ঢাকা ০৯:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

শরীয়তপুরে প্রসূতি নারীকে ধর্ষন চেষ্টায় গর্ভের সন্তান হত্যা

হাফিজুর রহমান।।

শরীয়তপুরে প্রসূতি এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে বেদম মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রসূতি ওই নারীর ৮ মাসের বাচ্চা গর্বেই মারা যায়। বুধবার রাতে ওই নারীর মৃত সন্তান সদর হাসপাতালে জন্ম দেয়। ধর্ষণ চেষ্টা ও হত্যার ঘটনায় নড়িয়া থানায় অভিযোগ করেন ওই গৃহবধুর স্বামী।

সোমবার নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর এলাকার এক প্রসূতি গৃহবধূ সকালে নামাজ পড়ে হাটতে গেলে এই সুযোগে পার্শ্ববর্তী ইউনুছ রাড়ি ওই গৃহবধুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় গৃহবধূ তার হাত থেকে বাঁচার জন্য ধর্ষকের হাতে কামড় দিয়ে আত্মচিৎকারে ধর্ষক ইউনুছ রাড়ি বাড়ির লোকজন ছুটে এলে উল্টো ধর্ষক ও তার পরিবারের কয়েক জন মিলে ওই গৃহবধুকে বেদম মারধর করে। এ সময় ওই নারীর চিৎকারে আসে পাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এলাকাবাসী জানায়, সোমবার ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ইউনুছ রাড়ি। এ সময় ওই গৃহবধুর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তাকে মারধর করে বাগানে রেখে চলে যায়। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় অসুস্থ ওই গৃহবধুকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কিছু দিন আগে ওই নারীর পরিবারের সাথে ধর্ষণ চেষ্টাকারী ইউনুছ রাড়ির পারিবারিক ঝগড়া হয়েছিলো, সেই  শত্রুতার কারনে গৃহবধুকে ধর্ষন চেষ্টা করতে পারে। তারা এই ধর্ষেকর কঠিন শাস্তি দাবি করছে।

মামলা সুত্রে জানাযায়, ওই গৃহবধু সকালে নামাজ পরে হাটতে গেলে, স্থানীয় ইউনুছ বেপারী ওই নারীকে পিছন থেকে এসে জড়িয়ে ধরে ধর্ষনের চেষ্টা করে, ধর্ষন চেষ্টায় ব্যর্থ হলে তার পরিবারসহ তিনি ওই নারীকে মারধর করেন, এতে তার ৮ মাসের গর্বের সন্তান মারা যায়। গত বুধবার রাতে ওই নারী মৃত সন্তান প্রসব করেন।
ওই গৃহবধু জানান, ডাক্তারের পরামর্শে অনুযায়ী সকালে নামাজ পড়ে হাটতে যাওয়ার পর, অভিযুক্ত ধর্ষণ চেষ্টাকারী ইউনুছ বেপারী তাকে পিছন থেকে এসে তার শরীরে হাত দেয় এবং তাকে জড়িয়ে ধরে।তার হাত থেকে বাচার জন্য তার হাতে কামড় দিয়ে চিৎকার করে বাঁচার জন্য চেষ্টা করে। তারঁ চিৎকারে ধর্ষণ চেষ্টাকারী ইউনুছ বেপারীর বাড়ির লোকজন এসে উল্টো ওই নারীকে মারধর করে।
অভিযুক্ত ইউনুছ রাড়ি জানান, আমি সকালে মাছ বিক্রি করতে যাওয়ার সময় ওই নারীকে আমাকে জড়িয়ে ধরে, পূর্বের শত্রুতার জেরে আমাকে ফাঁসানোর জন্য এই নাটক করেছে ওই নারী। তবে মারধরের কথা এড়িয়ে যান অভিযুক্ত ধর্ষণ চেষ্টাকারী ইউনুছ রাড়ি।
হাসপাতাল সুত্রে জানাযায়, ওই নারীর ৮ মাসের গর্বের সন্তান পেটেই মারা যায। শুক্রবার সদর হানপাতালে তার গর্ভপাতে মৃত্যু সন্তান জন্ম হয়।

সদর হাসপাতারের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিদ্যা বিভাগের সিনয়র কনসালটেন্ট ডাঃ হোসনে আরা রোজি জানান, ওই নারীকে যেদিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তার অবস্থা শারীরিক অবস্থা ভাল না দেখাতে তাকে কিছু পরীক্ষা দেয়া হয়। পরীক্ষাতে দেখা যায় ওই নারীর বাচ্চা মারা যায়। পরে বুধবার রাতে ওই নারী মৃত বাচ্চা প্রসব করে।

সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্পনা কর্মকর্তা সনোলোজিষ্ট ডাঃ সোবহান জানান, ওই নারীকে যেদিন হাসপাতালে এনে ভর্তিকরা হয়, সেদিন ওই নারীর বাচ্চা মারা যায়। ময়নাতদন্ত ছাড়া বলা যাবে না কিভাবে তার বাচ্চা মারা গেছে।

এ বিষয়ে নড়িয়া থানার তদন্ত ওসি প্রবীণ চক্রবর্তী বলেন, বৃহস্পতিবার একটি ধর্ষণের চেষ্টা ও হত্যার উদ্দেশোপ্রণীত অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন গৃহবধূ স্বামী বাদি হয়ে। আমরা লাশ ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করেছি তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।

 

