ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী ব্যুরো
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ জন। শনিবার (১৭ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে রোববার (১৮ জুলাই) সকাল ৯টার মধ্যে হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে মারা যান তারা।
এর মধ্যে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন। এ ছাড়া করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে ১১ জন এবং করোনা নেগেটিভ হয়েও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় একজন মারা গেছেন।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পরিচালক বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১৭ জন মারা গেছেন এদের মধ্যে চারজনের বাড়ি রাজশাহী জেলায়। এ ছাড়া নাটোরের চারজন, পাবনার দুজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুজন, নওগাঁর একজন, বগুড়ার একজন এবং ঝিনাইদহের একজন করে মারা গেছেন। করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন তারা।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তিনজন করে মারা গেছেন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডে। এ ছাড়া ৩, ৪, ১৪, ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন করে এবং ১ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে একজন করে মারা গেছেন।
এই ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে মারা গেছেন রাজশাহীর তিনজন, নাটোরের তিনজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনজন, বগুড়ার একজন এবং পাবনার একজন।
এ ছাড়া করোনা নেগেটিভ সত্ত্বেও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় যে একজন মারা গেছেন তিনি রাজশাহী জেলার বাসিন্দা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মরদেহ দাফনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ৪৫৪ শয্যার করোনা ইউনিটে রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন ৫০৬ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ১৮ জন। করোনা নিয়ে এ পর্যন্ত ভর্তি রয়েছেন ২৪৩ জন।
এ ছাড়া উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ২০৫ জন। করোনা ধরা পড়েনি হাসপাতালে ভর্তি ৫৮ জনের নমুনায়। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬০ জন। এই একদিনে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৭৬ জন।
এর আগে শনিবার (১৭ জুলাই) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ল্যাবে ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা ধরা পড়েছে ৫৭ জনের নমুনায়।
একই দিনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে আরও ১৮৩ জনের। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪২ জনের। পরীক্ষার অনুপাতে রাজশাহীর ২৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের এপ্রিল থেকে এই বছরের জুন পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭ হাজার ১৬১ জন রোগী। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন ৫ হাজার ৯২৭ জন।
এই ১৪ মাসে মারা গেছেন ১ হাজার ৭৮ জন। এর মধ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৪৬ জনের। অন্যদের মৃত্যু হয়েছে উপসর্গ নয়তো অন্যান্য শারীরিক জটিলতায়।