ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী ব্যুরো:
রাজশাহীতে প্রস্তুত আরো হচ্ছে ১০০ শয্যার করোনা হাসপাতাল। এক সময়ের সদর হাসপাতাল সংস্কার করে সেন্টাল অক্সিজেন সার্ভিসসহ করোনা হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যার অংশ হিসেবে অবকাঠামো পরিদর্শনও করা হয়েছে বলে জানান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী।
তিনি বলেন, করোনারভাইরাস নিয়েই আমাদের থাকতে হবে। তাই একটি সম্পন্ন করোনা হাসপাতাল গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে কয়েক দফায় কথা হয়েছে। তারাও এটাতে রাজি আছে। আমাদের প্রস্তাবনা পাঠাতে বলা হয়েছে। সেটি তৈরীর কাজ চলছে। সেন্টাল অক্সিজেন সার্ভিস, চিকিৎসক ও জনবলসহ প্রস্তাবনা পাঠাবো।
শামীম ইয়াজদানী বলেন, যত দ্রæত সম্ভাব আমরা এ হাসপাতালটি চালু করতে চাই। তবে অবকাঠামো নির্মাণ করে সেন্টাল অক্সিজেন সেন্টার বসাতে সময় লাগে দুই/তিন মাস। কিন্তু এর আগে আমরা ওয়ার্ড চালু করতে চাই।
জানা গেছে, প্রায় ২০ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে রাজশাহী সদর হাসপাতাল। অথচ একসময় এই হাসপাতালটিই ছিলো এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের একমাত্র চিকিৎসার ভরসা। তবে করোনা যেন চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে হাসপাতালের প্রয়োজনীয়তার কথা। তাই জনস্বার্থে সদর হাসপাতালটি আবারও চালুর দাবি উঠে চিকিৎসকসহ ও সচেতন মহলের।
১৯০২ সালে ব্রিটিশদের নির্মিত এই ভবনেই প্রথম শুরু হয়েছিলো রাজশাহী অঞ্চলের মানুষের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম। ধীরে ধীরে মেডিসিন, নাক-কান-গলা, হাড় জোড়া এমনকি অপারেশন সেবাও চালু হয় এখানে। যা ১৯৩৮ সালে রূপ পায় সদর হাসপাতালে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপতালের কার্যক্রম শুরু হলে পর্যাক্রমে বন্ধ হয়ে যায় এই হাসপাতালটি। তবে করোনার এই মহামারিতে করোনা রোগীর চাপ ও সাধারণ রোগীদের সুরক্ষায় সদর হাসপতালটি আবারো চালু করা প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায়। সদর হাসপাতালে বর্তমানে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে রাজশাহী মেডিকেলের ডেন্টাল ইউনিট।