স্টাফ রিপোটার
মুজিব বর্ষের স্বপ্ন
মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের নিবো যত্ন – এই শ্লোগানে
নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার মুড়দহ গ্রামের হাফিজ নাজনিন ফাউন্ডেশন ভবন চত্বরের
আকাশে ছিলো রোদ-বৃষ্টির খেলা।৷ তার মাঝেই অন্যরকম একটা দিন ছিলো,শোকের মাসের শেষ শুক্রবার ২৭ আগষ্ট। কারণ শোকের মাসের শেষ শুক্রবারে জুম্মার নামাজ পড়ে বিকেলে সেখানে বিনম্র শ্রদ্ধায় ভিন্নরকম আয়োজনে প্রতি বছর পালন করা হয় শ্রদ্ধাশীল ভাবে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর সহ সপরিবারে শাহাদাৎ বার্ষিকী। প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও পালন করা হয় শাহাদাৎ বার্ষিকী, আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা, মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান ও মিলাদ মাহফিলের।
এই আয়োজন ঘিরেই অসচ্ছল দরিদ্র ও অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থীরা সমবেত হয়েছিলেন হাফিজ নাজনিন ফাউন্ডেশন এক ছাদের নিচে।
তাদের কারো বাবা রাজমিস্ত্রির, কারো বাবা পল্লী চিকিৎসক কিংবা কারো বাবা ভ্যান চালক।
বৃত্তি তো নয় যেন আকাশের চাঁদ হাতে পাবার মত অনুভূতি ছিল লালপুরের শোভ গ্ৰামের রাবেয়া সুলতানা শম্পার (২১)।বাবা শহিদুল ইসলাম পেশায় রাজমিস্ত্রী। শম্পা পড়ে রংপুর ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি ইনস্টিটিউটে প্যারামেডিক্স ডিপ্লোমা কোর্সে। শম্পাকে নিয়েই শোক দিবসের আয়োজনে যোগ দিতে এসেছিলেন বাবা শহিদুল ইসলাম।
মেয়ের বৃত্তির অর্থ হাতে পেয়ে আবেগে বাকরুদ্ধ ছিলেন দরিদ্র ও অসহায় এই পিতা। তিনি জানান, শোক দিবস উপলক্ষে হাফিজ নাজনিন ফাউন্ডেশন যেভাবে আমার সন্তানের শিক্ষার ক্ষেত্রে পাশে দাঁড়িয়েছে তা সত্যিই মনে রাখার মতো। শম্পা জানান, জাতীয় শোক দিবস ঘিরে অনেক সংগঠন হরেক রকমের আয়োজন করে। দিনশষে সবাই সেটা ভুলেও যায়।“কিন্তু আমাদের মতো শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে এমন ভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুকে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করা- সত্যিই অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত-” বলছিলেন, রাবেয়া সুলতানা শম্পা। শম্পার মতোই অভিন্ন অনুভূতির কথা জানাচ্ছিলেন, মেডিকেল শিক্ষার্থী রাহুল কুমার দাস (২১)। বাগাতিপাড়া দয়ারামপুর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আনন্দ কুমার দাসের ছেলে রাহুল পাবনা মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
তিনি জানান,রাজউক উত্তরা মডেল কলেজে লেখাপড়ার সময় হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি, কত অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে বাবা-মা আমাদের লেখাপড়ার খরচ চালাচ্ছিলেন।
হাফিজ নাজনীন ফাউন্ডেশন পাশে ছিল বলে আজ আমরা স্বস্তির সাথে উচ্চশিক্ষা নিতে পারছি। সবচাইতে বড় কথা আমাদের মত মেধাবী এবং অসহায় শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে কেবল উচ্চ শিক্ষাই নয়, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং চেতনার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে হাফিজ নাজনিন ফাউন্ডেশন- বলছিলেন রাহুল কুমার দাস।
উক্ত অনুষ্ঠানে উত্তর জনপদের প্রিয় মুখ নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার কৃতি সন্তান
নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী,
কামরাঙ্গীরচর থানা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি, মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,
হাফিজ নাজনীন ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি,
লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলার সাধারণ জনগণের আলোর পথ প্রদর্শক ও গরীব অসহায় মানুষের নয়নের মণি জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে তিলে তিলে গড়ে ওঠা রাজপথের লড়াকু সৈনিক আলহাজ্ব মোঃ আনিসুর রহমান এর সভাপতিত্বে বিকেলে লালপুর উপজেলার মোড়দহ গ্ৰামে হাফিজ নাজনিন ফাউন্ডেশন চত্বরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর ও গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম খান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার মাটি ও মানুষের কৃতি সন্তান বাংলাদেশ পুলিশ প্রশাসনের আইডল এবং রংপুর বিভাগের পুলিশের একজন স্নেহময়ী অভিভাবক অসাধারণ ব্যাক্তিত্ব, অনলবর্ষী কর্মকর্তা , সৎ পরিছন্ন ব্যাক্তিত্বের ধারক ও বাহক, পুলিশ প্রজন্মের অনেকের অনুপ্রেরণার প্রিয় বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী (BANGLADESH POLICE) এর তারকা কর্মকর্তা –
রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (এডিশনাল ডিআইজি), হাফিজ-নাজনিন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শাহ মিজান শাফিউর রহমান,
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে ভার্চুয়ালি বক্তব্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বলেন
শোকাবহ আগস্ট!!!কাঁদো বাঙালী কাঁদো
শোকের মাস আগস্ট মাস। এই মাসে বাংলাদেশে সংঘটিত হয়েছে ইতিহাসের ভয়াবহতম হত্যাকাণ্ড ও নারকীয় গ্রেনেড হামলা। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস।
মানবসভ্যতার ইতিহাসে অন্যতম ঘৃণিত ও নৃশংস হত্যাকান্ডের একটি দিন। ১৯৭৫ সালের এই রাতে বাঙালি জাতির ইতিহাসে কলঙ্ক লেপন করেছিল সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী উচ্ছৃঙ্খল সদস্য। ঘাতকের নির্মম বুলেটে সেদিন ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের ঐতিহাসিক ভবনে নিহত হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্হপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
মানব সভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের কালিমালিপ্ত বেদনাবিধূর শোকের দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে মানবতার শত্রু প্রতিক্রিয়াশীল ঘাতকচক্রের হাতে বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলনের মহানায়ক, বিশ্বের লাঞ্ছিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মহান নেতা, বাংলা ও বাঙালির হাজার বছরের আরাধ্য পুরুষ, বাঙালির নিরন্তন প্রেরণার চিরন্তন উৎস, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।
সেদিন ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম এই হত্যাকাণ্ডে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী, মহিয়সী নারী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভ্রাতা শেখ আবু নাসের, জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, দ্বিতীয় পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, কনিষ্ঠ পুত্র নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেল, নবপরিণীতা পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি ও তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি, স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক ও জাতির পিতার ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, তাঁর ছোট মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত, কনিষ্ঠ পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, দৌহিত্র সুকান্ত আব্দুল্লাহ বাবু, ভাইয়ের ছেলে শহীদ সেরনিয়াবাত, আব্দুল নঈম খান রিন্টু, বঙ্গবন্ধুর প্রধান নিরাপত্তা অফিসার কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদ ও কর্তব্যরত অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী নৃশংসভাবে নিহত হন। ৪৬ বছর আগে এই আগস্ট মাসের ১৫ তারিখে বাঙ্গালী জাতি হত্যা সপরিবারে হত্যা করেছিল তার পিতাকে।পর্দার আড়ালে থেকে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা, খুনীদের “গো এহেড” গ্রীন সিগন্যাল দেওয়া, হত্যাকান্ডের পর প্রথম ব্যাক্তি হিসেবে খুনীদের কাছ থেকে আপডেটেড রিপোর্ট পাওয়া, তাদের সসম্মানে বীর হিসেবে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে বাংলাদেশের প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত হিসেবে পাঠিয়ে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার জন্য পুরষ্কৃত করা, জাতির পিতাকে হত্যার বিচার করা যাবে না এই মর্মে সংসদে ইনডেমনিটি বিল পাশ করে খুনীদের দায়মুক্ত করা, মুক্তিযুদ্ধের চার মূলনীতিতে তৈরি সংবিধানটা নির্মমভাবে খুচিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে দেশে পাকিস্তানী ধারায় শাসন কায়েম করা এবং যুদ্ধাপরাধী নরপিশাচের দল ও ঘাতক কমান্ডারদের স্বাধীন বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করে ৩০ লাখেরও বেশি শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের গালে সপাটে চড় কষিয়ে দেবার ব্যবস্থা করে ওই ঘাতক চক্র।
