ঢাকা ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

এক মাস পর সু চি’র দেখা মিললো

সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতা দখলের এক মাস পর মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি’কে প্রথমবারের মতো দেখতে পেয়েছেন তার আইনজীবীরা। গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী সু চি’সহ দলের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সু চি’র আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ভিডিও লিংকের মাধ্যমে কোর্টে হাজিরা দিয়েছেন এই নেত্রী। তিনি সুস্থ আছেন বলেও জানিয়েছেন সু চি’র আইনজীবীরা। এসময় সু চি তার আইনজীবীদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তারা।

ওই অভ্যুত্থানের পর থেকে সু চি’কে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। তবে তাকে কোথায় রাখা হয়েছে, তা প্রকাশ করেনি জান্তা সরকার। এরপরই সেনা বিরোধী বিক্ষোভে রাস্তায় নেমে এসেছে মিয়ানমারের মানুষ। এসব বিক্ষোভে অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার একদিনেই ১৮ জন বিক্ষোভকারী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে।

কয়েক সপ্তাহ ধরে চলমান এই বিক্ষোভকে কঠোরভাবে দমন করতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী যে পদক্ষেপ নিয়েছে তারই অংশ হিসেবে প্রতিবাদকারীদের ওপর ‍গুলি ছোড়া হয়। তবে সোমবারও রাস্তায় নেমে এসেছে বিক্ষোভকারীরা। তারা গণতন্ত্রের পুনর্বহাল চাইছে এবং এনএলডি নেত্রীকে মুক্তির দাবি জানিয়েছে।

গত নভেম্বরে মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই নির্বাচনে ভূমিধস জয় পায় এনএলডি। কিন্তু নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তোলে সেনাসমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি)। তবে এর স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি সেনাবাহিনী।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

এক মাস পর সু চি’র দেখা মিললো

আপডেট টাইম : ১১:৫২:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ মার্চ ২০২১

সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতা দখলের এক মাস পর মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি’কে প্রথমবারের মতো দেখতে পেয়েছেন তার আইনজীবীরা। গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী সু চি’সহ দলের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সু চি’র আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ভিডিও লিংকের মাধ্যমে কোর্টে হাজিরা দিয়েছেন এই নেত্রী। তিনি সুস্থ আছেন বলেও জানিয়েছেন সু চি’র আইনজীবীরা। এসময় সু চি তার আইনজীবীদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তারা।

ওই অভ্যুত্থানের পর থেকে সু চি’কে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। তবে তাকে কোথায় রাখা হয়েছে, তা প্রকাশ করেনি জান্তা সরকার। এরপরই সেনা বিরোধী বিক্ষোভে রাস্তায় নেমে এসেছে মিয়ানমারের মানুষ। এসব বিক্ষোভে অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার একদিনেই ১৮ জন বিক্ষোভকারী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে।

কয়েক সপ্তাহ ধরে চলমান এই বিক্ষোভকে কঠোরভাবে দমন করতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী যে পদক্ষেপ নিয়েছে তারই অংশ হিসেবে প্রতিবাদকারীদের ওপর ‍গুলি ছোড়া হয়। তবে সোমবারও রাস্তায় নেমে এসেছে বিক্ষোভকারীরা। তারা গণতন্ত্রের পুনর্বহাল চাইছে এবং এনএলডি নেত্রীকে মুক্তির দাবি জানিয়েছে।

গত নভেম্বরে মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই নির্বাচনে ভূমিধস জয় পায় এনএলডি। কিন্তু নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তোলে সেনাসমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি)। তবে এর স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি সেনাবাহিনী।