আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাস সংক্রমণ আর মহামারির জেরে আর্থিক ক্ষতির ভয়ে আছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। মহামারি মোকাবিলায় একেবারে শক্ত মেজাজে আছেন তিনি। তাই করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা সামাল দিতে মানুষকে হত্যা করতেও পিছপা হচ্ছেন না তিনি।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ায় সরকারি নিয়ম ভাঙার ‘অপরাধে’ ইতিমধ্যে দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার এই খবর প্রকাশ্যে এনেছে দক্ষিণ কোরিয়ায় গুপ্তচর সংস্থা ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্স সার্ভিস (এনআইএস)।
তারা জানিয়েছে, করোনার নতুন ধাক্কা মোকাবিলায় উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়েও লকডাউন জারি করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে সমুদ্র থেকে মাছ ধরা ও লবণ তৈরি। এমনকি উত্তর কোরিয়ার জনগণের বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির উপরও কড়া নজর রাখছে সরকার। এক্ষেত্রেও জারি হয়েছে নয়া বিধিনিষেধ।
দক্ষিণ কোরিয়ার এক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হা তি কিউয়াং জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং করোনা মহামারি নিয়ে প্রবল ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছেন। আর্থিক পরিস্থিতির ওপর এর প্রভাব আটকাতে একাধিক ব্যবস্থা নিচ্ছেন তিনি।
এনআইএস আরও জানায়, গত মাসে দেশের মুদ্রা বিনিময় মূল্য বা মানি এক্সচেঞ্জ রেট পতনের জন্য এক মানি এক্সচেঞ্জারকে দায়ী করেন কিম জং। সেই অপরাধের শাস্তিস্বরূপ তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন তিনি। এমনকি সরকারি নিয়মভঙ্গ করে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করায় খুন করা হয় এক সরকারি কর্মকর্তাকেও। তবে তাদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এছাড়া সমুদ্রের পানিতে জীবাণু থাকার আশঙ্কায় মাছ ধরা, লবণ তৈরির মতো কাজও বন্ধ রাখা হয়েছে পিয়ংইয়ংয়ে। সেখানে জারি হয়েছে কড়া লকডাউন। তবে সে দেশের অন্যত্র এই নিয়ম জারি করা হয়েছে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়ার মাটিতে একজনও করোনা আক্রান্তের খোঁজ মেলেনি বলে দাবি করেছে কিম সরকার। কিন্তু তাদের সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞরা। বরং তাদের অভিযোগ, সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় করোনা আক্রান্তদের রীতিমতো খুন করছে কিমের প্রশাসন। ফের একবার সেই অভিযোগই করল দক্ষিণ কোরিয়ার গুপ্তচর সংস্থা।