ঢাকা ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

মাশরাফির দুর্দান্ত বোলিংয়ে ফাইনালে খুলনা

স্পোর্টস ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে প্রথম দল হিসেবে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে জেমকন খুলনা। প্রথম কোয়ালিফায়ারে শক্তিশালী দল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে হারিয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ক্যারিয়ার সেরা ৫ উইকেট নিলেন মাশরাফি মুর্তজা। তাতে এর আগের দুই হারের প্রতিশোধও নিল খুলনা, সোমবার প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে ৪৭ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে তারা।

নড়াইল এক্সপ্রেসের ধাক্কা সামলে ২১১ রানের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি চট্টগ্রাম। সবকটি উইকেট হারিয়ে চট্টগ্রাম ১৯.৪ ওভারে ১৬৩ রানে অলআউট হয়ে যায়। ফলে ৪৭ রানের পরাজয়ে ফাইনালের লড়াই থেকে একটু পিছিয়ে গেল মোহাম্মদ মিথুনের দল। তবে ফাইনালের আশা শেষ হয়ে যায়নি তাদের। মঙ্গলবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে বেক্সিমকো ঢাকার বিপক্ষে জিততে হবে চট্টগ্রামকে। আর ১৮ ডিসেম্বরের ফাইনালের মঞ্চে এই ম্যাচ বিজয়ীর জন্য অপেক্ষা করবে খুলনা।

টসে হেরে আগে ব্যাট করা খুলনার উড়ন্ত সূচনা হয়েছিল জহুরুল ইসলামের ব্যাটে। ওপেনার জাকির হোসেন করেন ২২ (১৬) রান। জাকিরের বিদায়ের পর ৩৩ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন জহুরুল। শেষ পর্যন্ত ৫১ বলে খেলেন ৮০ রানের ইনিংস।
সঙ্গে ইমরুল কায়েসের ১২ বলে ২৫ রান করে বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহ ঝড় তোলেন চার-ছয়ের। সঞ্জিতের এক ওভারে হাঁকান ৩টি ছয়। শেষ পর্যন্ত ৯ বলে ৩টি ছয় আর ২টি চারে ৩০ রান করে ফেরেন সাজঘরে।

শেষ দিকে আরিফুলের ১৫, সাকিবের ২৮ আর মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার ১ ছয়ে ভর করে ২১১ রানের বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় চট্টগ্রামকে। চট্টগ্রামের হয়ে ২ উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান, ১টি করে উইকেট নেন সঞ্জিত শাহা ও মোসাদ্দেক হোসেন।

খুলনার দেয়া বড় লক্ষ্য টপকাতে গিয়ে শুরু থেকে হাঁসফাঁস অবস্থা দেখা যায় চট্টগ্রামের ব্যাটারদের মাঝে। ইনিংসের প্রথম ওভারে লিটনের ১২ রান তোলার পর শেষ বলে স্ট্রাইকে আসা সৌম্য সরকারকে শূন্য রানে বিদায় করেন মাশরাফী।

ইনিংসের চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে লিটন দাসকে ২৪ (১৩) রানে বোল্ড করে ফেরান মাশরাফী। এই উইকেট দিয়ে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১৫০ উইকেট পূর্ণ করেছেন নড়াইল এক্সপ্রেস।

দলীয় ১০০ রানের মাথায় চট্টগ্রামের তৃতীয় উইকেটও তুলে নেন মাশরাফী। ৩১ রান করা মাহমুদুল হাসান জয় ক্যাচ দেন ইমরুল কায়েসের হাতে।

এরপর একপ্রান্ত আগলে রাখা চট্টলার অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের ৩৫ বলে ৫৩ করে ফেরার পর আসা যাওয়ার মিছিলে মাতে চট্টগ্রামের ব্যাটাররা। তবে মাশরাফী তার শেষ ওভারে নেন আরও দুই উইকেট। বিদায় করেন শামসুর রহমান ও মুস্তাফিজুর রহমানকে।

টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটাই প্রথম মাশরাফির ৫ উইকেট। শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রাম থামে ১৯.৪ ওভারে ১৬৩ রানে। ৪৭ রানের জয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে খুলনা আর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে ঢাকার সঙ্গী হলো চট্টগ্রাম।

খুলনার হয়ে মাশরাফি নেন ৩৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট, ২টি করে নেন হাসান মাহমুদ ও আরিফুল হক। ১ উইকেট নেন সাকিব আল হাসান।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

