ঢাকা ১০:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি শরিফুল শেখ ও তথি বেগম’কে ফরিদপুরের কোতোয়ালি এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী এলাকা হতে ২৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা Logo আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের শ্রদ্ধা

আখ চাষে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছে দুর্গাপুরের কৃষকরা

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী ব্যুরো

 
রাজশাহী দুর্গাপুরে আখ চাষ করে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছেন এই অঞ্চলের আখ চাষিরা।
বর্তমানে দুর্গাপুর উপজেলার চাষিদের কাছে আখচাষ এখন অর্থকারী ফসল হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
এই উপজেলায় এক সময় আখ চাষের তেমন কোন আগ্রহ ছিলোনা না কৃষকদের।

তবে বিগত ৫/৬ বছর ধরে চিবিয়ে বা রস করে খাওয়া আখ চাষ করতে দেখা গেছে চাষিদের।
উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলায় এই মৌসুমে ১৭ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির আখ চাষ হয়েছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় আখের চাষ অধিক পরিমাণে লাভজনক হওয়ায় গত চার বছর ধরে দুর্গাপুর উপজেলাজুড়ে দিন দিন আখের চাষ বেড়েই চলেছে। বর্তমানে দুর্গাপুর উপজেলার বাজার গুলোতে দেখা গেছে ব্যাপক হারে আখ বিক্রি। এই আখ হস্ত ও ইঞ্জিলচালিত মাড়াইকলে আখের রস ব্যাপক বিক্রি হচ্ছে। এর পাশাপাশি চিবিয়ে খাওয়া থেকেও পিছিয়ে নেই আখ প্রিয় মানুষ। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে প্রতিটি আখ বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ৩৫ টাকায়।
দুর্গাপুর উপজেলার বহরমপুর গ্রামের আখ চাষি জনিত আলীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, এক বিঘা জমিতে সার, বীজতলা তৈরি, রোপন, পরিচর্যা থেকে শুরু করে আখ কাটা পর্যন্ত খরচ হয় প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। আর এক বিঘা জমি থেকে উৎপাদিত আখ বিক্রি করে পাওয়া যায় প্রায় ১ লক্ষ টাকার ওপরে ।
আখচাষী জনিত আলী পার্শ্বের উপজেলার আখচাষীদের চাষ পরামর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে আখচাষ শুরু করি। এরপর উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অফিসের পরামর্শ নিয়ে তার নিজস্ব কিছু জমি ও লিজকৃত প্রায় ৩ বিঘা জমিতে আখ চাষ করেছেন। তিনি সরকরি সহায়তা পেলে আরো বেশি জমিতে আখ চাষ করতে পারবেন বলে জানান তিনি।
দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি স¤প্রসারন কর্মকর্তা সবুজ আলী বলেন, চিনি ও গুড় উৎপাদনে ব্যবহৃত আখ থেকে চিবিয়ে খাওয়া আখ অনেক নরম, রসালো ও অধিক চিনিযুক্ত। আমাদের দেশে ১৬টি জাতের চিবিয়ে খাওয়া আখের জাত রয়েছে। এর মধ্যে গ্যান্ডারি, বাবুলাল, ঈশ্বরদি ১৮, আচা ফাম, সিও-২০৮,অসৃত, কাজলা, মিশ্রিমালা, ও সিও-৫২৭ জাতগুলো অন্যতম। তবে এই উপজেলায় গ্যান্ডারি, বাবুলাল, ঈশ্বরদি ১৮ জাতের আখ চাষ করতে দেখা গেছে।

কৃষি কর্মকর্তা আরো বলেন, আখ চাষ লাভজনক ফসল হওয়ায় চাষিরা দিন দিন আখ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে আখ চাষের পাশাপাশি চাষিরা সাথী ফসল হিসেবে মুগ, মশুর বা সবজী চাষ করলে আরো বেশি লাভবান হবেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

আখ চাষে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছে দুর্গাপুরের কৃষকরা

আপডেট টাইম : ০৬:৪৫:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী ব্যুরো

 
রাজশাহী দুর্গাপুরে আখ চাষ করে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছেন এই অঞ্চলের আখ চাষিরা।
বর্তমানে দুর্গাপুর উপজেলার চাষিদের কাছে আখচাষ এখন অর্থকারী ফসল হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
এই উপজেলায় এক সময় আখ চাষের তেমন কোন আগ্রহ ছিলোনা না কৃষকদের।

তবে বিগত ৫/৬ বছর ধরে চিবিয়ে বা রস করে খাওয়া আখ চাষ করতে দেখা গেছে চাষিদের।
উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলায় এই মৌসুমে ১৭ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির আখ চাষ হয়েছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় আখের চাষ অধিক পরিমাণে লাভজনক হওয়ায় গত চার বছর ধরে দুর্গাপুর উপজেলাজুড়ে দিন দিন আখের চাষ বেড়েই চলেছে। বর্তমানে দুর্গাপুর উপজেলার বাজার গুলোতে দেখা গেছে ব্যাপক হারে আখ বিক্রি। এই আখ হস্ত ও ইঞ্জিলচালিত মাড়াইকলে আখের রস ব্যাপক বিক্রি হচ্ছে। এর পাশাপাশি চিবিয়ে খাওয়া থেকেও পিছিয়ে নেই আখ প্রিয় মানুষ। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে প্রতিটি আখ বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ৩৫ টাকায়।
দুর্গাপুর উপজেলার বহরমপুর গ্রামের আখ চাষি জনিত আলীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, এক বিঘা জমিতে সার, বীজতলা তৈরি, রোপন, পরিচর্যা থেকে শুরু করে আখ কাটা পর্যন্ত খরচ হয় প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। আর এক বিঘা জমি থেকে উৎপাদিত আখ বিক্রি করে পাওয়া যায় প্রায় ১ লক্ষ টাকার ওপরে ।
আখচাষী জনিত আলী পার্শ্বের উপজেলার আখচাষীদের চাষ পরামর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে আখচাষ শুরু করি। এরপর উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অফিসের পরামর্শ নিয়ে তার নিজস্ব কিছু জমি ও লিজকৃত প্রায় ৩ বিঘা জমিতে আখ চাষ করেছেন। তিনি সরকরি সহায়তা পেলে আরো বেশি জমিতে আখ চাষ করতে পারবেন বলে জানান তিনি।
দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি স¤প্রসারন কর্মকর্তা সবুজ আলী বলেন, চিনি ও গুড় উৎপাদনে ব্যবহৃত আখ থেকে চিবিয়ে খাওয়া আখ অনেক নরম, রসালো ও অধিক চিনিযুক্ত। আমাদের দেশে ১৬টি জাতের চিবিয়ে খাওয়া আখের জাত রয়েছে। এর মধ্যে গ্যান্ডারি, বাবুলাল, ঈশ্বরদি ১৮, আচা ফাম, সিও-২০৮,অসৃত, কাজলা, মিশ্রিমালা, ও সিও-৫২৭ জাতগুলো অন্যতম। তবে এই উপজেলায় গ্যান্ডারি, বাবুলাল, ঈশ্বরদি ১৮ জাতের আখ চাষ করতে দেখা গেছে।

কৃষি কর্মকর্তা আরো বলেন, আখ চাষ লাভজনক ফসল হওয়ায় চাষিরা দিন দিন আখ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে আখ চাষের পাশাপাশি চাষিরা সাথী ফসল হিসেবে মুগ, মশুর বা সবজী চাষ করলে আরো বেশি লাভবান হবেন।