ঢাকা ১২:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি শরিফুল শেখ ও তথি বেগম’কে ফরিদপুরের কোতোয়ালি এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী এলাকা হতে ২৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা Logo আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের শ্রদ্ধা

বগুড়া নওয়াব প্যালেসের কুমিরের ঠাঁই হলো রাজশাহীর বন বিভাগে

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী ব্যুরো

 

বগুড়া ঐতিহ্যবাহী নওয়াব প্যালেসের ভেতরের জলাধারে থাকা কুমিরটি বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বন বিভাগের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল রাজশাহীর পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবিরের নেতৃত্বে একদল কর্মী কুমিরটি প্রহণ করেন। আর পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বগুড়ায় শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন ‘টিম ফর এনার্জি অ্যান্ড ইনভার্নমেন্টাল রিসার্চের (তীর) কর্মীরা।

পরিবেশবাদী সংগঠন ‘তীর’-এর উপদেষ্টা আরাফাত রহমান জানান, বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন কুমিরটিকে তারা আপাতত তাদের রাজশাহীর রেসকিউ সেন্টারে রাখবেন। পরবর্তী সময়ে সেটি কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রে নেওয়া হবে।
জানা গেছে, প্রায় দেড়শ বছর আগে ব্রিটিশদের কাছ থেকে ‘নওয়াব’ উপাধি পাওয়া আব্দুস সোবহান চৌধুরী বগুড়া শহরের সুত্রাপুর এলাকায় তাদের বসবাসের জন্য বাড়ি নির্মাণ করেন। পরবর্তী সময়ে যা ‘নওয়াব প্যালেস’ হিসেবে পরিচিতি পায়। নওয়াব পরিবারের অন্যতম সদস্য পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী চৌধুরী ওই প্যালেসেই বসবাস করতেন। তার মৃত্যুর পর ছোট ভাই ওমর আলী চৌধুরী ১৯৯৮ সালে প্যালেসের ভেতরে ‘মোহাম্মদ আলী প্যালেস মিউজিয়াম এবং অ্যামিউজমেন্ট পার্ক’ গড়ে তোলেন।
তখন সেখানে দর্শনার্থীদের জন্য একটি জলাধার নির্মাণ করে তাতে ঘড়িয়াল ও কুমির ছাড়া হয়। এর কিছুদিন পর মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর কানাডা প্রæবাসী ছোট ছেলে হামদে আলী চৌধুরী প্যালেসে বসবাস শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি কানাডা প্রবাসী তার বড় ভাই হাম্মদ আলী চৌধুরী মিলে ২০১৬ সালের ১৫ এপ্রিল ওই নওয়াব প্যালেসটি স্থানীয় তিন ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেন।

নওয়াব প্যালেসের তিন ক্রেতার একজন বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান মিলন জানান, কুমিরটিকে তারা হস্তান্তরের কথা জানিয়ে তারা কিছুদিন আগে বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে কুমিরটির যথাযথ যতœ নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। তাই আমরা সেটিকে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করতে চেয়েছি। তারা আমাদের প্রস্তাবে সম্মত হয়। আশা করি, বন বিভাগের ব্যবস্থাপনায় কুমিরটি আরও ভালো থাকবে।’

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

বগুড়া নওয়াব প্যালেসের কুমিরের ঠাঁই হলো রাজশাহীর বন বিভাগে

আপডেট টাইম : ০৭:৫৮:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অগাস্ট ২০২১

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী ব্যুরো

 

বগুড়া ঐতিহ্যবাহী নওয়াব প্যালেসের ভেতরের জলাধারে থাকা কুমিরটি বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বন বিভাগের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল রাজশাহীর পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবিরের নেতৃত্বে একদল কর্মী কুমিরটি প্রহণ করেন। আর পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বগুড়ায় শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন ‘টিম ফর এনার্জি অ্যান্ড ইনভার্নমেন্টাল রিসার্চের (তীর) কর্মীরা।

পরিবেশবাদী সংগঠন ‘তীর’-এর উপদেষ্টা আরাফাত রহমান জানান, বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন কুমিরটিকে তারা আপাতত তাদের রাজশাহীর রেসকিউ সেন্টারে রাখবেন। পরবর্তী সময়ে সেটি কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রে নেওয়া হবে।
জানা গেছে, প্রায় দেড়শ বছর আগে ব্রিটিশদের কাছ থেকে ‘নওয়াব’ উপাধি পাওয়া আব্দুস সোবহান চৌধুরী বগুড়া শহরের সুত্রাপুর এলাকায় তাদের বসবাসের জন্য বাড়ি নির্মাণ করেন। পরবর্তী সময়ে যা ‘নওয়াব প্যালেস’ হিসেবে পরিচিতি পায়। নওয়াব পরিবারের অন্যতম সদস্য পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী চৌধুরী ওই প্যালেসেই বসবাস করতেন। তার মৃত্যুর পর ছোট ভাই ওমর আলী চৌধুরী ১৯৯৮ সালে প্যালেসের ভেতরে ‘মোহাম্মদ আলী প্যালেস মিউজিয়াম এবং অ্যামিউজমেন্ট পার্ক’ গড়ে তোলেন।
তখন সেখানে দর্শনার্থীদের জন্য একটি জলাধার নির্মাণ করে তাতে ঘড়িয়াল ও কুমির ছাড়া হয়। এর কিছুদিন পর মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর কানাডা প্রæবাসী ছোট ছেলে হামদে আলী চৌধুরী প্যালেসে বসবাস শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি কানাডা প্রবাসী তার বড় ভাই হাম্মদ আলী চৌধুরী মিলে ২০১৬ সালের ১৫ এপ্রিল ওই নওয়াব প্যালেসটি স্থানীয় তিন ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেন।

নওয়াব প্যালেসের তিন ক্রেতার একজন বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান মিলন জানান, কুমিরটিকে তারা হস্তান্তরের কথা জানিয়ে তারা কিছুদিন আগে বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে কুমিরটির যথাযথ যতœ নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। তাই আমরা সেটিকে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করতে চেয়েছি। তারা আমাদের প্রস্তাবে সম্মত হয়। আশা করি, বন বিভাগের ব্যবস্থাপনায় কুমিরটি আরও ভালো থাকবে।’