ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী ব্যুরো
রাজশাহীর বাঘা সীমান্ত এলাকায় ইমো এবং বিকাশ হ্যাকার চক্রের সংখ্যা পূর্বের যে কোন সময়ের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এটি প্রতিরোধ করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন বাঘা থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ(ওসি)সাজ্জাদ হোসেন। তিনি বৃহস্পতিবার (২৬ আগষ্ট) উপজেলার সকল বিকাশ এজেন্টদের থানায় ডেকে রেজিস্ট্রেশন করানো সহ তাদের নিয়ে আলোচনা সভা করেন। ওসির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এলাকার সর্বস্তরের মানুষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স¤প্রতি র্যাব , থানা পুলিশ এবং ডিবি পুলিশের মাধ্যমে সীমান্তবর্তী বাঘা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ইতোমধ্যে প্রায় অর্ধ শতাধিক ইমো এবং বিকাশ হ্যাকার চক্রের সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে । অত:পর গ্রেফতারকৃতদের মুখ থেকে অনেকের নাম সহ বেশ কিছু তথ্য বেরিয়ে এসছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে বাঘা উপজেলার সকল বিকাশ এজেন্ট এবং (ডিএসও) যারা টাকা সরবরাহ করেন, এমন ব্যাক্তিদের থানায় ডেকে আলোচনা সভা করেছেন থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ(ওসি)সাজ্জাদ হোসেন।
তিনি উক্ত সভায় বলেন, বিকাশ থেকে টাকা বের করাটা হ্যাকিং নয়, এটা এক ধরনের ডাকাতি। আমরা এটি নির্মুল করতে চায়। এ জন্য আপনারা যারা বিকাশ এজেন্ট রয়েছেন তাদের সবার সহযোগিতা আমাদের কাম্য। তিনি আগামী তিন দিনের মধ্যে উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন এবং দু’টি পৌর সভায় যারা বিকাশ ব্যবসা করেন তাদের ব্যবহৃত সকল কন্টাক নম্বর-সহ প্রতিষ্ঠান মালিকের নাম-ঠিকানা, আইএমই নাম্বার,এনআইডি নাম্বার,এবং নিজ-নিজ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অথবা ইউপি সদস্যের নাম থানায় এসে লিপিবদ্ধ করার অনুরোধ জানান।
ওসি আরো বলেন, আমরা অনেকদিন ধরে লক্ষ করছি, দেশ-বিদেশে বিভিন্ন ব্যক্তির মোবাইল ফোন নম্বরের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইমো এবং বিকাশ অ্যাকাউন্টে তাদের নিজ নামের মোবাইল নম্বর ব্যবহার না করে এলাকার পরিচিত অন্য কোন ব্যক্তির এনআইডির মাধ্যমে মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। আর এসব অপরাধের সাথে যুক্ত রয়েছেন কতিপয় বিকাশ এজেন্ট। এ জন্য প্রত্যেক এজেন্টকে রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনা হবে। এ দিক থেকে যারা এ আইন অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা ।
এদিকে রাজশাহী জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম স¤প্রতি স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীদের বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ পূর্বের যে কোন সময়ের চেয়ে এখন ভালো কাজ করছে। বিশেষ করে রাজশাহী জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার (এবিএম) মাসুদ হোসেন, বিপিএম (বার) স্যারের নির্দেশনায় সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করছে জেলার সকল থানা পুলিশ। আর এসব অপরাধ বিষয়ে যেসব অফিসার সফলতা দেখাচ্ছে, প্রতিমাসে তাদেরকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে দেয়া হচ্ছে সম্মানী পুরুস্কার সহ সদনপত্র । ফলে গতিশীল হচ্ছে পুলিশী কার্যক্রম।