ্রেমী। তার মৃত্যুতে দেশ মুক্তিযুদ্ধের এক অকুতোভয় বীরসেনানীকে হারালো। এ দেশের মুক্তির জন্য তার অবদান জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। স্পিকার মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।

কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলার নিজ বাসভবনে শুক্রবার দিবাগত রাতে তারামন বিবি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ডায়াবেটিকস ও ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছিলেন।

উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৩ সালে তারামনকে বীর প্রতীক খেতাব দেয়। কিন্তু ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত তাকে খুঁজে বের করা সম্ভব হয়নি। এরপর তাকে খুঁজে পাওয়া গেলে সরকারের পক্ষ থেকে তারামন বিবির হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সাকিবকে টপকে টেস্ট সেরা তাইজুল

বীরপ্রতীক তারামন বিবির মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের শোক

Update Time : ০২:৪৩:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৮

আলোর জগত ডেস্ক :  বীরপ্রতীক তারামন বিবির ইন্তেকালে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বাংলাদেশে বীর প্রতীকের মর্যাদায় ভূষিত দুইজন নারী মুক্তিযোদ্ধার একজন তারামন বিবি। আজ শনিবার এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবির ইন্তেকালে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অবদানের কথা স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, জাতি এবং স্বাধীনতা প্রিয় জনগণ চিরকাল তাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। তিনি মরহুমার রুহের শান্তি ও মুক্তি কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীরপ্রতীক তারামন বিবির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধে তার অসামান্য অবদান গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে তারামন বিবি অস্ত্র হাতে নিয়ে যে সাহসী ভূমিকা পালন করেছিলেন, তার সেই অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী তার রুহের শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করেন এবং তারামন বিবির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এক শোকবাণীতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, তারামন বিবি ছিলেন একজন নিবেদিত প্রাণ দেশপ্রেমী। তার মৃত্যুতে দেশ মুক্তিযুদ্ধের এক অকুতোভয় বীরসেনানীকে হারালো। এ দেশের মুক্তির জন্য তার অবদান জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। স্পিকার মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।

কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলার নিজ বাসভবনে শুক্রবার দিবাগত রাতে তারামন বিবি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ডায়াবেটিকস ও ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছিলেন।

উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৩ সালে তারামনকে বীর প্রতীক খেতাব দেয়। কিন্তু ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত তাকে খুঁজে বের করা সম্ভব হয়নি। এরপর তাকে খুঁজে পাওয়া গেলে সরকারের পক্ষ থেকে তারামন বিবির হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।