মনির হোসেন।।
বরিশাল উপজেলার বাকেরগঞ্জ বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের খামখেয়ালিপনার কারনে ভূতুরে বিদ্যুৎ বিলের অভিযোগ উঠেছে। দু’টি ফ্যান ও দু’টি লাইট ব্যবহার করে একমাসে বিল এসেছে ৭৮৭৬ টাকা। যেখানে বিগত দিনে ২০০-৩০০ টাকা প্রতিমাসে বিল আসতো। এমন ঘটনা শুধু বাকেরগঞ্জ নয় বহু জায়গায় মাঝে মাঝে শোনা যায়, তবে তার একটা সমাধান ও আছে। বাকেরগঞ্জ বিদ্যুৎ অফিসে সমাধানের কোনো চেষ্টা কর্মকর্তা কর্মচারীদের নেই বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে বিল প্রস্তুতকারী নুসরাত নাদিয়ার বিরুদ্ধে খামখেয়ালিপনা ও অসৎ আচরনের কথাও শোনা গেছে। তিনি নাকি কোনো গ্রাহকের সাথেই ভালো ব্যবহার করছেন না। এমনটা জানিয়েছেন অভিযোগ কারি আঃ রব এর ছেলে মোঃ আল-আমীন। তিনি জানায়, তাদের মিটার নং ২১৪-১৪৯০ প্রতিমাসে বিদ্যুৎ বিল ২০০- ৩০০ টাকা আসে। তবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে হঠাৎ ভুতুড়ে বিল দেখে চমকে উঠে । সে মাসেই বাকেরগঞ্জ বিদ্যুৎ অফিসে মৌখিক ভাবে অভিযোগ করলে তারা তদন্ত করবেন বলে জানায়।
এপ্রিল মাসের মধ্যে কোনো তদন্ত কর্মকর্তা না গেলে তারা পুনরায় গত ২৯-০৪-২০২১ইং তারিখ ভুক্তভোগীরা বিদ্যুৎ অফিসে যায়। সেখানে কর্মরত নুসরাত জানায়, তাদের কিছু করার নেই এবং পুরো টাকা পরিশোধ করতে বলেন। তারা লিখিত অভিযোগ করতে চাইলে সেটি নিতে ইচ্ছুক না। পরে একজন রিপোর্টার বিদ্যুৎ অফিসের দায়িত্বরত ডিপুটি জেনারেল ম্যনেজার খান জয় রয়-কে ফোন দিলে লিখিত অভিযোগটি গ্রহন করেন এবং তদন্ত করে দেখবেন বলে আস্বস্ত করেন।
পরে দু’জন লোক গিয়ে তদন্ত করেন এবং ০৯-০৫-২০২১ইং সকালে অভিযোগকারীকে বিদ্যুৎ অফিসে আসতে বলেন। নির্দিষ্ট সময়ে তারা বিদ্যুৎ অফিসে গেলে বিল প্রস্তুতকারী নুসরাত নাদিয়া জানায় রিডিং ম্যান রিডিং লিখতে ভুল করেছে এখন কিছু করার নেই, আপনাদের সকল বিল পরিশোধ করতে হবে। অভিযোগকারী আঃ রব খানের ছেলে আল-আমীন এ বিষয়ে উর্ধতন কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।