ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী ব্যুরো
জুলাইয়ের চেয়ে আগস্টে রোগীর চাপ ও মৃত্যু দুই-ই কমেছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে। ফলে কমানো হয়েছে হাসপাতালের শয্যা সংখ্যার পাশাপাশি করোনা ওয়ার্ডও।
হাসপাতাল সূত্র বলছে, গত জুন-জুলাইয়ে হাসপাতালে ১০ থেকে ২৫ এর মধ্যে মৃত্যু ওঠানামা করলেও আগস্টে এসে তা ১০ এর নিচে নেমে এসেছে বেশ কয়েকবার। হাসপাতালে করোনা আর উপসর্গ নিয়ে গত জুন মাসে মারা গেছেন ৩৪৬ জন। জুলাইয়ে মারা যায় সর্বোচ্চ ৫৩৫ জন। আর আগস্ট মাসে মারা গেছেন ৩৫৪ জন।
এদিকে, হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন পাঁচজন। আর বর্তমান শয্যা ২৮৬টির বিপরীতে রোগী ভর্তি আছেন ১৫৩ জন। রোগীর চাপ কমে যাওয়ার কারণেই হাসপাতালে করোনার ওয়ার্ড ১৪ থেকে কমিয়ে ৮টিতে নিয়ে আসা হয়েছে। ছয়টি ওয়ার্ড ফের সাধারণ ওয়ার্ড করা হয়েছে। রোগীর চাপ বাড়লে পুনরায় ওয়ার্ডগুলোকে করোনা ওয়ার্ডে রূপান্তর করা হবে।
হাসপাতাল সূত্র বলছে, গত মে মাসের মাঝামাঝিতে হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গের রোগী বাড়তে থাকে। প্রথমে রোগী বেশি ছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের। জুনে এসে পুরো রাজশাহী বিভাগের রোগীতে ভরে যায় হাসপাতালটি। জুনের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে রোগীর ঠাঁই দিতে হিমশিম খেতে হয়।
সূত্রমতে, জুনে রোগী বেড়ে যাওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কয়েক দফায় হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২১ আগস্ট পর্যন্ত কেবিন ও আইসিইউ মিলিয়ে শয্যা সংখ্যা ছিল ৫১৩।
তবে আগস্টে এসে করোনা রোগী কমেছে। সঙ্গে মৃত্যুও কমেছে। এ কারণে হাসপাতালে দুই দফায় শয্যা কমানো হয়েছে। শয্যা কমিয়ে প্রথমে ৫১৩ থেকে ৮১৮ করা হয়। পরে গতকাল সোমবার তা থেকে আরও কমিয়ে ২৮৬ শয্যা করা হয়েছে। করোনা রোগী কমার সঙ্গে সঙ্গে শয্যাসংখ্যা আরও কমবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ‘‘আগস্টে করোনা রোগীর চাপ কমায় হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড ১৪টি থেকে কমিয়ে ৮টি করা হয়েছে। এই ওয়ার্ডগুলোতে এখন সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে আবার রোগীর চাপ বেড়ে গেলে তা পুনরায় করোনার ওয়ার্ড করা হবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘মানুষ আগের মতো স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না, মাস্ক পরছেন না। তাই করোনার তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে। এ জন্য তারা প্রস্তুত আছেন।’’