ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী ব্যুরো
গণটিকার কার্যক্রম শেষেও রাজশাহী বিভাগে (মঙ্গলবার ১০ আগস্ট) টিকা নিয়েছে ১৮ হাজার ৩৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ টিকা নিয়েছে ৯ হাজার ৫৮৩ জন। নারী টিকা নিয়েছে ৮ হাজার ৪৫১ জন। বিভাগের জেলাগুলোর মধ্যে রাজশাহী জেলায় টিকা নিয়েছে দুই হাজার ২৮৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক হাজার ১৭৮ জন, নারী এক হাজার ১০৯ জন। আর সিটি কপোরেশনের নির্ধারিত চারটি কেন্দ্রে টিকা নিয়েছে দুই হাজার ৬৯০ জন। যার মধ্যে পুরুষ এক হাজার ৩৬২ জন, নারী এক হাাজর ৩২৮ জন।
রাজশাহী টিচার্স ট্রেনিং কলেজের টিকাকেন্দ্রে বেলা ১১ টার দিকে প্রথম ডোজের টিকা শেষ হয়ে গেলে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের মধ্যে অসন্তোষ শুরু হয়। প্রায় সাড়ে তিনশোর বেশি মানুষ টিকা না পেয়ে হৈচৈ শুরু করে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় অনেকেই টিকা না পেয়ে কেন্দ্র থেকে ফিরে যান।
টিকা নিতে আসা মানুষরা অভিযোগ করে বলেন, এসএমএস অনুযায়ী অনেকেরই আজ টিকা নেয়ার দিন ধার্য ছিলো। তবে তারা সময়মত এসেও টিকা না নিয়েই ফিরতে হয়েছে বেশিরভাগ মানুষকে। সেই সাথে এই টিকা তারা ঠিক কবে পাবেন সে বিষয়েও তাদের কোনো ধারণা দেয়া হয়নি।
দায়িত্বরত স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, প্রথম ডোজের টিকা ফুরিয়ে যাওয়ার পরে তারা টিকা গ্রহীতাদের বিষয়টি জানিয়ে দেয়। এর পরেই হট্টগোল শুরু হয়। তারা বারবার টিকা গ্রহীতাদের বোঝানোর পরেও মানুষ এ বিষয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি বিরূপ মন্তব্য করতে থাকে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এদিন সকাল নয়টা থেকে টিকা কার্যক্রম শুরুর হলে দুই হাজার ডোজ টিকা দেয়ার পর শেষ হয়ে যায় প্রথম ডোজের টিকা। তবে দ্বিতীয় ডোজের টিকা কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
বিভাগের অন্য জেলাগুলোর মধ্যে চাঁপাইনবাগঞ্জে টিকা নিয়েছে দুই হাজার ১৪১ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক হাজার ১৫৯ জন নারী ৯৮২ জন। নাটোরে ২৫৫ জন, পুরুষ ৮৩ জন নারী ১৭২ জন। নওগাঁয় দুই হাজার ৪২১ জন, পুরুষ এক হাজার ২৩১ জন নারী এক হাজার ১৯০ জন। পাবনায় ২৩৫ জন পুরুষ ১২৩ জন নারী ১১২ জন।
সিরাজগঞ্জে দুই হাজার ২৮৯ জন। পুরুষ এক হাজার ২৮৫ জন নারী এক হাজার ৪ জন। বগুড়ায় ৫ হাজার ১৯৮ জন। পুরুষ দুই হাজার ৮৭৫ জন, নারী দুই হাজার ৩২৩ জন। জয়পুরহাটে ৩ হাজার ২০৮ জন। পুরুষ এক হাজার ৬৪৯ জন নারী এক হাজার ৫৫৯ জন।