ঢাকা ০৩:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি শরিফুল শেখ ও তথি বেগম’কে ফরিদপুরের কোতোয়ালি এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী এলাকা হতে ২৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা Logo আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের শ্রদ্ধা

কোন শিশু পথশিশু হয়ে থাকবে না : প্রধানমন্ত্রী

আলোর জগত ডেস্ক:  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসাবে জনগণের সেবা করবেন। কাজেই জনগণের সেবার জন্যই আজকে আপনারা উপস্থিত হয়েছেন। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে হবে। দেশ যাতে এগিয়ে যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তাছাড়া ধর্ষণ সমাজের একটি ব্যাধি। ইদানিং এটা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে এবং প্রচারও হচ্ছে। যতবেশি এই ঘটনাগুলো প্রচার হচ্ছে, ততবেশি এর প্রাদুর্ভাব বাড়ছে।

আজ ১৫অক্টোবর বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৭০তম বুনিয়াদি কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। এসব ঘটনা রোধ করার জন্য ব্যাপক ব্যবস্থা নিতে হবে। এই ব্যাপারে জনসচেতনতাও সৃষ্টি করা প্রয়োজন।

লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৭০তম বুনিয়াদি কোর্সের সনদপ্রাপ্তদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আজকে যারা সনদ নিচ্ছেন তাদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। কারণ আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসাবে জনগণের সেবা করবেন। কাজেই জনগণের সেবার জন্যই আজকে আপনারা উপস্থিত হয়েছেন। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে হবে। দেশ যাতে এগিয়ে যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

জাতির পিতার বক্তব্যের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে যারা নবীন কর্মচারী তাদের কিন্তু এই কথাটাই মনে রাখতে হবে। এই দেশের গরীব মানুষগুলি এখনো যারা সেই তৃণমূলে পড়ে আছে, তারা এ দেশের মালিক। আর তাদেরই ঘর থেকে সবাই লেখাপড়া শিখে আজকে উঠে এসেছেন। কাজেই সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই তাদের সেবা করাটা হবে সব থেকে বড় দায়িত্ব।’

এসময় প্রধানমন্ত্রী বৃষ্টির পানি সর্বোচ্চ মাত্রায় কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। পানির স্তর নিচে নেমে গেলে ভূমিকম্পের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এতে বিপুল সংখ্যক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ জন্য জলাধারগুলো রক্ষা করতে হবে। যেগুলো বেদখল হয়ে গেছে সেগুলো উদ্ধারে আমরা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশকে দারিদ্রমুক্ত করতে হবে। একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। প্রতিটি মানুষকে ঘর তৈরি করে দিয়ে তার একটা ঠিকানা করে দিতে হবে। কোন মানুষ ঠিকানবিহীন থাকবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোন শিশু পথশিশু হয়ে থাকবে না। প্রত্যেক শিশুরই একটা ঠিকানা হবে। সে যেন পড়ালেখা করে, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেই কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে সেই ব্যবস্থা আমাদেরই করে দিতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের ভূ-খণ্ড ছোট হলেও মানুষ অনেক বেশি। সে কারণে প্রতিটি গ্রামই যেন শহরের সুযোগ সুবিধা পায়, গ্রামে বসে যেন নাগরিক সুবিধা পায় সেভাবেই আমরা গ্রামগুলোকে গড়ে তুলতে চাই।’

করোনা ভাইরাস সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস এমন একটা সমস্যা যেটা শুধু সারা বাংলাদেশ না, সারা বিশ্বটাকেই যেন স্থবির করে দিয়েছে। এর মাঝেও বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, আমরা যদিও ভূখণ্ডের দিক থেকে খুবই ছোট জনসংখ্যার দিক থেকে বড়। আমাদের সমস্যা অনেক বেশি কিন্তু তার মাঝেও আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, আমাদের প্রশাসন থেকে শুরু কওে অর্থনৈতিক সামাজিক সব ধরনের অবস্থানগুলি যেন অব্যাহত থাকে, আমাদের মানুষ যেন সেবা পায়, মানুষের যেন ভোগান্তি কম হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

দেশে ফিরে আসার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তখন থেকে একটা প্রচেষ্টা ছিল গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা, গণতন্ত্রের সুফল জনগণ যেন পায়, স্বাধীনতার সুফল যেন প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছায় এবং বাংলাদেশ সারাবিশ্বে যেন একটা মর্যাদা পায়। কারণ যখন আমরা বিদেশে রিফিউজি হিসাবে ছিলাম, মানুষের কাছে শুনতাম বা তার পরেও যখন গেছি, বাংলাদেশ শুনলেই মানুষ মনে করত, এটা একটা ঝড় জলোচ্ছ্বাস ঘূর্ণিঝড় দুর্ভিক্ষ এবং দরিদ্র্যের দেশ। যে দেশ শুধু ভিক্ষার ওপর বাঁচে। মানুষের করুণার ওপর বাঁচে। প্রতিটি ক্ষেত্রে যাকে সাহায্য চাইতে হয়। বাজেট তৈরি থেকে শুরু করে প্রতিটি কাজে অন্যের কাছে হাত পাততে হয়।’

ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানে গণভবনের সঙ্গে বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়গুলো সংযুক্ত ছিলেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

কোন শিশু পথশিশু হয়ে থাকবে না : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৪:১৫:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২০

আলোর জগত ডেস্ক:  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসাবে জনগণের সেবা করবেন। কাজেই জনগণের সেবার জন্যই আজকে আপনারা উপস্থিত হয়েছেন। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে হবে। দেশ যাতে এগিয়ে যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তাছাড়া ধর্ষণ সমাজের একটি ব্যাধি। ইদানিং এটা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে এবং প্রচারও হচ্ছে। যতবেশি এই ঘটনাগুলো প্রচার হচ্ছে, ততবেশি এর প্রাদুর্ভাব বাড়ছে।

আজ ১৫অক্টোবর বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৭০তম বুনিয়াদি কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। এসব ঘটনা রোধ করার জন্য ব্যাপক ব্যবস্থা নিতে হবে। এই ব্যাপারে জনসচেতনতাও সৃষ্টি করা প্রয়োজন।

লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৭০তম বুনিয়াদি কোর্সের সনদপ্রাপ্তদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আজকে যারা সনদ নিচ্ছেন তাদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। কারণ আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসাবে জনগণের সেবা করবেন। কাজেই জনগণের সেবার জন্যই আজকে আপনারা উপস্থিত হয়েছেন। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে হবে। দেশ যাতে এগিয়ে যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

জাতির পিতার বক্তব্যের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে যারা নবীন কর্মচারী তাদের কিন্তু এই কথাটাই মনে রাখতে হবে। এই দেশের গরীব মানুষগুলি এখনো যারা সেই তৃণমূলে পড়ে আছে, তারা এ দেশের মালিক। আর তাদেরই ঘর থেকে সবাই লেখাপড়া শিখে আজকে উঠে এসেছেন। কাজেই সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই তাদের সেবা করাটা হবে সব থেকে বড় দায়িত্ব।’

এসময় প্রধানমন্ত্রী বৃষ্টির পানি সর্বোচ্চ মাত্রায় কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। পানির স্তর নিচে নেমে গেলে ভূমিকম্পের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এতে বিপুল সংখ্যক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ জন্য জলাধারগুলো রক্ষা করতে হবে। যেগুলো বেদখল হয়ে গেছে সেগুলো উদ্ধারে আমরা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশকে দারিদ্রমুক্ত করতে হবে। একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। প্রতিটি মানুষকে ঘর তৈরি করে দিয়ে তার একটা ঠিকানা করে দিতে হবে। কোন মানুষ ঠিকানবিহীন থাকবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোন শিশু পথশিশু হয়ে থাকবে না। প্রত্যেক শিশুরই একটা ঠিকানা হবে। সে যেন পড়ালেখা করে, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেই কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে সেই ব্যবস্থা আমাদেরই করে দিতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের ভূ-খণ্ড ছোট হলেও মানুষ অনেক বেশি। সে কারণে প্রতিটি গ্রামই যেন শহরের সুযোগ সুবিধা পায়, গ্রামে বসে যেন নাগরিক সুবিধা পায় সেভাবেই আমরা গ্রামগুলোকে গড়ে তুলতে চাই।’

করোনা ভাইরাস সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস এমন একটা সমস্যা যেটা শুধু সারা বাংলাদেশ না, সারা বিশ্বটাকেই যেন স্থবির করে দিয়েছে। এর মাঝেও বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, আমরা যদিও ভূখণ্ডের দিক থেকে খুবই ছোট জনসংখ্যার দিক থেকে বড়। আমাদের সমস্যা অনেক বেশি কিন্তু তার মাঝেও আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, আমাদের প্রশাসন থেকে শুরু কওে অর্থনৈতিক সামাজিক সব ধরনের অবস্থানগুলি যেন অব্যাহত থাকে, আমাদের মানুষ যেন সেবা পায়, মানুষের যেন ভোগান্তি কম হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

দেশে ফিরে আসার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তখন থেকে একটা প্রচেষ্টা ছিল গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা, গণতন্ত্রের সুফল জনগণ যেন পায়, স্বাধীনতার সুফল যেন প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছায় এবং বাংলাদেশ সারাবিশ্বে যেন একটা মর্যাদা পায়। কারণ যখন আমরা বিদেশে রিফিউজি হিসাবে ছিলাম, মানুষের কাছে শুনতাম বা তার পরেও যখন গেছি, বাংলাদেশ শুনলেই মানুষ মনে করত, এটা একটা ঝড় জলোচ্ছ্বাস ঘূর্ণিঝড় দুর্ভিক্ষ এবং দরিদ্র্যের দেশ। যে দেশ শুধু ভিক্ষার ওপর বাঁচে। মানুষের করুণার ওপর বাঁচে। প্রতিটি ক্ষেত্রে যাকে সাহায্য চাইতে হয়। বাজেট তৈরি থেকে শুরু করে প্রতিটি কাজে অন্যের কাছে হাত পাততে হয়।’

ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানে গণভবনের সঙ্গে বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়গুলো সংযুক্ত ছিলেন।