ঢাকা ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

গাইবান্ধায় প্রতিবন্ধী সাদিকের পাশে দাঁড়ালেন পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম

শেখ মোঃ সাইফুল ইসলাম গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধায় দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে মানসিক ভারসাম্যহীন প্রতিবন্ধীর নিউজ প্রকাশ হলে, জেলা পুলিশ সুপারের সুদৃষ্টি মিলেছে।

ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারী গ্রামে মানসিক ভারসাম্যহীন প্রতিবন্ধী সাদিকের পাশে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিলেন মানবিক পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম।

প্রত্যন্ত ওই কাতলামারী গ্রামে আজ সকালে তার বাড়িতে মানবিক পুলিশ সুপার গিয়ে সাদিক ও তার বৃদ্ধ দাদীর খোজ খবর নেন।

পাশাপাশি তাদের পরিবারের জন্য চাল, ডাল, তেলসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী উপহার তুলে দেন সাদিকের বৃদ্ধ দাদী রহিমা বেওয়ার হাতে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফুলছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ কাওছার আলী, তদন্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম, টি আই (এডমিন ) নুর আলম সিদ্দিক, গাইবান্ধা সরকারী কলেজের অধ্যাপক ও দুর্বার গাইবান্ধার উপদেষ্টা কাইয়ুম আজাদ, মানবাধিকার কর্মী সালাউদ্দিন কাশেম, নাজিম আহম্মেদ রানা, ইউপি সদস্য সবুর সরদারসহ স্থানীয়রা।

এসময় পুলিশ সুপার বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি বন্যা, করোনা কালীন সময়-সহ বিভিন্ন সময়ে জেলা পুলিশ এই মানবিক কাজ গুলো করে আসছে।

তারেই ধারাবাহিকতায় আজ এই অসহায় পরিবারটিকে আমরা চিকিৎসা-সহ সব ধরনের সহযোগীতার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।

দীঘ ১০ বছর ধরে মোটা কাপড়ের দড়ি দিয়ে বেধে রাখা হয় সাদিককে।

সে কখনও কুড়ে ঘরে আবার কখনও বাড়ির উঠানে শুয়ে বসে থেকে মানবেতর জীবন যাপন করে আসছিলেন।

মা-বাবা হারা এই প্রতিবন্ধী ছেলেটি, জন্মের পরে বাবা মারা যায় এবং অন্যতরে মা চলে যায়, বতমানে একমাত্র বৃদ্ধ দাদী রহিমা বেওয়ার প্রতিবন্ধী সাদিককে দেখভাল করে আসছেন।

সম্প্রতিক বেশ কিছু গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর আজ পুলিশ সুপার সাদিকের বাড়িতে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

গাইবান্ধায় প্রতিবন্ধী সাদিকের পাশে দাঁড়ালেন পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম

আপডেট টাইম : ০৮:৪৭:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ মার্চ ২০২১

শেখ মোঃ সাইফুল ইসলাম গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধায় দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে মানসিক ভারসাম্যহীন প্রতিবন্ধীর নিউজ প্রকাশ হলে, জেলা পুলিশ সুপারের সুদৃষ্টি মিলেছে।

ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারী গ্রামে মানসিক ভারসাম্যহীন প্রতিবন্ধী সাদিকের পাশে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিলেন মানবিক পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম।

প্রত্যন্ত ওই কাতলামারী গ্রামে আজ সকালে তার বাড়িতে মানবিক পুলিশ সুপার গিয়ে সাদিক ও তার বৃদ্ধ দাদীর খোজ খবর নেন।

পাশাপাশি তাদের পরিবারের জন্য চাল, ডাল, তেলসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী উপহার তুলে দেন সাদিকের বৃদ্ধ দাদী রহিমা বেওয়ার হাতে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফুলছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ কাওছার আলী, তদন্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম, টি আই (এডমিন ) নুর আলম সিদ্দিক, গাইবান্ধা সরকারী কলেজের অধ্যাপক ও দুর্বার গাইবান্ধার উপদেষ্টা কাইয়ুম আজাদ, মানবাধিকার কর্মী সালাউদ্দিন কাশেম, নাজিম আহম্মেদ রানা, ইউপি সদস্য সবুর সরদারসহ স্থানীয়রা।

এসময় পুলিশ সুপার বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি বন্যা, করোনা কালীন সময়-সহ বিভিন্ন সময়ে জেলা পুলিশ এই মানবিক কাজ গুলো করে আসছে।

তারেই ধারাবাহিকতায় আজ এই অসহায় পরিবারটিকে আমরা চিকিৎসা-সহ সব ধরনের সহযোগীতার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।

দীঘ ১০ বছর ধরে মোটা কাপড়ের দড়ি দিয়ে বেধে রাখা হয় সাদিককে।

সে কখনও কুড়ে ঘরে আবার কখনও বাড়ির উঠানে শুয়ে বসে থেকে মানবেতর জীবন যাপন করে আসছিলেন।

মা-বাবা হারা এই প্রতিবন্ধী ছেলেটি, জন্মের পরে বাবা মারা যায় এবং অন্যতরে মা চলে যায়, বতমানে একমাত্র বৃদ্ধ দাদী রহিমা বেওয়ার প্রতিবন্ধী সাদিককে দেখভাল করে আসছেন।

সম্প্রতিক বেশ কিছু গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর আজ পুলিশ সুপার সাদিকের বাড়িতে।