ঢাকা ০৯:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

নকলায় প্রান্তিক চাষীদের জমি চাষ করে দিচ্ছে ট্রাক্টর মালিকরা

মুহাম্মদ আবু হেলাল, শেরপুর
শেরপুরের নকলা উপজেলার টালকী ইউনিয়নের সালোয়া গ্রামে প্রান্তিক কৃষকের জমি চাষ করে দিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন স্থানীয় ট্রাক্টর মালিকরা।
ট্রাক্টর মালিক রফিকুল ইসলামের উদ্যোগে স্বেচ্ছায় কৃষকের জমি চাষ করে দিয়ে সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছেন অন্তত ১৪ জন ট্রাক্টর মালিক।
প্রশংসার দাবিদার ট্রাক্টর মালিকরা হলেন, বজলু মিয়া, রবি মিয়া, ফিরোজ মিয়া, আব্দুর রশিদ মিষ্টার, রসুল মিয়া, রোমান মিয়া, হেলাল উদ্দীন, শাজাহান আলী, মওলা মিয়া, মজিবুর রহমান, আলম মিয়া, বজলু মিয়া, পঁচা মিয়া ও ফিরুজ মিয়া। এই ১৪ জন ট্রাক্টর মালিক সালোয়া গ্রামের কৃষক কছিম উদ্দিন, মোবারক হোসেন ও বাবুল মিয়াসহ কয়েকজন কৃষকের প্রায় ৩ একর জমি স্বেচ্ছায় চাষ করে দেন।
ট্রাক্টর মালিক রফিকুল ইসলাম জানান, সালোয়া গ্রামের ছোট কৃষক মোবারক হোসেন স্থানীয় এক ট্রাক্টর মালিককে জমি চাষ করে দিতে বলায়, তার জমি চাষ না করে দিয়ে উল্টা ওই দরিদ্র বর্গাচাষীকে বিভিন্ন কথা-বার্তার মাধ্যমে কৌশলে লজ্জা দেয়। পরে ওই বর্গাচাষী ট্রাক্টর মালিক রফিকুল ইসলামকে জানালে সে স্বেচ্ছায় ওই কৃষকের জমি চাষ করে দিতে এলাকার অন্যান্য ট্রাক্টর মালিকদের অনুরোধ করলে তারা সবাই স্বেচ্ছায় ওই বর্গাচাষীর জমি চাষ করে দেওয়ার সম্মতি জানান। পরের দিন সকালে এলাকার অন্তত ১৪ জন তাদের নিজ নিজ ট্রাক্টর নিয়ে নির্ধারিত জমিতে হাজির হন। তারা ওই বর্গাচাষীর জমি চাষ শেষ করে আশেপাশের আরও কয়েক কৃষকের অন্তত ৩ একর জমি স্বেচ্ছায় চাষ করে দেন। এতে এলাকা ছাড়িয়ে উপজেলা ব্যাপী তাদের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে।
কৃষক মোবারক হোসেন জানান, আমি আমার জমি চাষ করতে বলিনি। তবুও আমার পারিপার্শিক অবস্থা বিবেচনায় তারা আমার জমি চাষ করে দিয়েছেন। এতে আমি খুবই উপকৃত ও আনন্দিত হয়েছি। আমার এই জমিটুকু চাষ করতে অনেক টাকা গুণতে হতো। কিন্তু আজ আমার জমি বিনামুল্যে চাষ করে দিয়েছেন এলাকার ট্রাক্টর মালিকগন। তাদের প্রতি কৃষকরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উদ্যোক্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, “কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ” এই স্লোগানকে সামনে রেখে করোনার সময়ে আমরা দরিদ্র ও বর্গাচাষী কয়েকজন কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা সত্যিই গর্বিত। চলমান করোনা ক্রান্তিকালে দেশের সকল ধনাঢ্য ট্রাক্টর মালিকরা যদি দরিদ্র কৃষক ভাইদের পাশে এভাবে দাড়াঁতেন তাহলে দরিদ্র কৃষক ও বর্গাচষীরা কিছুটা হলেও উপকৃত হতেন। এতে একে অপরের মধ্যে ভাতৃত্ববোধ সৃস্টি হতো, দরিদ্র কৃষকরা আগ্রহী হতেন ধান চাষে। ফলে উপকৃত হতেন কৃষক, সমৃদ্ধ হতো কৃষি অর্থনীতি। এমনটাই মনে করছেন সুশীলজন।
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

