ঢাকা ১১:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি শরিফুল শেখ ও তথি বেগম’কে ফরিদপুরের কোতোয়ালি এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী এলাকা হতে ২৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা Logo আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের শ্রদ্ধা

শেরপুরের ঝিনাইগাতীর কালঘোষা নদীর হালচাটিতে ব্রীজের অভাবে মানুষের দুর্ভোগ চরমে!

শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার কালঘোষা নদীর হালচাটিতে একটি ব্রীজের অভাবে হাজারও মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের কালঘোষা নদীর হালচাটিতে একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবি গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের। দেশ স্বাধীনের পর থেকেই এ নদীর হালচাটি একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবি উঠে। কিন্তু দীর্ঘ ৫০ বছরে এখানে একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়নি। ফলে এ পথে চলাচলকারী ৪গ্রামের শতশত মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয়দের মতে, ভারত সীমান্ত ঘেষা কালঘোষা নদীর হালচাটিতে এ ব্রীজ নির্মান স্হানটি গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন এ পথে হালচাটি,গান্দিগাঁও,নওকুচি, গজনী গ্রামের শতশত মানুষ যাতায়াত করে থাকে। শুধু তাই নয় এখানে একটি ব্রীজ না থাকায় বিজিবি টহল ও বন বিভাগের কর্মকাণ্ড মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। নদীর উত্তর পাশে ভারত সীমান্ত ঘেঁষে আদিবাসী কোচ পল্লী। এ পল্লীতে প্রায় অর্ধশতাধিক কোচ সম্প্রদায়ের লোকের বসবাস। এখানে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। হালচাটি গ্রামের আগ্নেশ্বর কোচ, সুরেন্দ্র চন্দ্র কোচ, বাহাদুর কোচসহ গ্রামবাসীরা জানান,এ নদীর হালচাটিতে একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবি গ্রামবাসীদের দীর্ঘ দিনের। বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকেই আশ্বাসও পাওয় গেছে। কিন্ত আজো তা বাস্তবায়িত হয়নি। আক্ষেপের সুরে তারা আরো বলেন, নির্বাচনের সময় এলে জনপ্রতিনিধিরা এ নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে আমাদের কাছে ভোট নেয়। কিন্ত নির্বাচনের পরে কেউ আর আমাদের খোঁজ খবর নেন না। নদীর উপর একটি ব্রীজ না থাকায় এ গ্রামের মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। শুষ্ক মৌসুমে যেমন তেমন বর্ষা মৌসুমে পথচারীদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। গত প্রায় ৬ বছর পূর্বে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ সরকার গ্রামবাসীদের দুর্ভোগ লাগবে এলজিএসপির অর্থে একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে সেতুটি নির্মাণ করায় পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে সেতুটি বিধ্বস্ত হয়ে যোগাযোগ ব্যাবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে। এরপর আর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। গজনী ফরেস্ট বিট কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন এ নদীর উপর একটি ব্রীজের অভাবে তাদের দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড মারাত্মক ভাবে বিঘ্নিত হয়। তিনি বলেন ব্রীজ না থাকায় নিলামে বিক্রি করা বনের কাঠ পারাপারে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। কোমলমতি শিশু কিশোররা নদী পারি দিয়ে স্কুল কলেজে যেতে পারে না। হতে হচ্ছে নানা বিড়ম্বনার শিকার। বিজিবি’র ৩৯ ব্যাটালিয়নের নকসী সীমান্ত ফাঁড়ির কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার মো,উমর ফারুক বলেন এ নদীর উপর একটি ব্রীজের অভাবে জরুরি কোনো কাজে বিজিবি’র টহলদল সীমান্তে পৌছাতে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে তাদের। কাংশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো, জহুরুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন কালঘোষা নদীর হালচাটিতে একটি ব্রীজ নির্মাণের বিষয়ে উপজেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় বহুবার আবেদন নিবেদন করা হয়েছে। অনেক সময় আশ্বাসও পাওয়া গেছে। কিন্ত আজো তা বাস্তবায়িত হয়নি। উপজেলা প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই। সরেজমিনে গিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

শেরপুরের ঝিনাইগাতীর কালঘোষা নদীর হালচাটিতে ব্রীজের অভাবে মানুষের দুর্ভোগ চরমে!

