নিজস্ব প্রতিবেদন, আশাশুনি (সাতক্ষীরা)
পবিত্র ঈদ উল আযহাকে সামনে রেখে আশাশুনির একটি ডেইরী ফার্ম ‘ডিপজল’ ও ‘জন’ নামে দু’টি গরুকে ২৮ মাস ধরে পুষে বৃহদাকৃত্রির গরুতে পরিণত করেছে। ফার্ম মালিক গরু দু’টির দাম হেকেছেন ২৫ লক্ষ টাকা। উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নের কাদাকাটি গ্রামে “শুভ ডেইরী ফার্ম” গরু দু’টি পালন করেছেন।
ফার্মের মালিক মফেজ উদ্দিন শুভ একজন সৌদি প্রবাসী ছিলেন। দীর্ঘ ২০ বছর সৌদিতে প্রবাস জীবন যাপন শেষে দেশে ফিরে পশু পালন ও আধুনিক কৃষি কাজে নিয়োজিত হন। প্রথমে আধুনিক কৃষি কাজের মাধ্যমে নিজেকে দেশের তরে নিবেদিত করেন। পরবর্তীতে বিগত ৪ বছর যাবৎ ফার্ম প্রতিষ্ঠা করে গরু ও ভেড়া পালন শুরু করেন। বর্তমানে তার ফার্মে ২২টি উন্নত জাতের গরু রয়েছে। সাথে সাথে ৫৬টি ভেড়া পালন করছেন। পশু পালনের পাশাপাশি পশুর খাদ্য বিশেষ করে উন্নত জাতের ঘাস, ধান-গম চাষ করে গরুর ভুষি, কুড়ো বাড়ি থেকে সংস্থানের উদ্যোগ নেন। প্রথমে ১০টি গাভী ক্রয় করে ফার্ম শুরু করেন। বর্তমানে তা থেকে ২২টি হয়েছে। এছাড়া দু’টি গরু বিক্রয় করেছেন। গরুর মধ্যে সবশেষে বড় দু’টি- ডিপজল ও জন। ডিপজলের বয়স ২৮ মাস ও জন এর বয়স সাড়ে সাতাশ মাস। গরু দু’টির ওজন ৬২ মন। কুরবানী উপলক্ষে গরু দুটি বিক্রয় করার লক্ষ্যে ২৫ লক্ষ টাকা মূল্য দাবী করেছেন। ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে একটি পার্টি ১৮ লক্ষ টাকা দর উঠেছেন।ফার্ম মালিক শুভ বলেন, যে কোন কাজে মনোযোগ, কাজের প্রতি যত্নশীল ও পশুকে নিজেদের বাচ্চার মত ভেবে লালন পালন করতে হয়। আমরা সেটা করার চেষ্টা করেছি। ফার্মের জন্য ৫ জন কর্মচারী রয়েছে। প্রতিদিন পল, কুড়া, ভুষি, খোল, সবুজ ঘাষ, লতা পাতা, প্রয়োজনীয় পানি সহ যখন যা প্রয়োজন তাই খেতে দিয়েছি। প্রতিমাসে ফার্মে খাদ্য সহ আনুষঙ্গিক খরচ হয়েছে গড় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। শ্রমিক বেতন ৫০ হাজার টাকা। ফার্ম থেকে প্রতিদিন গড় ১০০ থেকে ১৩০ কেজি করে দুধ পেয়েছি। বর্তমানে ৪টি গাভী গাভীন হয়েছে। তাই দুধ কমে প্রতিদিন ৬৫ থেকে ৭০ কেজি হয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার ২৪০ টাকার দুধ বিক্রয় হচ্ছে। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারনে ফড়িয়া বা ক্রেতাদের যোগাযোগ সমস্যার কারণে গরু বিক্রয় নিয়ে চিন্তায় ছিলাম এবং কাঙ্খিত মূল্য পেতে সমস্যা হচ্ছে। তবে যিনি গরুর মূল্য ১৮ লক্ষ টাকা বলেছেন, তার সাথে কথা হচ্ছে একটু বাড়ালেই হয়ত তার কাছে গরু ছেড়ে দিতে পারি।