নকলায় প্রান্তিক চাষীদের জমি চাষ করে দিচ্ছে ট্রাক্টর মালিকরা

আপডেট টাইম : ০৬:৫৩:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুলাই ২০২১
মুহাম্মদ আবু হেলাল, শেরপুর
শেরপুরের নকলা উপজেলার টালকী ইউনিয়নের সালোয়া গ্রামে প্রান্তিক কৃষকের জমি চাষ করে দিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন স্থানীয় ট্রাক্টর মালিকরা।
ট্রাক্টর মালিক রফিকুল ইসলামের উদ্যোগে স্বেচ্ছায় কৃষকের জমি চাষ করে দিয়ে সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছেন অন্তত ১৪ জন ট্রাক্টর মালিক।
প্রশংসার দাবিদার ট্রাক্টর মালিকরা হলেন, বজলু মিয়া, রবি মিয়া, ফিরোজ মিয়া, আব্দুর রশিদ মিষ্টার, রসুল মিয়া, রোমান মিয়া, হেলাল উদ্দীন, শাজাহান আলী, মওলা মিয়া, মজিবুর রহমান, আলম মিয়া, বজলু মিয়া, পঁচা মিয়া ও ফিরুজ মিয়া। এই ১৪ জন ট্রাক্টর মালিক সালোয়া গ্রামের কৃষক কছিম উদ্দিন, মোবারক হোসেন ও বাবুল মিয়াসহ কয়েকজন কৃষকের প্রায় ৩ একর জমি স্বেচ্ছায় চাষ করে দেন।
ট্রাক্টর মালিক রফিকুল ইসলাম জানান, সালোয়া গ্রামের ছোট কৃষক মোবারক হোসেন স্থানীয় এক ট্রাক্টর মালিককে জমি চাষ করে দিতে বলায়, তার জমি চাষ না করে দিয়ে উল্টা ওই দরিদ্র বর্গাচাষীকে বিভিন্ন কথা-বার্তার মাধ্যমে কৌশলে লজ্জা দেয়। পরে ওই বর্গাচাষী ট্রাক্টর মালিক রফিকুল ইসলামকে জানালে সে স্বেচ্ছায় ওই কৃষকের জমি চাষ করে দিতে এলাকার অন্যান্য ট্রাক্টর মালিকদের অনুরোধ করলে তারা সবাই স্বেচ্ছায় ওই বর্গাচাষীর জমি চাষ করে দেওয়ার সম্মতি জানান। পরের দিন সকালে এলাকার অন্তত ১৪ জন তাদের নিজ নিজ ট্রাক্টর নিয়ে নির্ধারিত জমিতে হাজির হন। তারা ওই বর্গাচাষীর জমি চাষ শেষ করে আশেপাশের আরও কয়েক কৃষকের অন্তত ৩ একর জমি স্বেচ্ছায় চাষ করে দেন। এতে এলাকা ছাড়িয়ে উপজেলা ব্যাপী তাদের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে।
কৃষক মোবারক হোসেন জানান, আমি আমার জমি চাষ করতে বলিনি। তবুও আমার পারিপার্শিক অবস্থা বিবেচনায় তারা আমার জমি চাষ করে দিয়েছেন। এতে আমি খুবই উপকৃত ও আনন্দিত হয়েছি। আমার এই জমিটুকু চাষ করতে অনেক টাকা গুণতে হতো। কিন্তু আজ আমার জমি বিনামুল্যে চাষ করে দিয়েছেন এলাকার ট্রাক্টর মালিকগন। তাদের প্রতি কৃষকরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উদ্যোক্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, “কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ” এই স্লোগানকে সামনে রেখে করোনার সময়ে আমরা দরিদ্র ও বর্গাচাষী কয়েকজন কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা সত্যিই গর্বিত। চলমান করোনা ক্রান্তিকালে দেশের সকল ধনাঢ্য ট্রাক্টর মালিকরা যদি দরিদ্র কৃষক ভাইদের পাশে এভাবে দাড়াঁতেন তাহলে দরিদ্র কৃষক ও বর্গাচষীরা কিছুটা হলেও উপকৃত হতেন। এতে একে অপরের মধ্যে ভাতৃত্ববোধ সৃস্টি হতো, দরিদ্র কৃষকরা আগ্রহী হতেন ধান চাষে। ফলে উপকৃত হতেন কৃষক, সমৃদ্ধ হতো কৃষি অর্থনীতি। এমনটাই মনে করছেন সুশীলজন।