ঢাকা ০১:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

কঙ্গোতে ইবোলায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :   মধ্য আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে কয়েক মাস ধরে চলা ইবোলা প্রাদুর্ভাবে মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। মৃতদের অর্ধেকই বেনি শহরের। আট লাখ বাসিন্দার এ শহরটি নর্থ কিভু অঞ্চলে অবস্থিত। সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে ইতোমধ্যে প্রায় ২৫ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে।

কঙ্গোর স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওলে ইলুঙ্গা অভিযোগ করে বলেছেন, ইবোলা মোকাবিলায় কাজ করে যাওয়া মেডিকেল দলগুলোকে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা ধারাবাহিকভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে।

স্বাস্থ্যকর্মীরা সশস্ত্র বিদ্রোহীদের ‘হুমকি, লাঞ্চনা, অপহরণের’ মুখোমুখি হচ্ছেন; নিয়মিতভাবে তাদের যন্ত্রপাতি ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন তিনি।

‘হামলায় আমাদের র‌্যাপিড রেসপন্স মেডিকেল ইউনিটের দুই সহকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন,’ বলেছেন তিনি।

গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেডরস আদানম গ্যাব্রেইয়েসুস বলেছেন, কঙ্গোর এবারের প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিরাপত্তার ঘাটতিই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

সেপ্টেম্বরেও সশস্ত্র একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর কয়েক ঘণ্টার হামলার পর বেনিতে টিকাদান কর্মসূচি স্থগিত রাখা হয়েছিল। বছরের পর বছর ধরে আফ্রিকার এ দেশটি গৃহযুদ্ধ ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কবলে রয়েছে।

কঙ্গোতে এ দফা ইবোলার প্রাদুর্ভাব শুরু হয় চলতি বছরের জুলাইতে। ১৯৭৬ সালের পর থেকে এ নিয়ে দেশটি ১০ বার ইবোলা প্রাদুর্ভাবের মুখোমুখি হল।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ ভাষ্যে প্রাণঘাতি এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২৯১ এবং মৃতের সংখ্যা ২০১ বলে জানানো হয়েছে।

দেশটিতে কর্মরত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা সশস্ত্র বিদ্রোহীদের ইবোলা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রুখতে দায়িত্বপালনরত স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজে বাধা না দিতে অনুরোধ জানিয়েছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

কঙ্গোতে ইবোলায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে

আপডেট টাইম : ০৫:২০:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ নভেম্বর ২০১৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :   মধ্য আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে কয়েক মাস ধরে চলা ইবোলা প্রাদুর্ভাবে মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। মৃতদের অর্ধেকই বেনি শহরের। আট লাখ বাসিন্দার এ শহরটি নর্থ কিভু অঞ্চলে অবস্থিত। সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে ইতোমধ্যে প্রায় ২৫ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে।

কঙ্গোর স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওলে ইলুঙ্গা অভিযোগ করে বলেছেন, ইবোলা মোকাবিলায় কাজ করে যাওয়া মেডিকেল দলগুলোকে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা ধারাবাহিকভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে।

স্বাস্থ্যকর্মীরা সশস্ত্র বিদ্রোহীদের ‘হুমকি, লাঞ্চনা, অপহরণের’ মুখোমুখি হচ্ছেন; নিয়মিতভাবে তাদের যন্ত্রপাতি ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন তিনি।

‘হামলায় আমাদের র‌্যাপিড রেসপন্স মেডিকেল ইউনিটের দুই সহকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন,’ বলেছেন তিনি।

গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেডরস আদানম গ্যাব্রেইয়েসুস বলেছেন, কঙ্গোর এবারের প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিরাপত্তার ঘাটতিই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

সেপ্টেম্বরেও সশস্ত্র একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর কয়েক ঘণ্টার হামলার পর বেনিতে টিকাদান কর্মসূচি স্থগিত রাখা হয়েছিল। বছরের পর বছর ধরে আফ্রিকার এ দেশটি গৃহযুদ্ধ ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কবলে রয়েছে।

কঙ্গোতে এ দফা ইবোলার প্রাদুর্ভাব শুরু হয় চলতি বছরের জুলাইতে। ১৯৭৬ সালের পর থেকে এ নিয়ে দেশটি ১০ বার ইবোলা প্রাদুর্ভাবের মুখোমুখি হল।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ ভাষ্যে প্রাণঘাতি এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২৯১ এবং মৃতের সংখ্যা ২০১ বলে জানানো হয়েছে।

দেশটিতে কর্মরত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা সশস্ত্র বিদ্রোহীদের ইবোলা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রুখতে দায়িত্বপালনরত স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজে বাধা না দিতে অনুরোধ জানিয়েছে।