ঢাকা ০৯:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

নালিতাবাড়ীতে সুলতানের দাম  ২০ লাখ টাকা! 

মুহাম্মদ আবু হেলাল, শেরপুর
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে হাট কাঁপাবে ‘সুলতান’,।  গরুর মালিক দাম হাকাচ্ছেন ২০ লাখ টাকা।কানাডিয়ান গুরু ‘সুলতান’ নামের হাট কাঁপানো বিশালদেহী ষাঁড়টি পালিত হচ্ছে নালিতাবাড়ী উপজেলার বাঘবের ইউনিয়নের রাণীগাঁও গ্রামে। খামারি পল্লী চিকিৎসক রুহুল আমীন অতি আদরে তাকে লালন-পালন করেছেন। তিনি অনেকটা সখ করে ষাঁড়ের নাম দিয়েছেন ‘সুলতান’। বয়স সাড়ে তিন বছর। ওজন ১ হাজার ৬৭৬ কেজি (৪২ মণ) নাম আর ওজনের সমন্বয়ে সুলতান হয়ে উঠেছে শেরপুর জেলার অন্যতম আকর্ষণীয় কোরবানির পশু।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে হাটে বিক্রির জন্য যত্ন করে সুলতানকে বড় করেছেন খামারি রুহুল আমীন। তাই এখন বাড়িতে বাড়ছে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের আনাগোনা।
খামারি রুহুল আমীনের দাবি, এখন পর্যন্ত শেরপুর জেলার সর্বোচ্চ ওজনের তার এই ষাঁড়টি। নিজ বাড়িতে ৪২ মণ ওজনের এই কানাডিয়ান জাতের ষাঁড় পালনে করে চমক দেখিয়েছেন তিনি।
রুহুল আমিন জানান, উন্নত কানাডিয়ান জাতের বীজ থেকে এই ষাঁড় গরুর জন্ম দেয়া হয়েছে। সুলতান নামের এই ষাঁড়কে প্রতিদিন খড় ও ঘাষ ছাড়াও খৈল ভুষি, ভাতের মার, খুদিসহ অন্তত ১০ কেজি খাবার দিতে হয়। আর সারাক্ষণ ফ্যানের বাতাসের মাঝে রাখতে হয়। এখন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতাদের অনেকেই আসা যাওয়া শুরু করেছেন। ন্যায্য মূল্য পেলে সুলতানকে কোরবানির ঈদে বিক্রি করবেন। বিশালদেহী সুলতান লম্বায় ১০ ফুট আর উচ্চতায় ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি। তার বয়স ও ওজনের ওপর ভিত্তি করে দাম হাঁকছেন ২০ লাখ টাকা। তবে তিনি জানান, আলোচনা সাপেক্ষে দাম কম বেশি হতে পারে।
 মহামারী করোনার এই লকডাউনের সময়ে হাঁটে তুলে সুলতানকে বিক্রি করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন খামারি রুহুল আমিন। তিনি বলেন, সুলতানের পেছনে প্রতিদিন অনেক টাকা খরচ হয়। তার নিরাপত্তা দিতেও এখন রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘এত বড় ষাঁড় ট্রাক বা কোনো যানবাহনে নেয়াও কঠিন। করোনার কারণে হাটে তোলা না গেলে বেশ বিপদে পড়ে যাব। তাই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা যদি সুলতানকে বিক্রির বিষয়ে সহযোগিতা করতেন তাহলে আমি বেশ উপকৃত হতাম।’
এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল হাই জানান, জেলার খামারিদের জন্য অনলাইনে গরু বেচাকেনার প্লাটফর্ম খোলা আছে। সেখানে খামারিরা তাদের পশুর ভিডিও ও ছবি পোস্ট করে সহজেই পশু বিক্রি করতে পারবেন।
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

নালিতাবাড়ীতে সুলতানের দাম  ২০ লাখ টাকা! 

আপডেট টাইম : ০৬:৫৬:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুলাই ২০২১
মুহাম্মদ আবু হেলাল, শেরপুর
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে হাট কাঁপাবে ‘সুলতান’,।  গরুর মালিক দাম হাকাচ্ছেন ২০ লাখ টাকা।কানাডিয়ান গুরু ‘সুলতান’ নামের হাট কাঁপানো বিশালদেহী ষাঁড়টি পালিত হচ্ছে নালিতাবাড়ী উপজেলার বাঘবের ইউনিয়নের রাণীগাঁও গ্রামে। খামারি পল্লী চিকিৎসক রুহুল আমীন অতি আদরে তাকে লালন-পালন করেছেন। তিনি অনেকটা সখ করে ষাঁড়ের নাম দিয়েছেন ‘সুলতান’। বয়স সাড়ে তিন বছর। ওজন ১ হাজার ৬৭৬ কেজি (৪২ মণ) নাম আর ওজনের সমন্বয়ে সুলতান হয়ে উঠেছে শেরপুর জেলার অন্যতম আকর্ষণীয় কোরবানির পশু।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে হাটে বিক্রির জন্য যত্ন করে সুলতানকে বড় করেছেন খামারি রুহুল আমীন। তাই এখন বাড়িতে বাড়ছে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের আনাগোনা।
খামারি রুহুল আমীনের দাবি, এখন পর্যন্ত শেরপুর জেলার সর্বোচ্চ ওজনের তার এই ষাঁড়টি। নিজ বাড়িতে ৪২ মণ ওজনের এই কানাডিয়ান জাতের ষাঁড় পালনে করে চমক দেখিয়েছেন তিনি।
রুহুল আমিন জানান, উন্নত কানাডিয়ান জাতের বীজ থেকে এই ষাঁড় গরুর জন্ম দেয়া হয়েছে। সুলতান নামের এই ষাঁড়কে প্রতিদিন খড় ও ঘাষ ছাড়াও খৈল ভুষি, ভাতের মার, খুদিসহ অন্তত ১০ কেজি খাবার দিতে হয়। আর সারাক্ষণ ফ্যানের বাতাসের মাঝে রাখতে হয়। এখন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতাদের অনেকেই আসা যাওয়া শুরু করেছেন। ন্যায্য মূল্য পেলে সুলতানকে কোরবানির ঈদে বিক্রি করবেন। বিশালদেহী সুলতান লম্বায় ১০ ফুট আর উচ্চতায় ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি। তার বয়স ও ওজনের ওপর ভিত্তি করে দাম হাঁকছেন ২০ লাখ টাকা। তবে তিনি জানান, আলোচনা সাপেক্ষে দাম কম বেশি হতে পারে।
 মহামারী করোনার এই লকডাউনের সময়ে হাঁটে তুলে সুলতানকে বিক্রি করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন খামারি রুহুল আমিন। তিনি বলেন, সুলতানের পেছনে প্রতিদিন অনেক টাকা খরচ হয়। তার নিরাপত্তা দিতেও এখন রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘এত বড় ষাঁড় ট্রাক বা কোনো যানবাহনে নেয়াও কঠিন। করোনার কারণে হাটে তোলা না গেলে বেশ বিপদে পড়ে যাব। তাই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা যদি সুলতানকে বিক্রির বিষয়ে সহযোগিতা করতেন তাহলে আমি বেশ উপকৃত হতাম।’
এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল হাই জানান, জেলার খামারিদের জন্য অনলাইনে গরু বেচাকেনার প্লাটফর্ম খোলা আছে। সেখানে খামারিরা তাদের পশুর ভিডিও ও ছবি পোস্ট করে সহজেই পশু বিক্রি করতে পারবেন।