ঢাকা ০৬:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

জলবায়ু পরিবর্তন প্যারিস চুক্তির প্রতিশ্রুতি পূরণের আহ্বান প্রধামন্ত্রীর

আলোর জগত ডেস্ক: জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় পাঁচ বছরেও প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য অর্জনের কাছাকাছিও পৌঁছাতে না পারার কথা তুলে ধরে অর্থায়নের পাশাপাশি কাঙ্ক্ষিত ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ প্রশমন ব্যবস্থা গ্রহণে উন্নত দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গতকাল শনিবার প্যারিস চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল সামিটে তিনি এ আহ্বান জানান।

 ভিডিও বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, আজ আমরা ঐতিহাসিক প্যারিস চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উদযাপন করছি। দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা এই চুক্তির অধীনে আমাদের নির্ধারিত লক্ষ্যগুলোর কাছাকাছিও পৌঁছাতে পারিনি। বাস্তবতা হল, আমরা বসে থাকলেই জলবায়ু পরিবর্তন বিরতি দেবে না বা তার বিরূপ প্রভাব থেকে আমাদের রেহাই দেবে না।

বৈশ্বিক উষ্ণতা যেভাবে বাড়ছে তাতে বিপর্যয় এড়ানোর জন্য আর বেশি সময় হাতে নেই বলে সতর্ক করে আসছেন বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও অভিযোজন ব্যবস্থায় বাংলাদেশ বিশ্বে নেতৃস্থানীয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এই প্রসঙ্গে সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই অভিযোজনেরও একটা সীমা আছে।

ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) প্রেসিডেন্ট হিসেবে সিভিএফ ‘মিডনাইট সারভাইভাল ডেডলাইন ফর দ্য ক্লাইমেট’ উদ্যোগ চালু করার কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

পরিবেশ রক্ষায় গৃহিত বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশব্যাপী ১ কোটি ১৫ লাখ চারা রোপণ করছি এবং সুরক্ষিত টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সম্পদের যোগান দিতে মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান নামে একটি কর্মসূচিও চালু করেছি।

আমাদের প্রতিশ্রুতি ও অভিযোজন লক্ষ্যমাত্রা যথেষ্ট পরিমাণে বাড়াতে, আমরা প্রশমন প্রক্রিয়ায় বিদ্যমান বিদ্যুৎ, শিল্প ও পরিবহন খাত ছাড়াও আরও কয়েকটি সম্ভাব্য খাতকে অন্তর্ভুক্ত করেছি। আমাদের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, প্রতি বছর আমরা জলবায়ু পরিবর্তন সংবেদনশীল প্রকল্পের জন্য ২০০ কোটি ডলার ও অভিযোজন ব্যবস্থার জন্য ৩০০ কোটি তিন ডলার ব্যয় করছি।

উল্লেখ্য, গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমণের কারণে পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়তে থাকায় সাগর পৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে; ঝড়, বন্যা এবং খরার মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ পাচ্ছে নতুন মাত্রা। এসব পরিণতি থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে ২০১৫ সালে প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনে চুক্তিবদ্ধ হয় বিশ্ব নেতৃবৃন্দ।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

জলবায়ু পরিবর্তন প্যারিস চুক্তির প্রতিশ্রুতি পূরণের আহ্বান প্রধামন্ত্রীর

আপডেট টাইম : ১২:২২:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০

আলোর জগত ডেস্ক: জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় পাঁচ বছরেও প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য অর্জনের কাছাকাছিও পৌঁছাতে না পারার কথা তুলে ধরে অর্থায়নের পাশাপাশি কাঙ্ক্ষিত ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ প্রশমন ব্যবস্থা গ্রহণে উন্নত দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গতকাল শনিবার প্যারিস চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল সামিটে তিনি এ আহ্বান জানান।

 ভিডিও বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, আজ আমরা ঐতিহাসিক প্যারিস চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উদযাপন করছি। দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা এই চুক্তির অধীনে আমাদের নির্ধারিত লক্ষ্যগুলোর কাছাকাছিও পৌঁছাতে পারিনি। বাস্তবতা হল, আমরা বসে থাকলেই জলবায়ু পরিবর্তন বিরতি দেবে না বা তার বিরূপ প্রভাব থেকে আমাদের রেহাই দেবে না।

বৈশ্বিক উষ্ণতা যেভাবে বাড়ছে তাতে বিপর্যয় এড়ানোর জন্য আর বেশি সময় হাতে নেই বলে সতর্ক করে আসছেন বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও অভিযোজন ব্যবস্থায় বাংলাদেশ বিশ্বে নেতৃস্থানীয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এই প্রসঙ্গে সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই অভিযোজনেরও একটা সীমা আছে।

ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) প্রেসিডেন্ট হিসেবে সিভিএফ ‘মিডনাইট সারভাইভাল ডেডলাইন ফর দ্য ক্লাইমেট’ উদ্যোগ চালু করার কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

পরিবেশ রক্ষায় গৃহিত বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশব্যাপী ১ কোটি ১৫ লাখ চারা রোপণ করছি এবং সুরক্ষিত টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সম্পদের যোগান দিতে মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান নামে একটি কর্মসূচিও চালু করেছি।

আমাদের প্রতিশ্রুতি ও অভিযোজন লক্ষ্যমাত্রা যথেষ্ট পরিমাণে বাড়াতে, আমরা প্রশমন প্রক্রিয়ায় বিদ্যমান বিদ্যুৎ, শিল্প ও পরিবহন খাত ছাড়াও আরও কয়েকটি সম্ভাব্য খাতকে অন্তর্ভুক্ত করেছি। আমাদের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, প্রতি বছর আমরা জলবায়ু পরিবর্তন সংবেদনশীল প্রকল্পের জন্য ২০০ কোটি ডলার ও অভিযোজন ব্যবস্থার জন্য ৩০০ কোটি তিন ডলার ব্যয় করছি।

উল্লেখ্য, গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমণের কারণে পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়তে থাকায় সাগর পৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে; ঝড়, বন্যা এবং খরার মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ পাচ্ছে নতুন মাত্রা। এসব পরিণতি থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে ২০১৫ সালে প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনে চুক্তিবদ্ধ হয় বিশ্ব নেতৃবৃন্দ।