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

শরীয়তপুরে প্রসূতি নারীকে ধর্ষন চেষ্টায় গর্ভের সন্তান হত্যা

আপডেট টাইম : ০৭:৪৮:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ এপ্রিল ২০২১

হাফিজুর রহমান।।

শরীয়তপুরে প্রসূতি এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে বেদম মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রসূতি ওই নারীর ৮ মাসের বাচ্চা গর্বেই মারা যায়। বুধবার রাতে ওই নারীর মৃত সন্তান সদর হাসপাতালে জন্ম দেয়। ধর্ষণ চেষ্টা ও হত্যার ঘটনায় নড়িয়া থানায় অভিযোগ করেন ওই গৃহবধুর স্বামী।

সোমবার নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর এলাকার এক প্রসূতি গৃহবধূ সকালে নামাজ পড়ে হাটতে গেলে এই সুযোগে পার্শ্ববর্তী ইউনুছ রাড়ি ওই গৃহবধুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় গৃহবধূ তার হাত থেকে বাঁচার জন্য ধর্ষকের হাতে কামড় দিয়ে আত্মচিৎকারে ধর্ষক ইউনুছ রাড়ি বাড়ির লোকজন ছুটে এলে উল্টো ধর্ষক ও তার পরিবারের কয়েক জন মিলে ওই গৃহবধুকে বেদম মারধর করে। এ সময় ওই নারীর চিৎকারে আসে পাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এলাকাবাসী জানায়, সোমবার ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ইউনুছ রাড়ি। এ সময় ওই গৃহবধুর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তাকে মারধর করে বাগানে রেখে চলে যায়। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় অসুস্থ ওই গৃহবধুকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কিছু দিন আগে ওই নারীর পরিবারের সাথে ধর্ষণ চেষ্টাকারী ইউনুছ রাড়ির পারিবারিক ঝগড়া হয়েছিলো, সেই  শত্রুতার কারনে গৃহবধুকে ধর্ষন চেষ্টা করতে পারে। তারা এই ধর্ষেকর কঠিন শাস্তি দাবি করছে।

মামলা সুত্রে জানাযায়, ওই গৃহবধু সকালে নামাজ পরে হাটতে গেলে, স্থানীয় ইউনুছ বেপারী ওই নারীকে পিছন থেকে এসে জড়িয়ে ধরে ধর্ষনের চেষ্টা করে, ধর্ষন চেষ্টায় ব্যর্থ হলে তার পরিবারসহ তিনি ওই নারীকে মারধর করেন, এতে তার ৮ মাসের গর্বের সন্তান মারা যায়। গত বুধবার রাতে ওই নারী মৃত সন্তান প্রসব করেন।
ওই গৃহবধু জানান, ডাক্তারের পরামর্শে অনুযায়ী সকালে নামাজ পড়ে হাটতে যাওয়ার পর, অভিযুক্ত ধর্ষণ চেষ্টাকারী ইউনুছ বেপারী তাকে পিছন থেকে এসে তার শরীরে হাত দেয় এবং তাকে জড়িয়ে ধরে।তার হাত থেকে বাচার জন্য তার হাতে কামড় দিয়ে চিৎকার করে বাঁচার জন্য চেষ্টা করে। তারঁ চিৎকারে ধর্ষণ চেষ্টাকারী ইউনুছ বেপারীর বাড়ির লোকজন এসে উল্টো ওই নারীকে মারধর করে।
অভিযুক্ত ইউনুছ রাড়ি জানান, আমি সকালে মাছ বিক্রি করতে যাওয়ার সময় ওই নারীকে আমাকে জড়িয়ে ধরে, পূর্বের শত্রুতার জেরে আমাকে ফাঁসানোর জন্য এই নাটক করেছে ওই নারী। তবে মারধরের কথা এড়িয়ে যান অভিযুক্ত ধর্ষণ চেষ্টাকারী ইউনুছ রাড়ি।
হাসপাতাল সুত্রে জানাযায়, ওই নারীর ৮ মাসের গর্বের সন্তান পেটেই মারা যায। শুক্রবার সদর হানপাতালে তার গর্ভপাতে মৃত্যু সন্তান জন্ম হয়।

সদর হাসপাতারের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিদ্যা বিভাগের সিনয়র কনসালটেন্ট ডাঃ হোসনে আরা রোজি জানান, ওই নারীকে যেদিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তার অবস্থা শারীরিক অবস্থা ভাল না দেখাতে তাকে কিছু পরীক্ষা দেয়া হয়। পরীক্ষাতে দেখা যায় ওই নারীর বাচ্চা মারা যায়। পরে বুধবার রাতে ওই নারী মৃত বাচ্চা প্রসব করে।

সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্পনা কর্মকর্তা সনোলোজিষ্ট ডাঃ সোবহান জানান, ওই নারীকে যেদিন হাসপাতালে এনে ভর্তিকরা হয়, সেদিন ওই নারীর বাচ্চা মারা যায়। ময়নাতদন্ত ছাড়া বলা যাবে না কিভাবে তার বাচ্চা মারা গেছে।

এ বিষয়ে নড়িয়া থানার তদন্ত ওসি প্রবীণ চক্রবর্তী বলেন, বৃহস্পতিবার একটি ধর্ষণের চেষ্টা ও হত্যার উদ্দেশোপ্রণীত অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন গৃহবধূ স্বামী বাদি হয়ে। আমরা লাশ ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করেছি তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।