ঢাকা ১১:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

কাউন্সিলর মতিন সাউদের চাহিদামত টাকা না দিলে প্রতিষ্ঠান সীলগালা করার হুমকি

হাফিজুর রহমান :
ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের ৬৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মতিন সাউদ এর বিরুদ্ধে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের অনাপত্তিপত্র নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট প্রদানে অর্থ দাবীর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানাগেছে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ব্যাবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে সম্প্রতি ট্রেডলাইসেন্স নবায়নের জন্য ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট প্রদানের বাধ্যবাদকতা আরোপ করা হয়। সেই সুযাগ কাজে লাগিয়ে সিটি কর্পোরেশনের ৬৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মতিন সাউদ ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে এন ও সি বাবদ মোটা অংকের টাকা দাবী করে আসছে। এতে করে স্বল্পপুজির ব্যাবসায়ীরা চরম বিপাকে পড়েছে। সরেজমিনে বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। ৬৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মতিন সাউদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট প্রদানে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

আলী এন্ড মুক্তা প্লাস দাতের মাজন কোম্পানীর স্বত্বাধিকারী শফিকের কাখানায় নো অবজেকশন সার্টিফিকেটের বিষয়ে ৬৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মতিন সাউদের ব্যক্তিগত সচিব লিটু সাউদ,কাউন্সিলর অফিসের দালাল সবুর ও স্থানীয় কয়েকজন যুবক মিলে সেখানে উপস্থিত হয়ে মালিক শফিককে কাউন্সিলর এর কার্যালয়ে দেখা করতে বলেন। এর কয়েকদিন পর শফিক (মালিক) ৬৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মতিন সাউদ এর অফিসে গেলে কাউন্সিলর এর ব্যাক্তিগত সচিব তার চাচাত ভাই লিটু সাউদ এবং সবুর নামক কাউন্সিলর অফিসের দালাল মিলে, ব্যবসা পরিচালনা করতে হলে এন.ও.সি বাবদ ১ লক্ষ টাকা দাবী করে। ব্যাবসায়ী শফিকের পীড়াপিড়িতে পরে ৮০ হাজার টাকা নির্ধারন করেন। ব্যবসায়ী শফিক অপারগতা প্রকাশ করলে ৩০ হাজার টাকার কমে এন.ও.সি দেয়া হবে না বলে কাউন্সিলর এর সচিব জানান। সংবাদ কর্মীদের এমন তথ্যই জানিয়েছেন ব্যাবসায়ী শফিক। শফিক বলেন তার ব্যবসার পুঁজি সামান্য, ছোট পরিসরে নিজের পরিবারের লোকজনদের নিয়ে দাতের মাজন প্রস্তুুত করে কোন রকমে তার সংসার চলে। এমন পরিস্থিতিতে কাউন্সিলর এর দাবীকৃত ৩০ হাজার টাকা দেয়ার সক্ষমতা আমার নেই।

এ বিষয়ে খোঁজ নিতে ৬৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসে গেলে ব্যাক্তিগত সচিব তার চাচাত ভাই লিটু সাউদ এবং সবুর নামক কাউন্সিলর অফিসের দালাল ঔদ্ধত্য প্রকাশ করে টাকা পয়সা দাবীর কথা অকপটে স্বীকার করেন এবং তারা বলেন কাউন্সিলর সরকারী ভাতা পান, কিন্তু অফিস পরিচালনার জন্য আমরা বাড়তি লোকজন সারাদিন কাজ করি আমাদের সিটি কর্পোরেশন থেকে কোন ভাতা/সম্মানী দেয়া হয় না। তাই আমরা বাধ্য হয়েই ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে কিছু টাকা নেয়।

এ বিষয়ে ৬৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল মতিন সাউদের কাছে গেলে সংবাদ কর্মীদের সম্পৃক্ত হওয়ায় বিরক্তি ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি নিজে কারখানাটি ভিজিট করতে য্বা। বিষয়টি আমার ইগোতে লেগেছে, প্রয়োজনে আমি সিটি কর্পোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা কারখানাটি সীলগালা ও বন্ধ করার ব্যাবস্থা করবো অথবা আমার ওয়ার্ড থেকে বাহির করার জন্য সকল ধরনের ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা

কাউন্সিলর মতিন সাউদের চাহিদামত টাকা না দিলে প্রতিষ্ঠান সীলগালা করার হুমকি

আপডেট টাইম : ০৪:২০:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১

হাফিজুর রহমান :
ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের ৬৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মতিন সাউদ এর বিরুদ্ধে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের অনাপত্তিপত্র নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট প্রদানে অর্থ দাবীর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানাগেছে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ব্যাবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে সম্প্রতি ট্রেডলাইসেন্স নবায়নের জন্য ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট প্রদানের বাধ্যবাদকতা আরোপ করা হয়। সেই সুযাগ কাজে লাগিয়ে সিটি কর্পোরেশনের ৬৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মতিন সাউদ ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে এন ও সি বাবদ মোটা অংকের টাকা দাবী করে আসছে। এতে করে স্বল্পপুজির ব্যাবসায়ীরা চরম বিপাকে পড়েছে। সরেজমিনে বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। ৬৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মতিন সাউদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট প্রদানে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

আলী এন্ড মুক্তা প্লাস দাতের মাজন কোম্পানীর স্বত্বাধিকারী শফিকের কাখানায় নো অবজেকশন সার্টিফিকেটের বিষয়ে ৬৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মতিন সাউদের ব্যক্তিগত সচিব লিটু সাউদ,কাউন্সিলর অফিসের দালাল সবুর ও স্থানীয় কয়েকজন যুবক মিলে সেখানে উপস্থিত হয়ে মালিক শফিককে কাউন্সিলর এর কার্যালয়ে দেখা করতে বলেন। এর কয়েকদিন পর শফিক (মালিক) ৬৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মতিন সাউদ এর অফিসে গেলে কাউন্সিলর এর ব্যাক্তিগত সচিব তার চাচাত ভাই লিটু সাউদ এবং সবুর নামক কাউন্সিলর অফিসের দালাল মিলে, ব্যবসা পরিচালনা করতে হলে এন.ও.সি বাবদ ১ লক্ষ টাকা দাবী করে। ব্যাবসায়ী শফিকের পীড়াপিড়িতে পরে ৮০ হাজার টাকা নির্ধারন করেন। ব্যবসায়ী শফিক অপারগতা প্রকাশ করলে ৩০ হাজার টাকার কমে এন.ও.সি দেয়া হবে না বলে কাউন্সিলর এর সচিব জানান। সংবাদ কর্মীদের এমন তথ্যই জানিয়েছেন ব্যাবসায়ী শফিক। শফিক বলেন তার ব্যবসার পুঁজি সামান্য, ছোট পরিসরে নিজের পরিবারের লোকজনদের নিয়ে দাতের মাজন প্রস্তুুত করে কোন রকমে তার সংসার চলে। এমন পরিস্থিতিতে কাউন্সিলর এর দাবীকৃত ৩০ হাজার টাকা দেয়ার সক্ষমতা আমার নেই।

এ বিষয়ে খোঁজ নিতে ৬৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসে গেলে ব্যাক্তিগত সচিব তার চাচাত ভাই লিটু সাউদ এবং সবুর নামক কাউন্সিলর অফিসের দালাল ঔদ্ধত্য প্রকাশ করে টাকা পয়সা দাবীর কথা অকপটে স্বীকার করেন এবং তারা বলেন কাউন্সিলর সরকারী ভাতা পান, কিন্তু অফিস পরিচালনার জন্য আমরা বাড়তি লোকজন সারাদিন কাজ করি আমাদের সিটি কর্পোরেশন থেকে কোন ভাতা/সম্মানী দেয়া হয় না। তাই আমরা বাধ্য হয়েই ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে কিছু টাকা নেয়।

এ বিষয়ে ৬৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল মতিন সাউদের কাছে গেলে সংবাদ কর্মীদের সম্পৃক্ত হওয়ায় বিরক্তি ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি নিজে কারখানাটি ভিজিট করতে য্বা। বিষয়টি আমার ইগোতে লেগেছে, প্রয়োজনে আমি সিটি কর্পোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা কারখানাটি সীলগালা ও বন্ধ করার ব্যাবস্থা করবো অথবা আমার ওয়ার্ড থেকে বাহির করার জন্য সকল ধরনের ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।