আর চীনকে কেবলা মেনে সারাজীবন দুই নৌকায় পা দিয়ে চলা, বাঙ্গালীকে কুকুর বেড়ালের মত ট্রিট করে অন্তহীন অত্যাচার-নির্যাতন চালানো পাকি জেনারেল আইয়ুব খানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হওয়া, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রশ্নে সবসময়ই দ্বিধাদ্বন্দে ভুগতে থাকা এবং মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধু সরকারকে ফেলে দিয়ে পাকিস্তানী ধারায় ইসলামিক স্টেট কায়েম করার দিবাস্বপ্ন দেখা, বঙ্গবন্ধুর সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিপ্লবের ডাক দেওয়া, দেশজুড়ে খাদ্যগুদাম পুড়িয়ে দেওয়া, থানায় আগুন, ব্যাংকে লুটপাট, ঈদের জামাতে নামাজে দাঁড়ানো জনপ্রতিনিধিদের প্রকাশ্যে ব্রাশফায়ারে হত্যা করা, চরম নৈরাজ্য চালিয়ে সদ্যস্বাধীন দেশের সবকিছু এলোমেলো করে দেওয়ার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হঠকারী বিপ্লবীদের স্বাগত জানিয়ে তাদের পূর্ন সমর্থন দেওয়া, শেষপর্যন্ত জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর মুজিবের রক্তের উপর পাড়া দিয়ে বেইমান মুশতাক সরকারকে স্বাগতম জানিয়ে পত্রিকায় বিবৃতি দেয় এবং খুনীদের অভিবাদন জানায় মানুষ রুপি ঘাতক চক্র।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা জুলিও কুরিও পদকে ভূষিত-জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান
যার জন্ম না হলে আমার পেতাম না একটি স্বাধীন বাংলাদেশ বিশ্বের মানচিত্রে খুঁজে পেতাম না আমাদের স্বাধীনতার অস্তিত্ব সে মহামানব কে একটি কুচক্রী মহল ১৯৭৫ ইং সালের ১৫ ই আগস্ট কালো রাতে স্ব-পরিবারে নিম্রমভাবে হত্যা করে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায় রচনা করা। দেশে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সেদিন ভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়ে তার হাত ধরেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।।
ঘাতক চক্র সেখানেই থেমে থাকেনি নতুন করে ছক করেছিলো রক্তস্নাত ভয়াল বিভীষিকাময় ২১ আগস্ট। বারুদ আর রক্তমাখা বীভৎস রাজনৈতিক হত্যাযঙ্গের ১৭ তম বার্ষিকী। ২০০৪ সালের এই দিনে রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের ‘সন্ত্রাস’জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিবিরোধী শান্তির শোভাযাত্রাপূ্র্ব সমাবেশে নারকীয় গ্রেনেড হামলায় ঝরে যায় ২৪ টি প্রাণ। আহত হন দলীয় ৫ শতাধিক নেতাকর্মী। জোট সরকারের সময় এ হত্যাকান্ড চালানো হয়।সেদিন রক্তঝড়ের প্রচন্ডতায় মলিন হয়ে গিয়েছিল বাংলা ও বাঙালির মুখ। জীবন্ত বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গন সেদিন মুহূর্তেই পরিণত হয়েছিল মৃত্যুপুরীতে।ঘাতকদের নিক্ষিপ্ত গ্রেনেড সমাবেশের জন্য ব্যবহৃত ট্রাকে বিস্ফোরিত হলে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কোনো সিনিয়র নেতাই প্রাণে রক্ষা পেতেন না। আর এটাই ছিল ঘাতক চক্রের মূল পরিকল্পনা।সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আয়োজিত সেই সমাবেশ বিকাল ৪ টা থেকেই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষে কানায় কানায় ভরে ওঠে।স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে বঙ্গবন্ধু এভিনিউসহ আশপাশ এলাকা। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একটি খোলা ট্রাকে (ঢাকা মেট্রো-ট-১১-৩০৯৮) বানানো উন্মুক্ত মঞ্চে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা। বিকাল ৫ টার দিকে বুলেটপ্রুফ গাড়িতে সমাবেশস্থলে পৌঁছান তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।ট্রাকে তার সঙ্গে প্রয়াত জিল্লুর রহমান, প্রয়াত আবদুর রাজ্জাক,আমির হোসেন আমু,তোফায়েল আহমেদ,প্রয়াত আবদুল জলিল,প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত,মতিয়া চৌধুরী,শেখ ফজলুল করিম সেলিম,কাজী জাফরুল্লাহ ও মোফাজ্জল হোসেন মায়া সহ আরও কয়েকজন কেন্দ্রীয় ও মহানগরী নেতা-নেত্রী ছিলেন। প্রায় ২০ মিনিট বক্তৃতা দেন শেখ হাসিনা। তখন সময় বিকাল ৫ টা ২২।’জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু’বলে বক্তৃতা শেষ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা “মাদার অব হিউমিনিটি”,গণতন্ত্রের মানস কন্যা, আধুনিক বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার ও ডিজিটাল বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর হাতে থাকা একটি ভাঁজ করতে করতে এগোতে থাকলেন ট্রাক থেকে নামার সিঁড়ির কাছে।কয়েকজন ফটো সাংবাদিক বঙ্গবন্ধুকন্যাকে একটু দাঁড়াতে বললেন ছবি তোলার জন্য। মুহূর্তেই শুরু হলো নারকীয় গ্রেনেড হামলা।
ঘাতক চক্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরকে হত্যা করলেও তার স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। স্বাধীনতা বিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং উন্নয়ন গণতন্ত্র বিরোধী চক্রের যেকোন অপতৎপরতা ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মী বৃন্দ এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
ছয়হাজার অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ করে
মহামানবের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও গভীর শোক প্রকাশ এবং বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।