মোঃ আব্দুল আজিম, দিনাজপুর
দিনাজপুুর কাহারোল উপজেলায় ৪র্থ শ্রেনীর স্কুল পড়–য়া শিশু জাকিয়া আক্তার (১১) ধর্ষনের পর হত্যা করার ঘটনায় দোষ স্বীকার করে বিচারকের নিকট ১৬৪ ধারায় স্বাকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন এক অটো রাইস মিল শ্রমিক সুমন চন্দ্র রায়।
গতকাল রোববার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই চঞ্চল্যকর মামলা গ্রেফতারকৃত আসামী দিনাজপুর কাহারোল উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামের জগদীস চন্দ্র রায়ের পুত্র সুমন চন্দ্র রায় (৩৩) স্বেচ্ছায় বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোছাঃ শারমিন আক্তারের খাসকামড়ায় তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি স্বেচ্ছায় প্রদান করে।
এই চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দিনাজপুর ডিবি পুলিশের এসআই আশরাফুজ্জামান জানান, গত ৩ জুলাই রাত ১২ টার পর ভোর পর্যন্ত যেকোন সময় এই মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামী কাহারোল উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামের জগদীস চন্দ্র রায়ের পুত্র সুমন চন্দ্র রায় মামলার ভিকটিম ৪র্থ শ্রেনির স্কুল ছাত্রী জাকিয়া আক্তার কে ধর্ষন করার পর গলা টিপে হত্যা করে। গ্রেফতারকৃত সুমনকে সন্দেহ জনক ভাবে গত ৪ জুলাই গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ দিনের রিমান্ড নেয়া হয়। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে সুমন ঘটনার বর্ণনায় জাকিয়াকে ধর্ষনের পর হত্যা করে লাশ পাট খেতে পুতে রেখেছে বলে স্বীকার করে। সুমন পুলিশের কাছে জানায় গত ৩ জুলাই জাকিয়াকে কাহারোল উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামের মাঠে পাটখেতের পাশ দিয়ে জাকিয়াকে একা আসতে দেখে তাকে জোর করে ধরে পাটখেতের ভিতরে নিয়ে যায়। সেখানে জাকিয়ার ওড়না দিয়ে তার মুখ ও হাত-পা বেধে ধর্ষন করে। এরপর তাকে গলাটিপে হত্যা করে ঘটনাস্থলে মাটির নিচে পুতে রাখে।
পুলিশের সুত্রটি জানায়, এ ধরনের স্বীকারোক্তীমূলক জবানবন্দি সুমন বিচারকের নিকট স্বেচ্ছায় প্রদান করেছে। জবানবন্দি শেষে সুমনকে দিনাজপুর জেল কারাগারে গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে ৫টায় প্রেরণ করা হয়।
উল্লেখ্য যে, এই ঘটনায় নিহত জাকিয়ার পিতা কাহারোল উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে গত ৪ জুলাই কাহারোল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ একাধিক ব্যাক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর আসামী সুমন স্বেচ্ছায় ঘটনার বর্ণনা দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
দিনাজপুর পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, এই হত্যা ঘটনাটি এই জেলার এ বছরের একটি চাঞ্চল্যকর শিশু হত্যা ঘটনা। ফলে ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে জেলা পুলিশ তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধী গ্রেফতার ও মামলাটি প্রাথমিক ভাবে প্রমান করতে সক্ষম হয়েছে।