ঢাকা ০১:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি শরিফুল শেখ ও তথি বেগম’কে ফরিদপুরের কোতোয়ালি এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী এলাকা হতে ২৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা Logo আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের শ্রদ্ধা

ভুয়া ডাক্তারের যাবজ্জীবন ও মৃত্যুদণ্ডের বিধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট

আলোর জগত ডেস্ক: ভুয়া ডাক্তারের সাজা যাবজ্জীবন ও মৃত্যুদণ্ডের বিধান চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. জে আর খাঁন রবিন পিটিশনার হয়ে জনস্বার্থে সোমবার এ রিট পিটিশনটি দায়ের করেন।রিটকারী আইনজীবী রবিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ধারা ২৮(৩) ও ২৯(২) সংশোধন করে ভূয়া ডাক্তারের সাজা ৩ বছর ও জরিমানা ১ লক্ষ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা মৃত্যুদণ্ডসহ জরিমানা বৃদ্ধিতে বিবাদীগণের ব্যর্থতাকে কেন বেআইনী ঘোষণা করা হবে না মর্মে রুল জারির আর্জি পেশ করা হয়। একই সাথে কেন দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে বিবাদীগণকে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ধারা ২৮(৩) ও ২৯(২) সংশোধন করে ভূয়া ডাক্তারের সাজা ৩ বছর ও জরিমানা ১ লক্ষ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা মৃত্যুদণ্ডসহ জরিমানা বৃদ্ধির জন্য সুপারিশ করা হবে না, সে মর্মেও নির্দেশনা চাওয়া হয়।

রিটে সচিব, আইন ও সংসদীয় বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদীয় মন্ত্রণালয়, সচিব, স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, সভাপতি, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল, মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, রেজিষ্ট্রার, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়েছে।

এডভোকেট জে আর খাঁন রবিন বলেন, বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫(ক) ও ১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী স্বাস্থ্য সেবা ও জনস্বাস্থ্যের কথা উল্লেখ থাকলেও অনুচ্ছেদ ৩১ ও ৩২ অনুযায়ী মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্য সেবা একটি মৌলিক অধিকার। মানুষের এই স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ডাক্তারদের ভূমিকা অপরিসীম।

তিনি বলেন, বর্তমানে অনেক ভুয়া ডাক্তার নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে মানুষের সাথে প্রতিনিয়ত প্রতারণা করছে। শুধু তাই নয় দেশের সাধারণ মানুষ এই সকল ভূয়া ডাক্তারদের স্মরণাপন্ন হয়ে প্রতিনিয়ত নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এমনকি শারীরিকভাবে স্থায়ী অক্ষমতাসহ অনেকেই মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছে।

এই আইনজীবী আরও বলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইনের ধারা ২৮(৩) অনুযায়ী যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেকে নিবন্ধনকৃত একজন মেডিক্যাল চিকিৎসক বা ডেন্টাল চিকিৎসক বলে প্রতারণা করেন অথবা প্রতারণামূলকভাবে তার নাম বা পদবীর সঙ্গে নিবন্ধনকৃত মর্মে কোনো শব্দ, বর্ণ বা অভিব্যক্তি ব্যবহার করেন তার মিথ্যা পরিচয় দ্বারা কোনো ব্যক্তি প্রতারিত না হলেও তার জন্য তিনি ৩ বছর কারাদণ্ড অথবা ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডের অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। অন্যদিকে উক্ত আইনের ধারা ২৯ অনুযায়ী কেউ অনুমোদিত মেডিক্যাল কলেজ অথবা প্রতিষ্ঠান হতে এম.বি.বি.এস অথবা বি. ডি.এস ডিগ্রি অর্জন না করে তার নামের পূর্বে ডাক্তার উপাধি ব্যবহার করলেও অনুরূপ সাজার বিধান রয়েছে।

এডভোকেট রবিন আরও বলেন, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ (সি) ধারা অনুযায়ী খাদ্য ও ঔষধ তৈরি বা বিক্রির জন্য মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীন কারাদণ্ড অথবা ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডসহ জরিমানার বিধান রয়েছে।

রবিন বলেন, গত ২৯ অক্টোবর বিবাদিগণের বরাবরে একটি নোটিশ প্রেরণ করে উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু যথাযথ কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় রিটটি দায়ের করা হয়েছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

