আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কুয়েতের সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করে বিজয়ী হয়েছে বিরোধী দলে। তবে ভোট প্রদানের অধিকারের পর প্রথম বারের মতো এবার কোনো নারী প্রার্থী জয়ী হননি। গতকাল রবিবার (৬ নভেম্বর) কুয়েতের রাষ্ট্রীয় টিভিতে নির্বাচন কমিশন এ ঘোষণা দেন।
নির্বাচন কমিশন জানায়, জাতীয় পরিষদের ৫০ আসনের মধ্যে ২৪টি আসন লাভ করে বিরোধী দলীয় প্রার্থীরা বিজয়ী হন। এর আগের সংসদের তারা ১৬টি আসন পেয়েছিলেন। এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ৩০জন প্রার্থীর বয়স ৪৫ বছরের কম, যা পরিবর্তন ও পুনর্গঠনের প্রতি তরুণ প্রজম্মের আগ্রহের জানান দেয়।এবারের নির্বাচনে ২৭ জন নারী প্রার্থী ছিলেন, যা কুয়েতের নির্বাচনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক ছিল। কিন্তু গত ৮ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম কোনো নারী প্রার্থী বিজয়ী হননি।
২০১২ সালের পর থেকে কখনো এমন হয়নি। গত নির্বাচনেও একজন নারী জিতেছিলেন। কিন্তু এ বার তিনিও হেরেছেন। গত ১৫ বছর ধরে কুয়েতে মেয়েরা ভোট দিতে পারছেন। তারপর থেকে সাধারণত সংসদে মেয়েদের প্রতিনিধিত্ব থাকে।
কুয়েতের নতুন শাসক শেখ নাওয়াল বিন আহমদ বিন সাবাহর আমলে এটিই প্রথম নির্বাচন। সাবেক শাসক আল সাবাহ ৯১ বছর বয়সে গত সেপ্টেম্বরে মারা যান। ১৯৬৩ সালে কুয়েতে পার্লামেন্ট গঠিত হয়। তারপর থেকে নিয়মিত পার্লামেন্টের নির্বাচন হচ্ছে। তবে ক্ষমতা আমির ও আল সাবহ পরিবারের হাতেই থাকে। তারাই সরকার নিযুক্ত করে।কুয়েতে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ। সকলে ব্যক্তিগতভাবে ভোটে দাঁড়ান। এর মধ্যে অনেকে অঘোষিত গোষ্ঠী তৈরি করেন। এমন অঘোষিত বিরোধী দলই এ বার প্রায় অর্ধেক আসনে জিতেছে। তারা রাজনৈতিক সংস্কারের পক্ষে।
কুয়েতের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ আয়েদ আল মানা বার্তা সংস্থা এএফপি-কে বলেন, ‘নতুন জাতীয় সংসদ গঠনের ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। গত সংসদের কর্মক্ষমতা এবং অর্থনীতি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রে পরিবর্তনের সদিচ্ছার প্রতি ভোটারদের ক্ষোভের ইঙ্গিত দেয়।’ সূত্র : আল জাজিরা