মিহিরুজ্জামান, সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরার তালায় প্রতিপক্ষের বসতবাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সন্ত্রাসীরা এসময় বসতবাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুরসহ স্বার্ণালঙ্কর ও নগদ টাকা লুট করে নিয়েগেছে বলে জানা গেছে।গতকাল (৪ আগষ্ট) তালার জালালপুর ইউনিয়নের জেঠুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।সরেজমিন পরিদর্শন ও এলাকাবাসির সাথে কথা বলে জানা যায়, এলাকার আরিচ মোড়ল (৪০), সোহেব আক্তার (১৫), নাদিরা খাতুন (৩৫), মজ্ঞিলা খাতুন (২২), শাহানারা বেগম (৫০), ইয়াছিন আলী (৫০), মজিদ মোড়ল (৬০)সহ উপস্থিত অনেকেই জানান, জেঠুয়ার মৃত ইনছাপ মোড়লের ছেলে আতিয়ার (৫৫) ও মনিরুজ্জামান (৭০) সরকারী ইটের রাস্তার পাশে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমিতে পাঁকা বাড়ি বানিয়ে দীর্ঘদিন বসবাস করেন। দীর্ঘদিন যাবৎ রাস্তার সীমানা নিয়ে প্রতিপক্ষ জাকাত গংদের সাথে হামলা মামলা চলছিল।
তারা বলেন, আতিয়ার ও মনিরুজ্জামান তাদের জায়গায় পাঁকা ঘর তৈরী করতে গেলে জাকাতগংরা বাঁধা দেয় এবং উভয়পক্ষ থানায় অভিযোগ করে। শুক্রবার (৩ আগষ্ট) বিকালে উভয় পক্ষ মিমাংশায় বসলেও নিষ্পত্তি হয়নি।
পরের দিন সকালে ঘরের কাজ শুরু করলে থানার সিদ্ধান্ত না মেনে জাকাতগংরা বাঁধা দিলে মারামারির সূত্রপাত হয়। এসময় তালা থানার এসআই শামিম ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং উভয় পক্ষের ২ জন করে থানায় আসতে বলেন।এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সাথে সাথে প্রতিপক্ষ ওই গ্রামের সিরাজ মোড়লের ছেলে জাকাত মোড়ল (৪৫), রাজ্জাক মোড়ল (৫৫), লিয়াকত মোড়ল (৫০), আকবর মোড়ল (৪০), সাদ্দাম মোড়ল (৩৫), ফুলমিয়ার ছেলে বারিক মোড়ল (৫৫), সাজ্জাত মোড়লের ছেলে মোক্তার মোড়ল (২৫),ছাত্তার মোড়ল (৪৫), সবুর মোড়লের ছেলে সাহেদ মোড়ল (২৫), রাশেদ মোড়ল (২০), মৃত মোহাম্মদ মোড়লের ছেলে আব্দুর রহমান মোড়ল (৪৫), রহিম বক্স গাজীর ছেলে সাইদ গাজী (৫০), মহিদ গাজী ( ৩৫), সাইদ গাজীর ছেলে আব্দুলাহ (২৫), লিয়াকত মোড়লের ছেলে জহিরুল (২০) ও বক্কর মোড়লের ছেলে হাসান (২৫)’সহ ২৫/২৬ জন লোক সংঘবদ্ধ হয়ে লোহার রড, কুড়াল, হাতুড়ী, শাবল দিয়ে ৪ টি বসতঘর ভেঙে বীরদর্পে চলে যায়। দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়ির দু’পাশের রাস্তা বন্ধ করে বসতবাড়ি ভাংচুর করার কারণে ভয়ে কেউ অস্ত্রের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি বলে তারা জানায়।জানতে চাইলে জাকাত মোড়ল বলেন, তারা থানা পুলিশের কথা না মেনে জোরপূর্বক ঘর বাঁধার চেষ্টা করলে আমরা বাঁধা দেই। আমরা কারো ঘর ভাঙচুর করিনি তবে সাবল, লোহার রড, কুড়াল দিয়ে পাঁচালি ভেঙে দিয়েছি।সোনার গহনা ও টাকা লুটের কথা অস্বীকার করেন জাকাত মোড়ল।
তালা থানা ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, জেঠুয়ার বসতঘর ভাঙচুরের ঘটনায় ১৬ জনকে আসামী করে মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা রেকর্ডের পরে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।