ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী ব্যুরো
কোরবানির ঈদের আর তিনদিন বাকি। এরি মধ্যেই জমে উঠেছে রাজশাহীর পশুহাট। করোনাভীতি ভুলেই পশু কেনাবেচায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সবাই। বারবার সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে বলা হচ্ছে। তবে সামাজিক দূরত্বের কোন বালাই নেই পশুহাটে। মাস্কও পরছেন না ক্রেতা-বিক্রেতারা।
রাজশাহী নগরীর উপকণ্ঠে অবস্থিত সিটিহাট সপ্তাহে দুইদিন রোববার ও বুধবার বসলেও শুক্রবার থেকে প্রতিদিন কেনাবেচা শুরু হয়েছে। তবে শনিবার এখানে গরুর সংখ্যা কম দেখা গেছে। এর আগের দিন পশুর হাট ছিল কাটাখালিতে। আর শনিবার ছিল রাজশাহীর বানেশ্বর হাট।
এই দুই হাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাটে কানায় কানায় লোকজনে ভর্তি। বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা গরু নিয়ে এসেছেন এখানে। কেউ কেউ এসেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকেও। হাটগুলোর পুরো জায়গা জুড়ে শুধু গরু আর গরু। নগরীর বিভিন্ন জায়গা থেকেও ক্রেতারা ভীড় করে গরু কিনতে। দেশের নানাপ্রান্ত থেকে এসেছেন বেপারীরাও। দামদরে মিলে গেলে গরু কিনছেন তারা।
হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়। বেশিরভাগ মানুষ ছিলেন না মাস্ক পরে। মাস্ক থাকলেও বেশিরভাগ মানুষই রেখেছেন থুতনিতে ঝুলিয়ে রাখছেন। হাট মালিকদের পক্ষ থেকে বারবার হ্যান্ড মাইকে মাস্ক পরতে বলা হচ্ছে। কিন্তু কারও সেই দিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। যে যার মত গরু কেনাবেচায় ব্যস্ত সবাই।
হাটে আসা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ঈদের তুলনায় এই ঈদে গরুর দাম তুলনামুলক বেশি। মাঝারি আকারের গরু কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। তবে বড় আকারে গরু কিনতে হলে ১ লাখ ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে হচ্ছে এবার। এছাড়াও বড় গরুর দাম তিন থেকে চার লাখ টাকা পর্যন্ত।
শনিবার বানেশ্বর হাটে পুঠিয়া থেকে গরু নিয়ে এসেছেন রহমত উল্লাহ। তিনি বলেন, আমি গরু নিয়ে এসেছি দুইটা। গরু প্রতি ৭০ হাজার টাকা চেয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত (বিকেল ৩টায়) ৬০ হাজার টাকা বলেছে। তাই বিক্রি করছি না। সামাজিক দূরত্বের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব না। যা হবার হবে। আমি দুইটা গরু এনেছি ওটা বিক্রি হলেই আমি খুশি।
এবিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শরিফুল হক বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট বসছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রচার চালানোর জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।