নওগাঁ কসব উপজেলা উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট মাহবুবুর রহমান। ফার্মাসিস্ট হয়েও এলাকায় পরিচিতি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হিসেবে, রীতিমতো ডাক্তারি প্যাড ছাপিয়ে নামের আগে ডাক্তার লিখে পরিচয় দিচ্ছেন মহিলা, শিশু, চর্ম যৌন হাঁপানি ও মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে । শুধু তাই নয় নিজেকে পরিচয় দেন কসব উপজেলা উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ইনচার্জ হিসেবেও।
প্রতি শুক্রবার নিয়মিত রোগী দেখেন মান্দা উপজেলার দেলুওয়াবারি বাজারে। বিভিন্ন সস্তা বিজ্ঞাপন আর দালাল চক্রের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে রোগী নিয়ে এসে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করেন তিনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ মাহবুবুরের অপ চিকিৎসায় পঙ্গুত্ববরণ করতে হয়েছে অনেক রোগীকে। হাঁটু ব্যথা কিংবা পায়ের ব্যথায় তিনি ইনজেকশনের মাধ্যমে হাঁটু থেকে ক্যালসিয়াম বের করে পুনরায় ওষুধের সঙ্গে মিশিয়ে আবারো তিনি ইনজেকশন পুশ করেন। এতে করে সাময়িক রোগী সুস্থতা বোধ করলেও ধীরে ধীরে তার এমন অপচিকিৎসায় পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয় গ্রামের সহজ সরল সাধারণ মানুষকে।
তার এমন অপ চিকিৎসা নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে মাহবুবুর রহমান অকপটে স্বীকার করেন তিনি আসলে ডাক্তার নন প্যাডে তার নামের আগে ডাক্তার লেখাটাও ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি, মেডিকেল ইনচার্জ না হয়েও কেন মেডিকেল ইনচার্জ লিখেছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ ব্যাপারে নওগা সিভিল সার্জন, ডা: আবু হেনা মোঃ রায়হানুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, ফার্মাসিস্ট হয়ে নিজেকে ইনচার্জ পরিচয় দেওয়া অন্যায। এমবিবিএস ছাড়া নামের আগে ডাক্তার লেখার কোন সুযোগ নেই । এখনও পর্যন্ত আমি এমন কোন অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।