মাশরাফির দুর্দান্ত বোলিংয়ে ফাইনালে খুলনা

আপডেট টাইম : ০৪:৪১:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০

স্পোর্টস ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে প্রথম দল হিসেবে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে জেমকন খুলনা। প্রথম কোয়ালিফায়ারে শক্তিশালী দল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে হারিয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ক্যারিয়ার সেরা ৫ উইকেট নিলেন মাশরাফি মুর্তজা। তাতে এর আগের দুই হারের প্রতিশোধও নিল খুলনা, সোমবার প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে ৪৭ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে তারা।

নড়াইল এক্সপ্রেসের ধাক্কা সামলে ২১১ রানের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি চট্টগ্রাম। সবকটি উইকেট হারিয়ে চট্টগ্রাম ১৯.৪ ওভারে ১৬৩ রানে অলআউট হয়ে যায়। ফলে ৪৭ রানের পরাজয়ে ফাইনালের লড়াই থেকে একটু পিছিয়ে গেল মোহাম্মদ মিথুনের দল। তবে ফাইনালের আশা শেষ হয়ে যায়নি তাদের। মঙ্গলবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে বেক্সিমকো ঢাকার বিপক্ষে জিততে হবে চট্টগ্রামকে। আর ১৮ ডিসেম্বরের ফাইনালের মঞ্চে এই ম্যাচ বিজয়ীর জন্য অপেক্ষা করবে খুলনা।

টসে হেরে আগে ব্যাট করা খুলনার উড়ন্ত সূচনা হয়েছিল জহুরুল ইসলামের ব্যাটে। ওপেনার জাকির হোসেন করেন ২২ (১৬) রান। জাকিরের বিদায়ের পর ৩৩ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন জহুরুল। শেষ পর্যন্ত ৫১ বলে খেলেন ৮০ রানের ইনিংস।
সঙ্গে ইমরুল কায়েসের ১২ বলে ২৫ রান করে বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহ ঝড় তোলেন চার-ছয়ের। সঞ্জিতের এক ওভারে হাঁকান ৩টি ছয়। শেষ পর্যন্ত ৯ বলে ৩টি ছয় আর ২টি চারে ৩০ রান করে ফেরেন সাজঘরে।

শেষ দিকে আরিফুলের ১৫, সাকিবের ২৮ আর মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার ১ ছয়ে ভর করে ২১১ রানের বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় চট্টগ্রামকে। চট্টগ্রামের হয়ে ২ উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান, ১টি করে উইকেট নেন সঞ্জিত শাহা ও মোসাদ্দেক হোসেন।

খুলনার দেয়া বড় লক্ষ্য টপকাতে গিয়ে শুরু থেকে হাঁসফাঁস অবস্থা দেখা যায় চট্টগ্রামের ব্যাটারদের মাঝে। ইনিংসের প্রথম ওভারে লিটনের ১২ রান তোলার পর শেষ বলে স্ট্রাইকে আসা সৌম্য সরকারকে শূন্য রানে বিদায় করেন মাশরাফী।

ইনিংসের চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে লিটন দাসকে ২৪ (১৩) রানে বোল্ড করে ফেরান মাশরাফী। এই উইকেট দিয়ে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১৫০ উইকেট পূর্ণ করেছেন নড়াইল এক্সপ্রেস।

দলীয় ১০০ রানের মাথায় চট্টগ্রামের তৃতীয় উইকেটও তুলে নেন মাশরাফী। ৩১ রান করা মাহমুদুল হাসান জয় ক্যাচ দেন ইমরুল কায়েসের হাতে।

এরপর একপ্রান্ত আগলে রাখা চট্টলার অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের ৩৫ বলে ৫৩ করে ফেরার পর আসা যাওয়ার মিছিলে মাতে চট্টগ্রামের ব্যাটাররা। তবে মাশরাফী তার শেষ ওভারে নেন আরও দুই উইকেট। বিদায় করেন শামসুর রহমান ও মুস্তাফিজুর রহমানকে।

টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটাই প্রথম মাশরাফির ৫ উইকেট। শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রাম থামে ১৯.৪ ওভারে ১৬৩ রানে। ৪৭ রানের জয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে খুলনা আর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে ঢাকার সঙ্গী হলো চট্টগ্রাম।

খুলনার হয়ে মাশরাফি নেন ৩৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট, ২টি করে নেন হাসান মাহমুদ ও আরিফুল হক। ১ উইকেট নেন সাকিব আল হাসান।