আলোর জগত ডেস্ক: এই অঞ্চলের জনগণের উন্নয়নের জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আরও ভাল সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে ভারতের বিদায়ী হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বৈদেশিক নীতি-সকলের সাথে বন্ধুত্ব এবং কারো সাথে বৈরীতা নয়। আমরা সব সময়ই মনে করি যে, এই অঞ্চলের জনগণের উন্নয়নের জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সবার আগে অধিকতর সহযোগিতার প্রয়োজন।’প্রতিবেশী দেশগুলো তাদের সুবিধার্থে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, সিলেট ও সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, সকল স্তরের এবং শ্রেণী-পেশার জনগণ এই সংকট মোকাবেলায় একযোগে কাজ করছে। ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। ‘তবে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে আমরা অনেক অনুষ্ঠানই উদযাপন করতে পারিনি।’ শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানকে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ভারতের জনগণ এবং এর সব রাজনৈতিক দল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে অভূতপূর্ব সমর্থন জানিয়েছিল এবং একইভাবে তারা বাংলাদেশের সাথে ঐতিহাসিক স্থলসীমা চুক্তিকেও সমর্থন জানায়।
এ প্রসঙ্গে রীভা গাঙ্গুলী বলেন, এই মরণঘাতী ব্যাধির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দুই দেশই একসঙ্গে কাজ করছে। এই মহামারীর বিস্তার রোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর প্রশংসা করেন তিনি। হাই কমিশনার কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেরও প্রশংসা করেন।
হাই কমিশনার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি চিঠিও প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন। যেখানে তিনি (নরেন্দ্র মোদী) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান।
ভারতের হাইকমিশনারও এ সময় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে তাঁকে শুভকামনা জানান এবং আগামী মঙ্গলবার ভারত এবং বাংলাদেশের দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে মিলিত হবেন বলেও হাইকমিশনার শেখ হাসিনাকে অবহিত করেন।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং ভারতের হাই কমিশনার সাক্ষাতে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াবলী নিয়ে আলোচনা করেন।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতি এবং দীর্ঘায়িত রোহিঙ্গা সমস্যাও আলোচনায় উঠে আসে। শেখ হাসিনা তাঁকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রীভা গাঙ্গুলি উভয়কেই ধন্যবাদ জানান, বলেন প্রেস সচিব।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং ঢাকায় ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনার বিশ্বদীপ দে এ সময় উপস্থিত ছিলেন।