জাতীয় দলের ডাকে পাকিস্তানের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল ) ছেড়ে গেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল। তবে পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়নি তার ফেরার সম্ভাবনা। দেশের হয়ে খেলার দায়িত্ব পালন করে লাহোরে হতে যাওয়া টুর্নামেন্টের দ্বিতীয়ভাগে ফের কোয়েটার সাথে যোগ দেবেন ক্যারিবীয় এ তারকা।
সোমবার (১ মার্চ) গেইল অ্যান্টিগায় বলেন, যখন জাতীয় দলে খেলার জন্য ফোন পাই, সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যাই। তাদের জানাই, আমি ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের হয়ে খেলতে চাই। আমার হৃদয় সেখানেই পরে থাকে। গুরুত্বপূর্ণ এ সময়ে আমি ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগগুলোকে কাজে লাগাতে চাই। এ জন্য পাকিস্তান থেকে ফিরে এসেছি। বিশ্বকাপের কথা চিন্তা করে এখনই দল তৈরি হচ্ছে। আশা করছি সেরা দল সাজিয়ে আমরা বিশ্বকাপ জিততে পারবো।
২০১২ ও ২০১৬ টি-টোয়েন্টি শিরোপা জিতেছেন গেইল। তৃতীয়টি পাওয়ার অপেক্ষায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক অধিনায়ক। তার ভাষ্য, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজই জিততে চাই। তবে আমার লক্ষ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তৃতীয় টি-টোয়েন্টি শিরোপা পেতে চাই। এ জন্য দীর্ঘমেয়াদি কাজ করতে হবে। সামনে আমাদের টানা সিরিজ আছে। আমরা সেগুলোতে নিজেদের তৈরি করে ভালো একটি দল সাজাতে চাই। এরপর বিশ্বকাপ মিশন। মনে হতে পারে বিশ্বকাপ অনেক দূরের পথ। কিন্তু শারীরিকভাবে নিজেকে ফিট রাখা, ভালো দল সাজানো এবং লক্ষ্যের পথে ছুটে যেতে সময়ের প্রয়োজন।
শেষ আইপিএলে তিনে ব্যাটিং করেছেন গেইল। ৯ ইনিংসে ৩৯৫ রান করেছেন ৪৩.৮৮ গড়ে, ১৪৪.১৬ স্ট্রাইক রেটে। জাতীয় দলে নিশ্চিতভাবেই ইনিংস শুরু করবেন তিনি। তবে দলের প্রয়োজেন তিনে কিংবা পাঁচে যে কোনো পজিশনে ব্যাটিং করতে রাজি মারকুটে এ ব্যাটসম্যান।
তিনি বলেন, মনে হচ্ছে এখন আমি তিন নম্বরের বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান (হাসি) । কোচ অনিল কুম্বলে (পাঞ্জাবের কোচ) আমাকে তিন নম্বরে দেখতে চেয়েছিলো। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে জানিয়ে দিয়েছিলো, আমাকে সেখানে খেলাবে। আমার কোনো সমস্যা ছিলো না। বিশ্বাস ছিলো, আমি সুযোগ পেলে তিন নম্বরেও রান পাবো। সেই সময়ে লোকেশ রাহুল ও মায়াঙ্ক আগারওয়াল দারুণ ব্যাটিং করেছিলো। তাদের সরানো কঠিন ছিলো না। আমি ওপেনিং করতে সদা প্রস্তত। তবে তিন কিংবা পাঁচ, আমাকে যেখানেই বলবে সেখানেই ব্যাটিং করতে পারবো। বিশ্বাস করি সেখানেও আমি বিশ্বসেরা ক্রিকেটার হবো।পিএসএলে গেইল কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরসের হয়ে দুই ম্যাচে রান করেছিলেন ৩৯ ও ৬৮। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর আবার জাতীয় দলে ফিরেছেন। ৪১ বছর বয়সি এ ক্রিকেটার বিশ্বাস করেন, মানসিক শক্তির কারণে তিনি আরো দীর্ঘ সময় মাঠে থাকতে পারবেন।
তিনি বলেন, এখন ৪১ এ আছি। প্রতিদিন নিজের পরিবর্তন টের পাচ্ছি। বিশেষ করে মানসিক ও শারীরিক পরিবর্তন হচ্ছে। এ সময়ে মনের জোর সবচেয়ে বেশি থাকা জরুরি। আমার মন বলছে, এখনো আমাকে সেখানে (মাঠে) থাকতে হবে এবং ব্যাটিং করতে হবে এবং মজা করতে হবে। প্রতিদিন এ প্রেরণা আমাকে আরো উজ্জীবিত করে। নিজেকে বেশ ভালোভাবে যত্ন নিচ্ছি। ট্রেনিং করছি। অনেকেই প্রশ্ন করে, আমি ডায়েট করছি কি না? তাদের বলি, আমি পর্যাপ্ত খাবার গ্রহণ করছি। যা খুশি খাচ্ছি। মজা করছি। নিজেকে ফুরফুরে রাখছি যেন মাঠে নিজের শতভাগ নিবেদন দিতে পারি।