আর চমৎকার এ সম্পর্কের সূত্র ধরেই অস্ত্র কেনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বৈরী দেশ রাশিয়ার দিকে ঝুঁকে পড়েন এরদোয়ান। গেল বছরের জুলাইয়ে রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্রের চালান নেয়া শুরু করে তুরস্ক সরকার।
এ ঘটনার পরই ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা অভ্যন্তরীণভাবে আঙ্কারার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশ করেন। তবে ট্রাম্প এতে কোনো পদক্ষেপ না নিলেও তুরস্ক নিষেধাজ্ঞা কবলিত হওয়ার মুখে পড়ে।
ইতোমধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প পরাজিত হয়েছেন জো বাইডেনের কাছে। এমন প্রেক্ষাপটে নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে তুরস্কা। বৃহস্পতিবার দুই মার্কিন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট আরও পাঁচজন বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন।
আর শুক্রবারই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা আসতে পারে বলেও জানিয়েছেন তারা। তুরস্কের প্রেসিডেন্সি অব ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং এর প্রধান ইসমাইল দেমিরের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসে ধুঁকতে থাকা তুরস্কের অর্থনীতি মার্কিন এই নিষেধাজ্ঞার ফলে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে। তবে তুরস্কের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, নিষেধাজ্ঞা কোনও কাজে আসবে না। কিন্তু এতে বিপরীত ফল হবে; সম্পর্কের ক্ষতি হবে।
রাশিয়ার কাছ থেকে স্থল থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কেনার পর তুরস্ক সেগুলো পরীক্ষাও করে দেখেছে। তুরস্ক বলছে, এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কারও জন্য হুমকি নয়। কেবল শত্রু মোকাবেলায় এগুলো ব্যবহার করা হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এটাকে হুমকি হিসাবেই দেখছে। এর জেরে যুক্তরাষ্ট্র গেল বছরই তুরস্কের কাছে এফ-৩৫ জঙ্গি বিমান বিক্রি বন্ধ করে।