ভুয়া ডাক্তারের যাবজ্জীবন ও মৃত্যুদণ্ডের বিধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট

আপডেট টাইম : ০৯:২০:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২০

আলোর জগত ডেস্ক: ভুয়া ডাক্তারের সাজা যাবজ্জীবন ও মৃত্যুদণ্ডের বিধান চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. জে আর খাঁন রবিন পিটিশনার হয়ে জনস্বার্থে সোমবার এ রিট পিটিশনটি দায়ের করেন।রিটকারী আইনজীবী রবিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ধারা ২৮(৩) ও ২৯(২) সংশোধন করে ভূয়া ডাক্তারের সাজা ৩ বছর ও জরিমানা ১ লক্ষ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা মৃত্যুদণ্ডসহ জরিমানা বৃদ্ধিতে বিবাদীগণের ব্যর্থতাকে কেন বেআইনী ঘোষণা করা হবে না মর্মে রুল জারির আর্জি পেশ করা হয়। একই সাথে কেন দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে বিবাদীগণকে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ধারা ২৮(৩) ও ২৯(২) সংশোধন করে ভূয়া ডাক্তারের সাজা ৩ বছর ও জরিমানা ১ লক্ষ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা মৃত্যুদণ্ডসহ জরিমানা বৃদ্ধির জন্য সুপারিশ করা হবে না, সে মর্মেও নির্দেশনা চাওয়া হয়।

রিটে সচিব, আইন ও সংসদীয় বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদীয় মন্ত্রণালয়, সচিব, স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, সভাপতি, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল, মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, রেজিষ্ট্রার, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়েছে।

এডভোকেট জে আর খাঁন রবিন বলেন, বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫(ক) ও ১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী স্বাস্থ্য সেবা ও জনস্বাস্থ্যের কথা উল্লেখ থাকলেও অনুচ্ছেদ ৩১ ও ৩২ অনুযায়ী মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্য সেবা একটি মৌলিক অধিকার। মানুষের এই স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ডাক্তারদের ভূমিকা অপরিসীম।

তিনি বলেন, বর্তমানে অনেক ভুয়া ডাক্তার নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে মানুষের সাথে প্রতিনিয়ত প্রতারণা করছে। শুধু তাই নয় দেশের সাধারণ মানুষ এই সকল ভূয়া ডাক্তারদের স্মরণাপন্ন হয়ে প্রতিনিয়ত নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এমনকি শারীরিকভাবে স্থায়ী অক্ষমতাসহ অনেকেই মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছে।

এই আইনজীবী আরও বলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইনের ধারা ২৮(৩) অনুযায়ী যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেকে নিবন্ধনকৃত একজন মেডিক্যাল চিকিৎসক বা ডেন্টাল চিকিৎসক বলে প্রতারণা করেন অথবা প্রতারণামূলকভাবে তার নাম বা পদবীর সঙ্গে নিবন্ধনকৃত মর্মে কোনো শব্দ, বর্ণ বা অভিব্যক্তি ব্যবহার করেন তার মিথ্যা পরিচয় দ্বারা কোনো ব্যক্তি প্রতারিত না হলেও তার জন্য তিনি ৩ বছর কারাদণ্ড অথবা ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডের অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। অন্যদিকে উক্ত আইনের ধারা ২৯ অনুযায়ী কেউ অনুমোদিত মেডিক্যাল কলেজ অথবা প্রতিষ্ঠান হতে এম.বি.বি.এস অথবা বি. ডি.এস ডিগ্রি অর্জন না করে তার নামের পূর্বে ডাক্তার উপাধি ব্যবহার করলেও অনুরূপ সাজার বিধান রয়েছে।

এডভোকেট রবিন আরও বলেন, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ (সি) ধারা অনুযায়ী খাদ্য ও ঔষধ তৈরি বা বিক্রির জন্য মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীন কারাদণ্ড অথবা ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডসহ জরিমানার বিধান রয়েছে।

রবিন বলেন, গত ২৯ অক্টোবর বিবাদিগণের বরাবরে একটি নোটিশ প্রেরণ করে উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু যথাযথ কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় রিটটি দায়ের করা হয়েছে।