ঢাকা ০২:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

গাংনীর জমিদার বাবু যাবে ঢাকায়

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুর

 

মেহেরপুরের গাংনীর বালিয়াঘাট গ্রামের কৃষক এমিলির পালন করা জমিদার বাবু যাবে ঢাকায়। গরুটি লম্বায় ১১ ফিট আর উচ্চতায় ৫ফিট ৫ ইঞ্চি। ৩১ মণ ওজনের এ গরুর দাম স্থানীয় বাজারে দশ লাখ টাকা হাঁকছেন। তবে এমিলি আসা করছেন ঢাকায় গেলে জমিদার বাবুর দাম হবে অনেক বেশি।
এমিলি তিনি পেশায় একজন কৃষক। কৃষি কাজের পাশিপাশি নিজ বাড়িতে গরু পালন করে আসছেন। পশু পালন লাভবান হওয়ায় বাড়ির সাথেই গড়ে তুলেছেন গরুর খামার। এখানেই বড় হয়েছে রাজা বাবু। বছর দুয়েক আগে দুলাখ বিশ হাজার টাকায় গরুটিকে কিনে আনেন এমিলি। ভাল ভাল খাবার আর ফলমুল খাওয়া অভ্যাস তাই এর নাম রাখা হয় রাজাবাবু। গেল বছর কোরবানির ঈদে কাঙ্খিত মুল্য না পাওয়ায় রাজাবুকে বিক্রি করেনি। এবার ভাল দাম পাবেন বলে আশা করছেন তিনি। জমিদার বাবুকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে। রাজাবাবু মেহেরপুর জেলার সব চেয়ে বড় গরু বলে দাবী করেছেন এমিলি।
জমিদার বাবুকে দেখভাল করেন রাখাল হাবিবুর। তিনি জানান, শঙ্করাইন করা ফিজিয়ান জাতের জমিদারের খাবারের তালিকায় প্রতিদিন থাকে, কাচাঁ ঘাস, গমের ভূষি, ভাত, চিটাগুড় ও শুকনা খড় ও বাজারের আঙ্গুর আপেল ও কলা । বেশ কয়েকবার খাবারের পশাপাশি বেশি গরম পড়লে ২৪ ঘন্টায় চালাতে হয় বৈদ্যুতিক পাখা। বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ আসে বড় এই গরুটি দেখতে । আমাদের জমিদার বাবু হইলো জেলার সবচেয়ে বড় গরু।
গাংনী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোস্তফা জামান বলেন, প্রাকৃতিক ভাবে লালন পালন করা পশুর চাহিদা অনেক বেশি। খামারীদেরকে বিভিন্ন সময়ে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এবার গরুর দামও পাবেন তারা।
কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে মেহেরপুরে এবার ২৮ হাজার ৮১০ টি খামারি, ৪৭ হাজার ১৫৫ টি গরু, ৫৭৬ টি মহিষ, ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৭০৬ টি খাসি ও ভেড়া প্রস্তুত রয়েছে। বতর্মানে জেলায় কোরবানির পশুর লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৭৮ হাজার ৮০০ টি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

গাংনীর জমিদার বাবু যাবে ঢাকায়

আপডেট টাইম : ১১:২৯:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুলাই ২০২১

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুর

 

মেহেরপুরের গাংনীর বালিয়াঘাট গ্রামের কৃষক এমিলির পালন করা জমিদার বাবু যাবে ঢাকায়। গরুটি লম্বায় ১১ ফিট আর উচ্চতায় ৫ফিট ৫ ইঞ্চি। ৩১ মণ ওজনের এ গরুর দাম স্থানীয় বাজারে দশ লাখ টাকা হাঁকছেন। তবে এমিলি আসা করছেন ঢাকায় গেলে জমিদার বাবুর দাম হবে অনেক বেশি।
এমিলি তিনি পেশায় একজন কৃষক। কৃষি কাজের পাশিপাশি নিজ বাড়িতে গরু পালন করে আসছেন। পশু পালন লাভবান হওয়ায় বাড়ির সাথেই গড়ে তুলেছেন গরুর খামার। এখানেই বড় হয়েছে রাজা বাবু। বছর দুয়েক আগে দুলাখ বিশ হাজার টাকায় গরুটিকে কিনে আনেন এমিলি। ভাল ভাল খাবার আর ফলমুল খাওয়া অভ্যাস তাই এর নাম রাখা হয় রাজাবাবু। গেল বছর কোরবানির ঈদে কাঙ্খিত মুল্য না পাওয়ায় রাজাবুকে বিক্রি করেনি। এবার ভাল দাম পাবেন বলে আশা করছেন তিনি। জমিদার বাবুকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে। রাজাবাবু মেহেরপুর জেলার সব চেয়ে বড় গরু বলে দাবী করেছেন এমিলি।
জমিদার বাবুকে দেখভাল করেন রাখাল হাবিবুর। তিনি জানান, শঙ্করাইন করা ফিজিয়ান জাতের জমিদারের খাবারের তালিকায় প্রতিদিন থাকে, কাচাঁ ঘাস, গমের ভূষি, ভাত, চিটাগুড় ও শুকনা খড় ও বাজারের আঙ্গুর আপেল ও কলা । বেশ কয়েকবার খাবারের পশাপাশি বেশি গরম পড়লে ২৪ ঘন্টায় চালাতে হয় বৈদ্যুতিক পাখা। বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ আসে বড় এই গরুটি দেখতে । আমাদের জমিদার বাবু হইলো জেলার সবচেয়ে বড় গরু।
গাংনী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোস্তফা জামান বলেন, প্রাকৃতিক ভাবে লালন পালন করা পশুর চাহিদা অনেক বেশি। খামারীদেরকে বিভিন্ন সময়ে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এবার গরুর দামও পাবেন তারা।
কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে মেহেরপুরে এবার ২৮ হাজার ৮১০ টি খামারি, ৪৭ হাজার ১৫৫ টি গরু, ৫৭৬ টি মহিষ, ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৭০৬ টি খাসি ও ভেড়া প্রস্তুত রয়েছে। বতর্মানে জেলায় কোরবানির পশুর লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৭৮ হাজার ৮০০ টি।