আপডেট টাইম : ০৬:৫১:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ মার্চ ২০২১

শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার কালঘোষা নদীর হালচাটিতে একটি ব্রীজের অভাবে হাজারও মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের কালঘোষা নদীর হালচাটিতে একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবি গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের। দেশ স্বাধীনের পর থেকেই এ নদীর হালচাটি একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবি উঠে। কিন্তু দীর্ঘ ৫০ বছরে এখানে একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়নি। ফলে এ পথে চলাচলকারী ৪গ্রামের শতশত মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয়দের মতে, ভারত সীমান্ত ঘেষা কালঘোষা নদীর হালচাটিতে এ ব্রীজ নির্মান স্হানটি গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন এ পথে হালচাটি,গান্দিগাঁও,নওকুচি, গজনী গ্রামের শতশত মানুষ যাতায়াত করে থাকে। শুধু তাই নয় এখানে একটি ব্রীজ না থাকায় বিজিবি টহল ও বন বিভাগের কর্মকাণ্ড মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। নদীর উত্তর পাশে ভারত সীমান্ত ঘেঁষে আদিবাসী কোচ পল্লী। এ পল্লীতে প্রায় অর্ধশতাধিক কোচ সম্প্রদায়ের লোকের বসবাস। এখানে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। হালচাটি গ্রামের আগ্নেশ্বর কোচ, সুরেন্দ্র চন্দ্র কোচ, বাহাদুর কোচসহ গ্রামবাসীরা জানান,এ নদীর হালচাটিতে একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবি গ্রামবাসীদের দীর্ঘ দিনের। বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকেই আশ্বাসও পাওয় গেছে। কিন্ত আজো তা বাস্তবায়িত হয়নি। আক্ষেপের সুরে তারা আরো বলেন, নির্বাচনের সময় এলে জনপ্রতিনিধিরা এ নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে আমাদের কাছে ভোট নেয়। কিন্ত নির্বাচনের পরে কেউ আর আমাদের খোঁজ খবর নেন না। নদীর উপর একটি ব্রীজ না থাকায় এ গ্রামের মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। শুষ্ক মৌসুমে যেমন তেমন বর্ষা মৌসুমে পথচারীদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। গত প্রায় ৬ বছর পূর্বে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ সরকার গ্রামবাসীদের দুর্ভোগ লাগবে এলজিএসপির অর্থে একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে সেতুটি নির্মাণ করায় পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে সেতুটি বিধ্বস্ত হয়ে যোগাযোগ ব্যাবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে। এরপর আর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। গজনী ফরেস্ট বিট কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন এ নদীর উপর একটি ব্রীজের অভাবে তাদের দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড মারাত্মক ভাবে বিঘ্নিত হয়। তিনি বলেন ব্রীজ না থাকায় নিলামে বিক্রি করা বনের কাঠ পারাপারে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। কোমলমতি শিশু কিশোররা নদী পারি দিয়ে স্কুল কলেজে যেতে পারে না। হতে হচ্ছে নানা বিড়ম্বনার শিকার। বিজিবি’র ৩৯ ব্যাটালিয়নের নকসী সীমান্ত ফাঁড়ির কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার মো,উমর ফারুক বলেন এ নদীর উপর একটি ব্রীজের অভাবে জরুরি কোনো কাজে বিজিবি’র টহলদল সীমান্তে পৌছাতে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে তাদের। কাংশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো, জহুরুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন কালঘোষা নদীর হালচাটিতে একটি ব্রীজ নির্মাণের বিষয়ে উপজেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় বহুবার আবেদন নিবেদন করা হয়েছে। অনেক সময় আশ্বাসও পাওয়া গেছে। কিন্ত আজো তা বাস্তবায়িত হয়নি। উপজেলা প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই। সরেজমিনে গিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।