ঢাকা ০৩:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

কুপ খননের মাধ্যমে দিনাজপুরে লোহার খনির আনুষ্ঠানিক অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু

দিনাজপুর প্রতিনিধি :  কয়লা ও কঠিন শিলার পর এবার দিনাজপুরে লোহার খনির আনুষ্ঠানিক অনুসন্ধানে নেমেছে বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক অধিদপ্তর। প্রথম ৩ মাস কুপ খনন করে খনিজ সম্পদের অনুসন্ধানে কাজ চলবে। খনিতে লোহার কাঁচামাল আকরিকের পুরুত্ত্ব অনেক বেশি হওয়ায় লোহার সাথে তামাসহ অন্যান্য মুল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক অধিদপ্তর (জিএসবি) এর মহাপরিচালক ড. মোঃ শের আলী আনুষ্ঠানিকভাবে খনন কাজের উদ্বোধন করেন। অনুসন্ধানী দল দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার ১০ নং পুনট্টি ইউনিয়নের কেশবপুর মৌজার জনৈক কেবার মোল্লার জমির একটি অঞ্চলকে লোহার খনির অবস্থান হিসেবে চিহ্নিত করেছে। কুপ খননের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, চিরিরবন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম, ইউএনও আয়েশা সিদ্দিকা, এসিল্যান্ড ইরতিজা হাসান, ওসি তদন্ত রইস উদ্দিন এবং পুনট্টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর-এ-কামাল উপস্থিত ছিলেন। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর কূপ খননের কাজ শুরু করা হলো। প্রথম ৩ মাস কুপ খনন করে চালানো হবে খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানের কাজ। বৈজ্ঞানিক ব্যক্তিরা ধারনা করছেন লোহার খনির কাঁচামাল আকরিকের পুরুত্ত্ব বেশি হওয়ায় তামাসহ অন্যান্য খনিজ সম্পদ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক। কুপ খননের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেশবপুর গ্রামে এসেছে। এলাকাটি সংরক্ষিত হিসেবে ঘোষনা করে জিএসবি কার্যক্রম শুরু করেছে।
লোহার খনি অনুসন্ধান কাজে প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন উপ পরিচালক (ড্রিলিং) প্রকৌশলী মোঃ মাসুদ রানা। তার সঙ্গে রয়েছেন উপ পরিচালক (ড্রিলিং) প্রকৌশলী নিহাজুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী নাজমুল হোসেন খান, প্রকৌশলী মঞ্জুর আহম্মেদ এলাহী ও প্রকৌশলী মোঃ রোকুনুজ্জামান। ইউপি চেয়ারম্যান নুর-এ- কামাল বলেন, কেশবপুরে লোহার খনি নিশ্চিত হলে এলাকার সার্বিক উন্নয়নের ফলে চেহারা পাল্টে যাবে। খনির কুপ খননের খবর পেয়ে এলাকাবাসীর মাঝে আনন্দ উল্লাসের সৃষ্টি হয়েছে। তারা খনন কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করবেন বলে জানান।
উল্লেখ্য সর্বউত্তরের দিনাজপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ও মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি থেকে কয়লা ও কঠিন শিলা উত্তোলনের ফলে খনি এলাকা পার্বতীপুর উপজেলাসহ সমগ্র দিনাজপুর জেলার অর্থনৈতিক বহুমুখি কার্যক্রম মানুষের জীবনমান ও আর্থিক সক্ষমতাকে অনেক গুন বাড়িয়েছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

কুপ খননের মাধ্যমে দিনাজপুরে লোহার খনির আনুষ্ঠানিক অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু

আপডেট টাইম : ১০:২০:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ এপ্রিল ২০২১

দিনাজপুর প্রতিনিধি :  কয়লা ও কঠিন শিলার পর এবার দিনাজপুরে লোহার খনির আনুষ্ঠানিক অনুসন্ধানে নেমেছে বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক অধিদপ্তর। প্রথম ৩ মাস কুপ খনন করে খনিজ সম্পদের অনুসন্ধানে কাজ চলবে। খনিতে লোহার কাঁচামাল আকরিকের পুরুত্ত্ব অনেক বেশি হওয়ায় লোহার সাথে তামাসহ অন্যান্য মুল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক অধিদপ্তর (জিএসবি) এর মহাপরিচালক ড. মোঃ শের আলী আনুষ্ঠানিকভাবে খনন কাজের উদ্বোধন করেন। অনুসন্ধানী দল দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার ১০ নং পুনট্টি ইউনিয়নের কেশবপুর মৌজার জনৈক কেবার মোল্লার জমির একটি অঞ্চলকে লোহার খনির অবস্থান হিসেবে চিহ্নিত করেছে। কুপ খননের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, চিরিরবন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম, ইউএনও আয়েশা সিদ্দিকা, এসিল্যান্ড ইরতিজা হাসান, ওসি তদন্ত রইস উদ্দিন এবং পুনট্টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর-এ-কামাল উপস্থিত ছিলেন। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর কূপ খননের কাজ শুরু করা হলো। প্রথম ৩ মাস কুপ খনন করে চালানো হবে খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানের কাজ। বৈজ্ঞানিক ব্যক্তিরা ধারনা করছেন লোহার খনির কাঁচামাল আকরিকের পুরুত্ত্ব বেশি হওয়ায় তামাসহ অন্যান্য খনিজ সম্পদ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক। কুপ খননের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেশবপুর গ্রামে এসেছে। এলাকাটি সংরক্ষিত হিসেবে ঘোষনা করে জিএসবি কার্যক্রম শুরু করেছে।
লোহার খনি অনুসন্ধান কাজে প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন উপ পরিচালক (ড্রিলিং) প্রকৌশলী মোঃ মাসুদ রানা। তার সঙ্গে রয়েছেন উপ পরিচালক (ড্রিলিং) প্রকৌশলী নিহাজুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী নাজমুল হোসেন খান, প্রকৌশলী মঞ্জুর আহম্মেদ এলাহী ও প্রকৌশলী মোঃ রোকুনুজ্জামান। ইউপি চেয়ারম্যান নুর-এ- কামাল বলেন, কেশবপুরে লোহার খনি নিশ্চিত হলে এলাকার সার্বিক উন্নয়নের ফলে চেহারা পাল্টে যাবে। খনির কুপ খননের খবর পেয়ে এলাকাবাসীর মাঝে আনন্দ উল্লাসের সৃষ্টি হয়েছে। তারা খনন কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করবেন বলে জানান।
উল্লেখ্য সর্বউত্তরের দিনাজপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ও মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি থেকে কয়লা ও কঠিন শিলা উত্তোলনের ফলে খনি এলাকা পার্বতীপুর উপজেলাসহ সমগ্র দিনাজপুর জেলার অর্থনৈতিক বহুমুখি কার্যক্রম মানুষের জীবনমান ও আর্থিক সক্ষমতাকে অনেক গুন বাড়িয়েছে।